চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ১৭ জুলাই বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন কোটা আন্দোলনকারীসহ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন আহত হয়। আহত সবার নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এক পর্যায়ে কলেজের প্রধান ফটকের পাশে তাঁরা বসে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। এক পর্যায়ে সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা আফরিন কিছু মেয়েকে সাথে নিয়ে সেখানে পৌঁছে শিক্ষার্থীদের সরে যেতে বলেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থী ছাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, খারাপ অঙ্গভঙ্গি ও হুমকি দিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে সরে যেতে বললেও তারা সরেননি।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এ সময় কলেজের সামনে ও কলেজপাড়ার লেবেল ক্রসিং এলাকায় ১০/১৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটর সাইকেলে লাঠিসোটা, কাঠের টুকরা, বৈঠা নিয়ে কলেজের সামনের সড়ক, লেবেল ক্রসিং এলাকা, নিউ মৌড়াইল ও কাউতলী এলাকায় মহড়া দেন। শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা পর্যন্ত সেখানে বসে কর্মসূচি পালন করে মিছিল নিয়ে চলে যান।
দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাউতলী এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি স্টেডিয়াম এলাকায় আসার পর ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের বাঁধা দেয়। এতে আন্দোলকারীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম রবিন’সহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা হাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
এ ব্যাপারে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থী ফারহানা শারমিন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ব্যানার টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে শ্লোগান দেয়াসহ তারা আমাদেরকে বিভিন্নভাবে অপমানিত করেছে। কারণ আমরা কোটার সংস্কারের দাবিতে এসেছি। আমার ভাই ও বোনের শরীরে থেকে যে রক্ত ঝড়েছে তার প্রতিবাদ জানাতে এসেছি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন শোভন জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমরা আমাদের অবস্থান থেকে তাদের সহযোগিতা করেছি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে। তবে জামাত, বিএনপি ও শিবিরের কর্মীরা এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। দুপুরে তারা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল হাতে রাস্তায় নামে। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাদের থামাতে গেলে তাদের হামলায় ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী আহত হয়। তিনি আরো বলেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো বাঁধা দেইনি। তাঁদের কোনো দাবি থাকলে তা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দিতে বলেছি। তাদেরকে পানিসহ খাবার দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁদের হামলায় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আহত হয়েছে।
এদিকে বাদ যোহর শহরের লোকনাথ উদ্যানে (টেংকের পাড়) সারাদেশে নিহত ছাত্রলীগ নেতাদের মৃত্যুতে গায়েবী জানাযা পড়েছে ছাত্রলীগ। এতে জেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বিল্লাল হোসেন জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুরে সালিশে ধার্য করা জরিমানার টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন।
১৪ এপ্রিল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের খাল পাড় ও পীরবাড়ি এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০ রমজান লুডু খেলা নিয়ে বিরামপুর বাজারে ওই গ্রামের পীরবাড়ি এলাকার জুয়েলের সাথে খালপাড় এলাকার হাদিস মিয়ার ঝগড়া হয়। এতে জুয়েল আহত হন। এ বিষয়টি স্থানীয় ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে সমাধান করেন। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১০ এপ্রিল হাদিস মিয়া জরিমানার এক লাখ ২০ হাজার টাকা জুয়েলকে দেওয়ার কথা। তবে তা না দেওয়ায় রোববার রাতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ নিয়ে পীরবাড়ি এলাকার পক্ষে হুমায়ুনের নেতৃত্বে এবং খালপাড়ের পক্ষের আনিছ মেম্বার ও সাচ্ছু মিয়ার নেতৃত্বে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সোমবার ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়িঘর-দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইবেন লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও।
আজ ২২ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ফিরোজুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা পাঁচবার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সাবেক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজুর রহমান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বারে ২৬ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পরে সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এই জনপদের কাছে আমার ঋণ রয়েছে। জীবনের শেষ সময়ে মনের একটি ইচ্ছা জানাতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
