অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য। দুঃখ লাগে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের মেয়েরাও শুনি ‘তারা রাজাকার’ স্লোগান দিচ্ছেন। তারা কী ৭১ এ এ হলের ইতিহাস জানেন? শিক্ষার্থীরা কী জানেন, কী পাশবিক নির্যাতন পাকিস্তানি হানাদাররা রোকেয়া হলেই করেছিল! রাস্তায় রাস্তায় লাশ পড়ে থাকতো সে সময়। এসব শিক্ষার্থীরা সেসব দেখেননি। কী শিক্ষা তারা নিলো…আসলে এসব জানে না বলেই শিক্ষার্থীরা, নিজেদের রাজাকার বলতে লজ্জা পাচ্ছে না।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ যেমন গড়তে চাই, তেমনি কর্মকর্তাদের এ দিকটাও দেখতে হবে। যেখানে অনিয়ম হবে আপনারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সমাজটাকে আরও শুদ্ধ করতেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না সরকার। যে যেখানে যাই করুক না কেন, দুর্নীতির দায় চাপানো হয় সরকারের ওপর। তবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান মানে প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
সব মন্ত্রণালয়ে নিচের দিকেও যাতে দুর্নীতি-অনিয়ম না হয়, সেটি কর্মকর্তাদের নজরদারিতে রাখতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি এটি সরকারি কাজে গতিশীলতার পাশাপাশি আস্থা তৈরি হয় মানুষের মাঝে। পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। দুর্নীতি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পত্র-পত্রিকায় কী লিখলো, তা দেখে কাজ করবেন না, ঘাবড়ে যাবেন না। বিবেক ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাবেন। তবে খোঁজ নেবেন অভিযোগটি সত্য কি-না। মাটি-মানুষের রাজনীতি করেই আজকের অবস্থানে এসেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আমরা ক্ষমতায় ছিলাম এবং আছি। আমাদের সময় ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র অব্যাহত আছে। আমরা শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সব কিছুর জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয় জয় করে তাদের ভোট পাই। আমাদের ভোট চুরির প্রয়োজন হয় না।
আজ ১ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে ঢাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে তারা নির্বাচন বর্জন করছে, বর্জন করাটা খুব স্বাভাবিক।
ভোট চুরি করতে পারে না, নির্বাচন করবে না। কারণ এর আগে তো ভোট চুরি করে অভ্যস্ত, চুরি করা ভোট দিয়েই তো তাদের সৃষ্টি। ক্ষমতা দখল, ক্ষমতা চুরি, ভোট চুরি এ ছাড়া তো তারা আর কিছু পারে না। সে জন্য নির্বাচন করতে চায় না, নির্বাচন বানচাল করবে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, নির্বাচন বন্ধ করার সাহস নেই। তবে তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, এটা আমার কথা না, হাইকোর্টের আদেশ আছে, হাইকোর্টের রায় আছে যে ওই বিএনপি জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল অবৈধ, এরশাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ। তারাই ভোট চুরি করে, তারাই ভোট চুরি ছাড়া জিততে পারে না। ২০০৮-এর নির্বাচনে সেটা প্রমাণিত সত্য।
এখন আবার তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায়, কেন নির্বাচন বানচাল করবে?’
ঢাকায় ১৫টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এই ১৫টা রত্ন আপনাদের সামনে তুলে দিলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, ঢাকার মানুষের সেবা করবে।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
অনলাইন ডেস্ক :
এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ ২১ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ হার নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামি শরিয়াহ্ মতে, আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা দেওয়া যায়।
এবার ৭০ টাকা দরে গম বা আটার মাধ্যমে আদায় করলে অর্ধ সা বা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ১১৫ টাকা দিতে হবে।
১২১ টাকা দরে যব দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৪০০ টাকা, ৭৫০ টাকা দরে মধ্যম মানেন খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা দিতে হবে।
৬৫০ টাকা দরে কিশমিশ দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা, ৯০০ টাকা দরে পানির দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি তিনশ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য দুই হাজার ৯৭০ টাকা দিতে হবে।
এসব পণ্যের স্থানীয় বাজারমূল্যে তারতম্য রয়েছে। সেদিক থেকে স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
আগের বছর (২০২৩ সাল) ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সাপের কামড়ে রামপ্রসাদ হরি (২৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট রবিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপালপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কোন এক সময় বিষাক্ত একটি সাপ রামপ্রসাদকে দংশন করে। রবিবার ভোরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার শরীরে সাপের কামড়ের দাগ লক্ষ্য করা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় তালা সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল করিম জানান, ধারনা করা হচ্ছে রাতে কোন এক সময় জানালা দিয়ে অথবা দরজার ছিদ্র দিয়ে একটি সাপ ঘরে প্রবেশ করে রামপ্রসাদকে দংশন করলে তার মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারটিসহ কারো কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলা সমিতি-ঢাকার দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যাংকার সৈয়দ মো. সফিন (সাফিন) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহনেয়াজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. কাওছার মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাফাত মোর্শেদ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল করিম (গরিবুল্লাহ সেলিম), আবু কাওছার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনির, অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, অ্যাডভোকেট মহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পারভেজ ও আলী আশফাক রবিন, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দিন (নাসির), শিক্ষা সম্পাদক জিয়াউল করিম (সুহেল) প্রমুখ।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূর্বের এড-হক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির বাকী পদগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন পরিচালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছেন। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারা পদত্যাগ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাতজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল।
এরপর আজ বিকেলে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল।
এবারও তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সেটা জানি না।’
মন্ত্রীসভার যেসব সদস্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নন তাঁদের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।