কিছু নিয়ম মেনে চলে নিজেকে রাখুন চিরতরুণ

লাইফস্টাইল, 27 July 2024, 919 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।

banner

প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।

প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।

অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।

লেখা : উম্মে হানি

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

ঘরোয়া উপায়ে কমবে পিঠের ব্যথা

লাইফস্টাইল, 12 January 2025, 754 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিদিন এর ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে ইদানীং অনেকেই ভুগছেন পিঠের ব্যথায়। কিন্তু জানেন কি–ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে?

banner

সারা দিন চেয়ারে বসে কাজকর্ম করতে গিয়ে আমাদের শরীরে জেঁকে বসে নানা রোগব্যাধি। পেশিতে টান ধরা, হাত-পায়ের যন্ত্রণা, হাড়ের বিভিন্ন রোগ–এসব তো আছেই; কিন্তু দিনের একটা বড় সময় চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে পিঠেও শুরু হয় ভীষণ যন্ত্রণা।

দিনের বেশির ভাগ সময় অফিসে কাজ করেন কম্পিউটার বা ল্যাপটপে মুখ গুঁজে। রয়েছে বাড়ির হাজার কাজ। ফলে রাতে যখন বিছানায় গিয়ে বালিশে মাথা ঠেকান, সেই মুহূর্ত থেকে শুরু হয়ে যায় নানা অঙ্গে ব্যথা। বিশেষ করে পিঠের ব্যথা। ঠিকমতো ঘুমানো যায় না। বিভিন্ন বয়সের মানুষজন এ সমস্যায় এখন নিয়মিত ভুগছেন।

ব্যথা-বেদনা হলেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ‘পেইন কিলার’ বা ব্যথার ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু এভাবে নিজের মর্জিমতো ওষুধ ক্রমাগত খেলে শরীরে নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তার বদলে উপায় থাকলে ব্যথা উপশমের জন্য নানা প্রাকৃতিক উপাদান বা পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে। এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে একটি মসলা, যা নিয়মিত খেলে কমতে পারে পিঠের ব্যথা।

একটি মসলায় মিলতে পারে এ সমস্যার সমাধান। নিয়ম করে তা খেতে হবে। তাহলেই আর সারা দিন ঘাড় নিচু করে কাজ করলেও কষ্ট হবে না।

কোন মসলায় কমে ব্যথা?
দারুচিনিতে রয়েছে নানা ধরনের উপকারী উপাদান। তাতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক সব রয়েছে। থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। সব কটি উপাদান মিলে শরীরের বিভিন্ন অংশে তৈরি হওয়া ক্ষত ঠিক করে। কমতে শুরু করে সব ধরনের ব্যথা।

কীভাবে খাবেন?
সাধারণত বাঙালি বহু রান্নায় দারুচিনি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তা নিয়মিত খাওয়া হয়ে ওঠে না। নিয়ম করে দারুচিনি খেতে হলে চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাতে খানিকটা আরাম মিলবে। রোজ সকালে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে চা খান। ক্রমেই কমতে থাকবে ব্যথার সমস্যা।

এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে যেসব সতর্কতা মানার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

জাতীয়, লাইফস্টাইল, 13 January 2025, 1039 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, শীতকালীন রোগ থেকে রক্ষায় মাস্ক ব্যবহারসহ সাতটি পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার দেশে এইচএমপি শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ ঠেকাতে ১২ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

banner

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ১৪ বছরের কম বয়সি শিশু এবং ৬৫ বছর বা এর বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন, হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী নারী ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চ ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।

এইচএমপি ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের মত ফ্লু এর মত উপসর্গ সৃষ্টি করে,যা সাধারণত দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। তবে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে অধিদপ্তর বলেছে, সংক্রমণ এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য সতর্কতার মধ্যে রয়েছে, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকা, হাঁচি বা কাশির সময় বাহু বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঘন ঘন সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত ২০ সেকেন্ড) ইত্যাদি।

এইচএমপি ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, দেশের সব বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সব বন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

সারাদিন ফুরফুরে থাকতে যে ৫টি কাজ করুন

লাইফস্টাইল, 5 January 2025, 945 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি। কিন্তু কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে সেই সোনার হরিণ সফলতা চলে আসবে খুব সহজে।
এজন্য প্রথমে আমাদের সকালের সময়ের সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। বলুনতো কত দিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয় না?

banner

সারারাত জেগে কাজ করা আর দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো আজকাল আমাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এটা কোনো সুস্থ লাইফস্টাইল নয়, সফল এবং সুস্থ জীবনধারা চাবিকাঠি হতে পারে সকালের সময়টার সঠিক ব্যবহার।

আমরা কি জানি বিশ্বের নাম করা এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা প্রতিদিনের কাজ শুরু করেছেন, সেই ভোরে। এদের মধ্যে মার্গারেট থ্যাচার সকাল ৫টায় উঠে যেতেন বিছানা থেকে।

সকালে আমাদের কর্মক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। আর রাতে ভালো ঘুমের পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকি। তাই এই সময়ে যেকোনো জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব। সফল হতে ও সারাদিন ফুরফুরে মেজারে থাকতে সকাল ৮টার আগে যে পাঁচটি কাজ করতে হবে:

* কাজের তালিকা
অনেক সময় খুব জরুরি করণে কাউকে ফোন করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ‍আর হয়তো মনেই থাকে না। তাই সারা দিনের জন্য কাজের পরিকল্পনা করে নিন। একটি ডায়েরিতে জরুরি তালিকা করে রাখলে কাজ করা সহজ হবে। আর কাজের চাপে কোনো কিছু ভুলে গেলেও লেখা থাকলে কাজ মিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ও আরেকটি বিষয়, আমরা শুধু কাজের তালিকার কথা বলি। কিন্তু কাজের ফাঁকে যে বিশ্রাম নিতে হবে তাও লিখে রাখুন। আমরা যখন কাজের মধ্যে ডুবে থাকি তখন অনেক সময় খাওয়ার কথাও ভুলে যাই, ছোট ছোট সব বিষয়গুলো উল্লেখ করেই তালিকা তৈরি করুন। যেমন প্রতিটি জরুরি মিটিংয়ের পর ১০ মিনিট রেস্ট। সময় মতো খাবার খাওয়া, একটানা ডেস্কে বসে না থেকে ফোনে কথা বলার সময় একটু হাঁটা। হলকা কিছু হাত ও ঘাড়ের ব্যায়ামের জন্যও দিনের তালিকায় কিছু সময় বরাদ্দ করুন।

* স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
কোনো সন্দেহ নেই সকালের নাস্তা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠায় আমাদের অনেকেরই সকালে নাস্তা না করে কাজে দৌঁড়াতে হয়। আর কাজের ঝামেলায় অনক দিনই নাস্তা করার সময় হয় না। রাতের পর দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্যই নিয়মিত সকালে ওঠার অভ্যেস করতে হবে এবং সকাল আটটার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে কাজের উদ্দেশে বেরোতে হবে। রুটি, সবজি, ডিম, যেকোনো একটি ফল আর চা হতে পারে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। তবে ভিন্নতা আনতে মাঝে মাঝে দুধ দিয়ে কর্নফ্রেক্স বা সবজি খিচুড়িও খাওয়া যায়।

* সময় নিয়ে তৈরি হন
তাড়াহুড়ো করে অফিস বা ক্লাস ধরতে হলে অনেক সময় যেনতেন মতো দৌড়ে বেরিয়ে ‍যাই। কিন্তু সকালে একটু আগে উঠতে পারলে প্রয়োজন মতো তৈরি হওয়ার সময় পাওয়া যায়। যেমন অফিসে জরুরি মিটিংয়ে বাইরের কোনো অফিসের কর্মকর্তা আসবেন। আপনি যেখানে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করছেন সেখানে সাজ পোশাকটা তো তেমনই হওয়া চাই। তাই তৈরি হওয়ার জন্য নিয়মিত হাতে অন্তত কিছুটা সময় রেখে বিছানা ছাড়ুন।

* ব্যায়াম
প্রতিদিন সাধারণত আমরা যে সময়ে ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করি ব্যায়াম করার জন্য একটি ঘণ্টা তো দূরের কথা ২০ মিনিটের সময় বের করাও কঠিন। কিন্তু আমরা যদি সকাল ৬টা থেকে দিন শুরু করি তাহলে দেখুন কত সময়। চাইলে ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা বা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ আর ইয়োগা যে কোনোটি করতে পারেন। আবার ঘরের টুকিটাকি কাজ করলেও কিন্তু আমাদের ওয়ার্ক আউটটা হয়ে যায়। যেমন বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা, মেঝে পরিষ্কার, করতে পারেন যে কোনোটি।

* আধা লিটার পানি
এটা আবার এমন কি জরুরি কাজ, তাই ভাবছেন? কিন্তু প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে নিয়ম করে অন্তত আধা লিটার পানি পান করুন। কারণ আমাদের ত্বক এবং শরীর সব কিছুর সুস্থতার জন্যই পানি অপরিহার্য।

যে ৪ জিনিস ঘুমানোর সময় দূরে রাখবেন

লাইফস্টাইল, 23 January 2025, 584 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কিছু জিনিস আছে, যেগুলো রাতে ঘুমানোর সময় আশপাশে বা বালিশের কাছে রাখলে অনেক ক্ষতি করতে পারে। এগুলো শুধু ঘুমের ওপরই নয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

banner

সারা দিনের ক্লান্তির পর যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা হলো প্রশান্ত ও গভীর ঘুম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রায়শই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম পাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