তিনি বলেন, কৈশর জীবনে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের আন্দোলন সংগ্রামে চোঙ্গা হাতে নিয়ে মিছিল করেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার জীবনের এই ইচ্ছাটুকু আপনাদের মাধ্যমে আজ সকলের কাছে প্রকাশ করেছি। আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি যেন দলীয় মনোনয়ন পাই সে জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফিরোজুর রহমানের ছেলে শেখ ওমর ফারুক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুল হাসান খাঁন, সমাজসেবক মুন্সী শাহআলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল প্রতীক)।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান ও এ বিধি মেনে চলার বিষয়ে মুচলেকা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য আফরিন জুঁইকে দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আপনি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৮ (৫) এর পরিপন্থী। যার সুনির্দিষ্ট তথ্যচিত্র প্রমাণাদি রয়েছে।
এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩২ অনুযায়ি কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ও বিধি ৩৩ অনুযায়ি কেন প্রার্থীতা বাতিলের সুপারিশ করা হবে না তা আগামী ৩০ মে (বুধবার) দুপুর ১২টার মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই প্রার্থী লিখিত জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া এ ধরণের কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। এ কারণে ওনাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শোকজের জবাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, কৃষকের অধিকার রক্ষায় কৃষকবান্ধব একটি রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে।
আজ ৪ মে শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা কৃষক লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায়না। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া সত্ত্বেও প্রকৃত কৃষক কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য পায় না। কৃষক সংগঠন শক্তিশালী না হওয়ায় তারা তাদের দাবি-দাওয়া সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেনা। এজন্য কৃষকের অধিকার রক্ষার স্বার্থে একটি কৃষিবান্ধব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষক লীগ হতে পারে কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী একটি রাজনৈতিক শক্তি।
তিনি আরো বলেন, যারা মুখে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলে অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কাজ করে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে যাদের সখ্য তাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে। সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আসন্ন সম্মেলন সফল করতে এবং একটি গতিশীল সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি দক্ষ, যোগ্য ও কর্মঠ লোকের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন শুধু চেহারা দেখে নয় কর্মকাণ্ড দেখে কমিটি গঠন করতে হবে। যারা দলের জন্য কাজ করবে এবং শ্রম দিবে তাদেরকে কমিটিতে স্থান দিতে হবে।
গত ২৯ জুলাই ২০২২ খ্রিস্টাব্দে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের এটা দ্বিতীয় বর্ধিত সভা। সভায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হেজবুল বাহার রানা আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান শরীফ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ বিশেষ বর্ধিত সভা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট সমীর চন্দ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নাজির মিয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার মজিবুর রহমান মিয়াজী প্রমুখ। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল উপজেলার কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাছ বেচা কেনা নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে শিশু-বৃদ্ধসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আজ ৩১ আগস্ট শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কান্দিপাড়ার মাইমল হাটিতে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার মাইমলহাটির কয়েকজন বাসিন্দা শহরের আনন্দ বাজারে মাছের ব্যবসা করেন।
সকাল ১০টার দিকে আনন্দ বাজারে মাছ বেচা-কেনা নিয়ে কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর বাবুল মিয়ার সাথে একই মহল্লার মীর কাসিমের ছেলে সাগর মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির জেরে দুপুরে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন এক অপরের পক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে আহত মাইমল হাটির শিপন (২২), জুয়েল মিয়া (৩২), মেঘা মিয়া (১৫), নীরব মিয়া (১২), মোঃ রাজ কুমার (২৫), আকলিমা বেগম (২৫), শামীম মিয়া (৩০), আবদুল হান্নান (৬৭), বিশাল- (২৩), সাইমন (২৪), খোদেজা বেগম (৮০) ও নিরব (১৩) কে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে আনন্দবাজারে মাইমলহাটির ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর মাছ ব্যবসায়ী হান্নাফ মিয়ার ছেলে শামীম, শাদিল, বাবুল এবং হান্নাফের ছোট ভাই জাকিরের ছেলে টিটনের সাথে আরেক মাছ ব্যবসায়ী একই এলাকার বড় গোষ্ঠীর মীর কাসিম মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া ও তার পক্ষের শিপন মিয়ার মাছ বেচা-কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটির ও তর্ক হয়। দুপুরের তারা কান্দিপাড়ার মাইমলহাটি এলাকায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বড় গোষ্ঠীর লোকজন ভাইট্টাইল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, মাছ বেচা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কেউই থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।