চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে রাফি নামে এক পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৬ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত পাঁচ বছরের শিশু সাফি উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের প্রবাসী ফয়েজ মিয়া ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় সে বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কোথাও না পেয়ে পরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে খালের পানিতে ভাসতে দেখেন শিশু রাফিকে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ এমরানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে প্রয়াত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবরু মাষ্টারকে মরণোত্তর সম্মাননা ও ৩০ শিক্ষার্থীকে উপহার দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘সভ্যতার পথে’।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার এই সংঘঠনটি গত শনিবার সন্ধ্যায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহৎ এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন। সমাজসেবক মো. ফজল মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক।
ক্বারী মো. জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সমাজসেবক মো. জাকারিয়া, মো. সোনা মিয়া ও মো. আলমগীর মিয়া। সংগঠন সূত্র জানায়, ওই গ্রামের কৃতি সন্তান উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক গুণী শিক্ষক প্রয়াত জহিরুল ইসলামকে সম্মানসূচক মরণোত্তন স্মারক প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষায় গ্রামের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে সংগঠনটি ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ও মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া গ্রামের ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে উপহার সামগ্রি তুলে দিয়েছেন। সকল অতিথিকে দেয়া হয়েছে সম্মাননা ক্রেষ্ট।
প্রধান অতিথি বলেন, যে দেশে গুণীর কদর নেই, সেই দেশে গুণী জন্মাতে পারে না। জ্ঞানার্জন ধনার্জনের চেয়েও বড়। আমাদের সন্তানরাই বড় সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হলে পড়ালেখার কোন বিকল্প নেই। তিনি সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলার কাজে আরো মনযোগি হওয়ার জন্য গ্রামের সকল অভিভাবকদের অনুরোধ জানান। মহৎ ও সময়োপযোগি আয়োজনের জন্য তিনি ‘সভ্যতার পথে’ সংগঠনের সাথে জড়িত সকল যুবককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে এই ধারা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে।
আজ ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের চান্দার গোষ্ঠী ও বারেকের গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রমজানের শেষ দিকে তেরকান্দা গ্রামের নানু মিয়ার ছেলে শাহরুলের একটি সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চুরি হয়। অভিযোগ ওঠে বারেকের গোষ্ঠীর লোকজন এই চুরির সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার রাতে এই নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় চান্দার গোষ্ঠী ও বারেকের গোষ্ঠীর লোকজন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে আনলেও আজ সকাল থেকে ফের সংঘর্ষে জড়ায় তারা। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, সংঘর্ষের ভয়াবহতা আরো বাড়ে এই দুই গোষ্ঠীর পক্ষ নিয়ে মঙ্গলের গোষ্ঠী, সরদার বাড়ি ও হাজী বাড়ির লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায়। ধানি জমি, ভিটা বাড়িসহ সড়কের ওপর চলে এই সংঘর্ষ। বৃষ্টির মত ছোঁড়া হয় ইটপাটকেল। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫টি বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাটসহ আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ৩০ জন আহত হন।
সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আটক করা হয় চারজনকে। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী।
চলারপথে রিপোর্ট:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষে থেকে শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্লাস রুমে ঈদ সামগ্রী হিসেবে চাল, আলু, পেয়াজ, সেমাই, চিনি বিতরণ করা হয়।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের আহবায়ক মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শরীফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাষ্টার, উপজেলা ঠিকাদার সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম খন্দকার (সেলু), উপজেলা জাতীয় জাতীয় পার্টির সভাপতি হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজ আলী, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রভাত প্রতিনিধি আবেদুর আর শাহীন, আমাদের সময় প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া, এশিয়ান টেলিভিশন প্রতিনিধি আল মামুন খান, কালেবেলা প্রতিনিধি নারায়ণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি মোঃ রিমন খান, ভোরের