চলারপথে রিপোর্ট :
কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগ।
আজ ১৫ জুলাই সোমবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশ করে।
জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরিন ফাতেমা, জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি শহীদুল আলম জীবন, রাশেদুল ইসলাম, নাসিম সরকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন হিমেল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদী, নাহিদ হক নাজমুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল।
এসময় জেলা, সদর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মডেল গার্লস হাই স্কুলের ৬য়তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম এ ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন। নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের এ নতুন ভবণটি নির্মিত হবে।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসাইন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে নতুন ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থার যুগোপযোগী করে তোলার পাশাপাশি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অদ্বৈত চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে।
২৩ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন (পিপিএম)।
অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কবি, গীতিকার ও কবিতা বিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদ্দূস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের দীর্ঘদিনের সহচর, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অদ্বৈত চর্চার ইতিহাস, অদ্বৈত গবেষণায় অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের অবদান এবং অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ও কর্ম পরিধি নিয়ে বিশদ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক কবি পিয়াস মজিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পঠান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শান্তনু কায়সারের পরিবারের পক্ষে সম্মানজনক এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর বড় ছেলে রাসেল রায়হান। এসময় অতিথিবৃন্দ তার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছোটকাগজ ‘প্লাটফর্ম’-সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- প্রয়াত এ গুণীজনকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে একই সাথে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আ. কুদ্দূস বলেন- নতুন প্রজন্মের মাঝে অদ্বৈতর চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং অদ্বৈত গবেষণায় দ্বার উন্মুক্ত রাখতে ভবিষ্যতেও আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
২০২২ সালে মো. আ. কুদ্দূস প্রতিষ্ঠিত অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে অদ্বৈতর জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে ২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয়েছিল। দুই বছরই দুইজন গুণী ব্যক্তিকে অদ্বৈত গবেষণায় অবদান রাখায় ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। এ বছর ২০-২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ মেলায় অধ্যাপক সান্তনু কায়সারকে এ পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও সে সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে অবস্থান করায় গতকাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে তার বড় ছেলে রাসেল রায়হান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- আমার বাবা কর্ম ও ভালোলাগার সূত্রে দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাস করেছেন। আমাদের ভাই-বোনদের সকলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এত বেশি থেকেছেন, আসা-যাওয়া করেছেন এবং কাজ করেছেন যে দেশের অনেকেই ভাবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুঝি তাঁর আসল বাড়ি। আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই সম্মান পেয়ে আমরা পরিবারের সদস্যরা গর্বিত ও আনন্দিত। বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই তিনিও গর্ব অনুভব করতেন। বক্তব্যে তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। একইসঙ্গে তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনার সময় তিনি এখানকার সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি অদ্বৈত গবেষণা ও চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জেলার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বিস্তর কর্মজীবনে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় ৪৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই অদ্বৈত গবেষণার উপর। ২০১৪ সালে প্রবন্ধ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করা গুণী এই সাহিত্যিক ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নবগঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামল বলেছেন, সামনে কঠিন পরীক্ষা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একেক সময় একেক কথা বলছেন। তারা বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত সংস্কারের কথা বলছেন তা তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে রয়েছে। তারপরেও যদি কোন সংস্কার করেনসটি হল সঠিক নির্বাচনের সংস্কার। সেই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আগামী দিনে এই নির্বাচিত সরকার সকল সংস্কার করবে। এই শাহবাগের সংস্কার বাদ দিয়ে আগারগাঁওয়ে আমাদের সংসদ আছে সেই সংসদের মাধ্যমে সকল সংস্কার করুন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে কাটাতে হবে। আজ ১৫ মে বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টেংকেরপাড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কর্মীরা এমন কাজ করবো না যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাই। এই আওয়ামীলীগ তিনটি নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ছাড়াই ভোটার বিহীন নির্বাচন মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন। এই আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সাথে থাকে নাই। এই আন্দোলন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদদের জন্য একটি শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, জনগণ বিরোধী যারা কাজ করবে, তাদের পরিণতি এরকমই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, এবিএম মোমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, সাবেক আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা কবীর আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে পূর্ব ঘোষিত আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে বিকেল ৩টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলার নয় উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রঙবরঙের বিভিন্ন ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন বাদ্য বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয়। বিকেল ৪টায় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ র্যালি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের টেংকের পাড় পৌছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের অনুমতিক্রমে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন। গত মঙ্গলবার রাতে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়া হলেও আজ ১৫ মার্চ বুধবার দুপুরে কমিটি প্রকাশ করা হয়।
নতুন গঠিত কমিটিতে শাহ জামাল রানাকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল-হেলালকে সদস্য সচিব করা হয়।
কমিটিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মোঃ মামুনুর রশীদকে সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ফিরোজ খান, আবদুল আজিজ, আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, মেরাজ সিকদার, হুমায়ূন কবির ও আবদুল্লাহকে রাখা হয়েছে।
কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন সৈয়দ মোকাব্বের, অ্যাডভোকেট ইজাজ আহমেদ জীবন, সোলায়মান ও আজিম খান বাবু।
এ ব্যাপারে নব-ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল-হেলালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নতুন কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান জি.এম. কাদের এমপি ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ছাড়া অন্য কারো কমিটি গঠন করার কোন এখতিয়ার নেই। বেগম রওশন এরশাদ এমপি আমাদের দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। তিনি কোন কমিটি গঠন করার কোন এখতিয়ার রাখেন না। নতুন কোন কমিটি গঠন করা হলে এটা হবে সম্পূর্ণ অবৈধ।