চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার সৈয়দাবাদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার টিক্কলহাটি গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে বাস হেলপার সাইফ (২০) ও একই গ্রামের বাসযাত্রী কাশেম মিয়ার ছেলে রাজু (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লামুখী বিসমিল্লাহ্ পরিবহনের একটি যাত্রী বাস একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাইফ ও রাজুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। বাস ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি নিজ দলের অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে এখন আবোল তাবোল বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে হার পাওয়ার প্রকল্পের অধীনে ৮০ জন প্রশিক্ষিত নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন তার রাজনীতির অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ে থাকেন, তখন তারা আবোল তাবোল বলতে থাকে। ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বিএনপি এখন আবোল তাবোল বলছে।
হঠাৎ পাহাড় অশান্ত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরো তথ্য জানা প্রয়োজন। সেই বিষয়ে জেনে মন্তব্য করবেন। এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে ক্ষমতায়ন করার জন্য হার পাওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। নারীরা এগিয়ে না যেতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে না। তিনি প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নারীদেরকে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট রাশেদুল কাউছার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী ৮০ জন নারীর উদ্যোক্তার মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ল্যাপটপ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাধীন ‘‘সেনাবাদী শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধি এবং গণকবর’’ এলাকা পরিদর্শনকালে জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহ বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধে বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা উপজেলার বিস্তৃর্ন সীমান্ত অঞ্চল সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়াবহ যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মুক্তিযুদ্ধা হতাহত হয়েছেন। অনেক স্থানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লোকজনকে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করার লক্ষে, এসব যুদ্ধক্ষেত্র, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকদের স্মৃতি ফলক নির্মাণের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চলতি অর্থবছর থেকে এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি গতকাল (বুধবার) আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন ভারতীয় সীমান্তবর্তী সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর পরিদর্শন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তাঁর সাথে জেলাপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের নয়মাসে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত প্রায় দুইশত শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে কবরস্থ করা হয়েছে, তাছাড়া এই এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যায় নিহত শহীদেরকেও এখানে দাফন করা হয়েছে। ভারতীয় সীমান্ত এলাকার শূন্য রেখায় গণকবরটি অবস্থিত হওয়ায়, ভারত সরকারের সম্মতির অভাবে অদ্যবধি এখানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়নি।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান এবিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সম্মতি গ্রহণ করে চলতি অর্থবছরেই জেলাপরিষদ থেকে ‘‘সেনাবাদী শহীদ সমাধি ও গণকবর’’ সংরক্ষণে প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা কসবা উপজেলা থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউপি কৈখলা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নি:) সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কালে তাহের ফকিরের বাড়ির পশ্চিম পাশে নতুন ব্রিজগামী ব্রিক সলিং রাস্তার উপর থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি চট্টগ্রামের মধ্যম সোনাপাহাড় ৮ নং ওয়ার্ড জোরারগঞ্জের শেখ ফরিদের ছেলে মো. মামুন (৩০)।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে জব্দকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে কসবা থানায় উল্লেখিত বিষয়ে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের সাতদিন পর চার বছর বয়সী এক শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটির নাম আব্দুল্লাহ রহমান। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের খাড়েরা গ্রামের মো. আতিকুর রহমান ও হালিমা খাতুন দম্পতির একমাত্র সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ মে বিকালে শিশু আব্দুল্লাহ হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন ২৪ মে কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ১৬৩১) করেন তার মা হালিমা খাতুন। ৩০ মে শুক্রবার বিকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি ধানক্ষেতে স্থানীয়রা একটি পচনধরা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হয় এটি নিখোঁজ শিশু আব্দুল্লাহর মরদেহ। লাশটি অর্ধগলিত অবস্থায় ছিল।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ওইদিন রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ৩১ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি একটি অপমৃত্যু হিসেবে গণ্য করে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।