দর্পন প্রতিনিধি মাহবুব খন্দকার, অগ্রসর প্রতিনিধি ফাইজুল কবির, যায়যায় কাল প্রতিনিধি পারভেজ, দেশের কন্ঠ প্রতিনিধি শরীফ বক্সসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নেতৃবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল সদরের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশেই এর অবস্থান। সড়ক ও জনপদের (সওজ) গাছে বন্দি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে গাছ কাঁটার অনুমতি। ফিরে যাচ্ছে নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ। গাছে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে আহত হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আগত অতিথিরা। ওই ৮টি কাঠের গাছ এখন ৩ শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের গলার কাটা। বছরের পর বছর ঘুরে এই কাটা খুলতে পারছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গাছ গুলি আকস্মিক বড় ধরণের দূর্ঘটনার কারণ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন অভিভাবকরা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। তাই আজ থেকে ১৪-১৫ বছর আগে বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেষে কয়েকটি কাঠের গাছের চারা রোপন করেছিলেন সওজের লোকজন। দেখতে দেখতে গাছ গুলি বড় হয়ে গেছে। প্রধান ফটকের দুই পাশে ৬টি আর ফটকের প্রবেশদ্বারে দুটি গাছ চলাচলের পথ প্রায় বন্দি করে ফেলেছেন। গাছ গুলোর গুল যত বড় হচ্ছে ততই ছোট হয়ে আসছে প্রবেশের রাস্তা। বর্তমানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছ ঘেষে ফটকের বক্স গেইটে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এর চেয়েও বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক অভিভাবক ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে আসা অতিথিদের। দ্রুত গতিতে প্রবেশ করতে গিয়ে নিয়মিত আহত হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা। মাঝে মধ্যে মনের অজান্তে মাথায় আর শরীরে আঘাত পাঁচ্ছেন শিক্ষক ও অতিথিরা।
নিরাপত্তা দেওয়াল নির্মাণের বরাদ্ধ আসলেও ওই গাছের জন্য কাজ করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ গুলি কাঁটার অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন। কিন্তু বারবার বিধিতে আটকে যাচ্ছে কাঁটার অনুমতি।
মৌখিক পরামর্শ পেলেও মিলছে না লিখিত অনুমতি। তাই ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না শিক্ষক ও এসএমসি। এখন তারা অনেকটাই নিরূপায় ও হতাশ।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়সাল ও তামিম বলেন, শিশু শ্রেণি থেকেই গাছের জন্য বাঁকা তেড়া হয়ে প্রবেশ করছি। গাছ গুলি কেটে ফেললে শান্তি পাব। অভিভাবক মো. ইফতেহারূল ইসলাম, নুরজাহান বেগম, মো. আনোয়ার হোসেন ও জহুরা বেগম বলেন, শিশুদের নিয়ে প্রবেশ করতে খুবই কষ্ট হয়। বাচ্চারা অনেক সময় ব্যাথাও পায়। প্রবেশ পথের মাঝখানের গাছ দুটি কাটতে স্যারদের অনেক অনুরোধ করছি। কেন কাটছেন না উনারাই জানেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া বলেন, টিকার কাজ পরিদর্শনে গেলে গাছ আমাকে আটকে দেয়। গাছের জন্য গেইট কোন দিকে? ঠিক বুঝে ওঠতে পারছিলাম না। পরে আকাঁ বাঁকা হয়ে ব্যায়াম করে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জন্যই তো আইন। তাহলে সামান্য কারণে কেন শিশু ও অভিভাবকরা এত কষ্ট করবেন? দ্রুত এর একটা সমাধান দরকার। সমন্বয় সভায় আমি গুরূত্ব সহকারে বিষয়টি তুলে ধরেছি। বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. রূহুল আমীন রুবেল বলেন, গত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে এই সমস্যা।
গত ২/৩ বছর আগে তখনকার এসএমসি গাছ কাঁটার ব্যবস্থা করতে সভার রেজুলেশন দিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন। গাছের জন্য নিরাপত্তা দেওয়ালটিও করতে পারছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নৌসাদ মাহমুদ বলেন, সওজের কাছ গুলো প্রধান ফটক থেকে অপসারণ করা খুবই জরুরী। গাছ গুলো কাটতে বিদ্যালয়ের আবেদনটি আগের ইউএনও মহোদয়ের কাছে দিয়েছিলাম। তিনি সওজের বরাবরে এ বিষয়ে লেখার কথা। দেখি বর্তমান ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করব। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, গাছে ফটক বন্দি হলে তো বড় সমস্যা। আমি বিষয়টি ভালভাবে জানি না। দেখে জরূরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে বাস চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সার যাত্রী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল ইসলামাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হন।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম আবু হানিফ (৬০)। তিনি আখাউড়া উপজেলার ধরখার গ্রামের আবদুল হাসেমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নোমান মিয়া জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হানিফের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে নিহতের স্বজনেরা হাসপাতাল থেকেই তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছে।