অনলাইন ডেস্ক :
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় এক হাজারের বেশি ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে। ওই ঘটনার পর ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি নাগরিকরা।
জবাবে সেই ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছেই।
এর মধ্যেই ভয়ঙ্কর ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইহুদিবাদী ওই ভূখণ্ডে। ইতোমধ্যে দেশটির হাসপাতালগুলোতে কয়েকশ’ মানুষ ছুটে গেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য।
সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার এনসেফালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে সেফেডের জিভ মেডিকেল সেন্টারে হাসপাতালে ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ভর্তি করা হয়। ওই শিশুর অবস্থা গুরুতর। টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিল।
এর আগে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মগজ খেকো অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও তাইবেরিয়ার গাই বিচ ওয়াটার পার্কে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ইসরায়েলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াটার পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা ইতোমধ্যে ওই ওয়াটার পার্ক পরিদর্শন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু ওয়াটার পার্কের পানিতে ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টাইবেরিয়াসের গাই বিচ ওয়াটার পার্কে যাওয়া ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গেছেন। পরে জানা গেছে, তারা কেউই ‘মগজ খেকো’ অ্যামিবায় আক্রান্ত হননি।
নেগেলেরিয়া ফাওলেরি নামে পরিচিত অ্যামিবা হ্রদ, নদী এবং উষ্ণ প্রস্রবণের মাটি এবং উষ্ণ মিষ্টি পানিতে বাস করে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের তথ্যানুসারে, অ্যামিবাযুক্ত পানি নাকের নাকের ভেতর দিয়ে মস্তিষ্কে সংক্রমণ হয়। এ কারণে এটিকে সাধারণত ‘মগজ খেকো অ্যামিবা’ বলা হয়। এই অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, জিউস নিউজ
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্য উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি হিমসাগর আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি কার্টনে করে আমগুলো ত্রিপুরায় পাঠানো হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ উপহারের আমগুলো গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেবেন।
আমগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস ক্লিয়ারিংসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী এমন উপহার পাঠিয়ে থাকেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই নিদর্শন এটি। আমি আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। এ উপহারের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. আল আমিন এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর গতকাল সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানিয়েছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে দেশটি বলেছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে তাদের কোনো হাত নেই। যদিও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে ইরান এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে সোমবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কোনো কারণ তার জানা নেই।
তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি, পাইলটের ভুল কিংবা আরও কিছু ঘটতে পারে।
অস্টিন বলেন, ইরানের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে আমাদের কাছে গভীর কোনো তথ্য নেই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের বৈরিতা। বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে ইরান যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে দোষারোপ করে থাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি ওয়াশিংটন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে। ওই বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেশটির জনগণের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইকারীদের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করছি।
রবিবার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি–আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। পরের দিন বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় হেলিকপ্টারটির সব আরোহী মৃত্যুবরণ করেছেন। সূত্র : চ্যানেলস টেলিভিশন
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বার্ষিকীতে তার কবরের কাছে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৭৩ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম। খবর বিবিসি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম ইরিব বলেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান শহরে সাহেব আল-জামান মসজিদের কাছে একটি মিছিলে ঘটানো বিস্ফোরণ আরও ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
কেরমানের ডেপুটি গভর্নরকে উদ্ধৃত করে এটি বলছে, এ হামলা একটি সন্ত্রাসী হামলা। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সড়কে বেশ কয়েকটি মরদেহ পড়ে আছে।
জেনারেল সোলাইমানির স্মরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার তার কবর অভিমুখে যাচ্ছিলেন শত শত লোক। ২০২০ সালে প্রতিবেশী ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন সোলাইনমানি।
ইরানের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পর সোলাইমানিকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে দেখা হতো।
রেভল্যুশনারি গার্ডের বিদেশি অপারেশন শাখা কুদস বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে তিনি সমগ্র অঞ্চলজুড়ে ইরানি নীতির একজন কারিগর ছিলেন। তিনি কুদস ফোর্সের গোপন মিশনের দায়িত্বে ছিলেন এবং হামাস এবং হিজবুল্লাহসহ মিত্র সরকার এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্দেশনা, অর্থায়ন, অস্ত্র, বুদ্ধিমত্তা ও লজিস্টিক সহায়তা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নিমূর্লের উদ্দেশে হামলা চালালেও দীর্ঘ প্রায় সাত মাসের যুদ্ধ শেষে লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি ইহুদিবাদী সেনারা।
এদিকে, পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংস করে এখন সেখানকার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফায় হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রুপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব সেনারা বলেছেন, রাফায় অভিযান চালানোর সময় ডাকা হলে তাতে সাড়া দেবেন না তারা।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে- দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে যুদ্ধ করার পর তারা কতটা ক্লান্ত তার চিত্র।
এদিকে সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।
হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে সোমবার জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।
ইসরায়েল হুমকি দিয়ে বলেছে- যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফায় হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে দখলদার বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক :
কয়েকদিন ধরে চলা নানান জল্পনার অবসান হলো আজ ২০ এপ্রিল বৃস্পতিবার। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গিয়েছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। কিন্তু এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার চাঁদা দেখা যায়নি। তাই আগামীকাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে অন্য দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে রোজা শুরু করলেও মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ঈদ উদযাপিত হবে শনিবার। মানে সৌদি আরবে রোজা হয়েছে ২৯ টি আর মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার রোজ হলো ৩০ টি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে এ বছর সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাল ২১ এপ্রিল শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ২০ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত চাঁদ দেখার সংবাদ জানিয়েছে। খালিজ টাইমসের খবর।
এদিকে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, থাইল্যান্ড, জাপান ও ফিলিপাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ২২ এপ্রিল শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে বলে ঘোষণা দেয়। কারণ, এসব দেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
ধারাবাহিকভাবে সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যের একদিন পর বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সেই হিসেবে আগামীকাল ২২ এপ্রিল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে। তবে কাল শুক্রবার চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
উল্লেখ্য, ইসলামিক চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী নবম মাস হলো রমজান। আর ১০তম মাস শাওয়াল, যার প্রথম দিন সারা বিশ্বেই ঈদুল ফিতর হিসেবে উদযাপিত হয়। আরবি শব্দ শাওয়ালের ভাষান্তর দাঁড়ায়, ‘রোজা ভাঙার উৎসব।’
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বের আনাচে-কানাচে বসবাসরত মুসলিমরা এই দিন শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে উৎসবটি উদযাপন করেন।
মালয়েশিয়ায় চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ শনিবার
এতিকে আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে, দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর আগামী শনিবার (২২ এপ্রিল) উদযাপিত হবে। খবর মালয় মেইলের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালয়েশিয়ার ‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’ সৈয়দ দানিয়াল সৈয়দ আহমদ বলেছেন, ইয়াং ডিপারতুয়ান আগাং (প্যারামাউন্ট রুলার প্রধান) আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ মালয়েশীয় শাসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে ঈদের তারিখ ঘোষণায় সম্মতি দিয়েছেন।
‘কিপার অব দ্য রুলারস সিল’র ভাষণটি স্থানীয় টেলিভিশনগুলোতে সম্প্রচার করা হয়।
শনিবার ঈদ হওয়ায় এ বছর একদিন বেশি ছুটি পাচ্ছেন দেশটির বাসিন্দারা। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, শনিবার ঈদ হলেও শুক্রবার থেকেই শুরু হবে সরকারি ছুটি। আর ঈদের দ্বিতীয় দিনের ছুটি রোববারে পড়ায় সেটি পাওয়া যাবে সোমবার।
এদিকে, মালয়েশিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি আরব দেশের ২৫ জন জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ যৌথভাবে এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার চাঁদ না দেখতে পাওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছেন।
আইএসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, চাঁদ দেখার বিষয়টি আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং আমাদের মুসলিম পূর্বপুরুষরা ব্যবহারিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অর্ধচন্দ্র দেখার জন্য বেশ কয়েকটি মানদণ্ড স্থাপন করেছিলেন। এই মানগুলো আজও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় এবং সেগুলো খালি চোখে চাঁদ দেখার সম্ভাবনা নির্ধারণে নির্ভুলতার জন্য সুপরিচিত।
প্রকৃতপক্ষে, পুরোনো এবং নতুন সব মানদণ্ড বলছে, আরব বিশ্ব থেকে বৃহস্পতিবার খালি চোখে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। এই প্রত্যাশা কোনো ব্যক্তি বা দলের মতামত নয়, বরং এটি বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্য।
সব বৈজ্ঞানিক মানদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উল্লেখ করতে চাই, বৃহস্পতিবার আরব বা ইসলামিক বিশ্বে খালি চোখে অর্ধচন্দ্র দেখা সম্ভব নয়, এমনকি টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও সম্ভব নয়।
আমিরাতভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, যেসব দেশে খালি চোখেই চাঁদ দেখা যায় বা এশিয়ার দেশগুলো, যারা টেলিস্কোপ দিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে; ধারণা করা হচ্ছে, সেসব জায়গায় রমজান মাস ৩০ দিন হবে এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে শনিবার (২২ এপ্রিল)।
তবে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। এ বছর এই দুই দেশ সৌদি আরবের সঙ্গে রোজ শুরু করে।