এটি লক্ষণীয় যে এতে শুধু ঘুমের ঘণ্টাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, ঘুমানোর উপায়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কাছে একটু অবাক লাগতে পারে যে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু তার চারপাশের জিনিসগুলো আপনার ঘুম ও স্বাস্থ্যকে কীভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু, হ্যাঁ। আপনি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় এমন কিছু জিনিস আপনার আশেপাশে রাখেন, যেগুলো আপনার ক্ষতি করতে পারে।

কী সেই জিনিস, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস না রাখা
আজকাল স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো আমাদের জীবনের এমন গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে যে অনেকেই এগুলো থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বও সহ্য করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে ঘুমানোর সময় এই ডিভাইসগুলো আপনার বিছানা থেকে দূরে রাখুন। এই ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো নীল আলো ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নির্গত করে, যা শুধু আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করে না, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
কাজের জিনিস না রাখা

সারাদিন কাজ করার পর ক্লান্ত বোধ করে যখন বিছানায় আসেন, তখন সাধারণত কাজ ভুলে যেতে চান এবং একটি ভালো ঘুম পেতে চান। এমন অবস্থায় ঘুমানোর আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার বিছানার আশেপাশে অফিস বা অন্য কোনো কাজ সংক্রান্ত কোনো জিনিসপত্র রাখা নেই।

আসলে এর পিছনে একটি বিশুদ্ধ মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। যখন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো আপনার চারপাশে উপস্থিত থাকে, তখন মনোযোগ কাজের দিকে চলে যায়। এটি মানসিক চাপ ও খারাপ ঘুমের কারণও হয়।
অকেজো জিনিস না রাখা
ভালো ও গভীর ঘুমের জন্য আশপাশের পরিবেশও একই রকম হওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতিতে ঘুমানোর আগে ঠিকমতো বিছানা প্রস্তুত করতে মাত্র পাঁচ মিনিট ব্যয় করুন। এ জন্য বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিসগুলো ঠিক করুন। বিছানা থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলুন এবং দূরে রাখুন। আশেপাশে নোংরা বাসন, ময়লা কাপড়, ওষুধ, কাগজপত্র বা খাবারের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে সেগুলো ভালোভাবে ঘুচিয়ে তবেই ঘুমাতে যান। এতে ঘুমের সময় ভালো লাগবে এবং ঘুমও ভালো হবে।

নরম খেলনা নিয়ে ঘুমাবেন না
শুধু শিশুরা নয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্করাও কখনো কখনো ঘুমানোর সময় তাদের সঙ্গে একটি বড় টেডি বিয়ার বা কিছু নরম খেলনা রাখেন। এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, নরম খেলনাগুলোতে প্রচুর ধুলাবালি ও আর্দ্রতার কারণে, ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু জমে থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে প্রিয় সফট টয় ছাড়া ঘুমাতে না পারলে নিয়মিত পরিষ্কার করুন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

কী কারণে চিরতা ভেজানো পানি পান করবেন?

লাইফস্টাইল, 22 January 2025, 599 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
চিরতা ভীষণ তিতা বলে অনেকেই তাতে পাত্তা দেন না। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কেননা এই ভেষজের গুণ অনেক। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি এই ভেষজ আরো অনেক উপকার করে।
১. আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে প্রায় সবারই সর্দি-কাশি-ঠান্ডা ইত্যাদি লেগে যায়। চিরতা ভেজানো পানি পান করলে সেসব অসুখ দূরে থাকে। কেন চিরতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত বেশি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চিরতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান, যা ক্ষতিকর প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।

banner

২. চিরতা ভেজানো পানি পান করলে হজমশক্তি ভালো হয়। আয়ুর্বেদেও এই ভেষজের ব্যবহার রয়েছে। হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এই পানীয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা, যেমন গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাতেও উপকার পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে চিরতা।

৩. শরীরে জমে থাকা সব বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে চিরতা। লিভার, কিডনিতে জমা দূষিত পদার্থ, বিপাকজাত ‘অপ্রয়োজনীয়’ ফ্যাট শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

৪. শীতে যাদের অ্যালার্জি হয়, অ্যালার্জি থেকে যাদের শরীর ফুলে যায়, চোখ ফুলে যায়, সর্দিকাশির সঙ্গে আরও নানা রকম সমস্যা হয়, তারা চিরতার পানি পান করতে পারেন। হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও এই পানি পান করলে উপকার পাবেন।

৫. ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতার পানি বেশ উপকারী। চিরতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিরতার পানি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়।

কীভাবে বানাবেন?
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে এক চা চামচ চিরতার পাতা দিন। সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খালি পেটে সেই পানীয় পান করুন। চাইলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন চিরতার পানিতে।