অনলাইন ডেস্ক :
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট মানেই ভারতের আধিপত্য। টুর্ণামেন্টের ৮ আসরের ৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতীয় নারী দলের ধারেকাছে কেউ ছিল না।
আজ ২৮ জুলাই রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু এবার হলো উল্টোটা। গ্যালারি ভর্তি লঙ্কান দর্শকদের উৎসবে মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।
স্মৃতি মান্ধানার ৬০ রানের সৌজন্যে ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৫ রান ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। চামিরা আতাপাত্তুর ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে লঙ্কানদের মেয়েদের হাতে উঠেছে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা।
মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মানেই চামিরা আতাপাত্তু। এবারের এশিয়া কাপে তিনি একাই টানছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের রান তাড়ায়ও জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিশমি গুনারত্নে রান আউট, দলের রান তখন মাত্র ৭। এরপর তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৬৩ বলে ৮৭ রান যোগ করেন আতাপাত্তু। ১২তম ওভারে দিপ্তি শর্মার নিচু হয়ে আসা বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬১ রান। ১৪১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে এটি আতাপাত্তুর দ্বিতীয় ফিফটি। একটি শতকও আছে এই বাঁহাতির। বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে এশিয়া কাপে আতাপাত্তুর রান তিন শ (৩০৪) ছাড়িয়ে গেছে।
বাকি কাজটা করেছেন সামারাবিক্রমা। মাঝের ওভারে ধরে খেলেছেন, সুযোগ বুঝে খুঁজে নেন বাউন্ডারিও। কাভিশা দিলহারির সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন সামারাবিক্রমা। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইক রেটের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কাভিশা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রানে, ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৮৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের ব্যাটে চড়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। দুজন মিলে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান যোগ করেন। মান্ধানা ছিলেন আক্রমণাত্মক, শেফালি খেলেছেন ধরে। কাভিশা দিলহারির করা পাওয়ার প্লের পরের ওভারে থামে শেফালির ১৯ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটির করে দেওয়া সুবিধাটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের পরের দুই ব্যাটার উমা ছেত্রি (৯) ও হারমানপ্রিত কৌর (১১)। তবে মান্ধানার সঙ্গে ২৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে জেমিমাহ ১৬ বলে ২৯ করে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
কাভিশার করা পরের ওভারে থেমে যায় মান্ধানার ইনিংসও। ৪৭ বলে ১০ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৩৩। সেখান থেকে দলের রান দেড় শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন রিচা ঘোষ। তাঁর ১৪ বলে ৩০ রান আসে ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া কাভিশা ছিল শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৬৫/৬
(মান্ধানা ৬০, রিচা ৩০, জেমিমা ২৯; কাভিশা ২/৩৬, সাচিনি ১/২০ প্রাবোধানি ১/২৭, আতাপাত্তু ১/২৮)।
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (হার্শিতা ৬৯*, আতাপাত্তু ৬১, কাভিশা ৩০*; রেদিপ্তি ১/৩০)
ফল: শ্রীলঙ্কা নারী দল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হার্শিতা সামারাবিক্রমা।
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশ কিংবা দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে কখনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচলো। লঙ্কানদের তাদেরই মাটিতে সিরিজ হারিয়ে ইতিহাস গড়লো লিটন দাসের দল। আজ ১৬জুলাই বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা। বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নেন শেখ মেহেদি। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল, মুস্তাফিজুর ও শামীম।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় শ্রীলংকা। পেস বোলার শরিফুল ইসলামের বলে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। এরপর শ্রীলংকা শিবিরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন মেহেদি।
ইনিংসের দ্বিতীয়, পঞ্চম, অষ্টম ও ১১তম ওভারে বল করতে এসে একের পর এক উইকেট তুলে নেন মেহেদি। নিজের করা প্রথম তিন ওভারে মেহেদি সাজঘরে ফেরান শ্রীলংকার তিন অধিনায়ককে।
প্রথমে আউট করেন সাবেক অধিনায়ক কুশাল পেরেরাকে। এরপর আউট করেন তিন বছর পর দলে ফেরা শ্রীলংকার সাবেক আরেক অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমালকে। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন শ্রীলংকার বর্তমান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে।
৩ ওভার শেষে ১১ রানে মেহেদি শিকার করেন ৩ উইকেট। এরপর ১১তম ওভারে আউট করেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। তিনি ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ছিলেন। মেহেদির বলে পরিস্কার বোল্ড হয়ে ফেরেন নিশাঙ্কা। তার আগে ৩৯ বলে চার বাউন্ডারির সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করার সুযোগ পান লংকান এই ওপেনার।
দলীয় ৬৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। দলীয় ৮৮ রানে শামিম পাটোয়ারীর বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। দলীয় ১০৩ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাফরি ভেন্ডারসি।
শেষ দিকে সাবেক অধিনায়ক দাসুন শানাকার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৩২ রান তুলে শ্রীলংকা। ২৫ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শানাকা।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। তাতে শুরুতেই বিপাকে পড়ে টাইগাররা। তবে তিনে নেমে সেই বিপদ সামাল দিয়েছেন লিটন।
রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তুলেছেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। এই দুজনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রান তুলে বাংলাদেশ। তিনে নেমে ২৬ বলে ৩২ রান করেছেন অধিনায়ক।
এরপরের গল্পটা শুধুই তানজিদ তামিমের। এই ওপেনার এক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২৭ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৭ বলে এক চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৭ রান করে। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভার 132/7
বাংলাদেশ : ১৬.৩ ওভার 133/2
ফল : বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী
অনলাইন ডেস্ক :
বার্সেলোনা কচি-কাঁচার দল। স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে কাতালানদের শুরুর একাদশে ২২ বছর বা তার কম বয়সী ৬ জন ফুটবলার ছিলেন। অ্যাথলেটিকো বিলবাওয়ের বিপক্ষে তাদেরই দুইজন গোল করেছেন। দলকে ২-০ গোলে জিতিয়ে তুলেছেন ফাইনালে।
বুধবার রাতে সৌদি আরবের কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকোর জালে ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রথম গোল দেয় বার্সা। ২০ বছরের তরুণ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার পাবলো গাভি দলকে প্রথমে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান ২-০ করেন লামিনে ইয়ামাল।
১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের ওই গোলেই ফাইনালে পা রাখে হানসি ফ্লিকের দল। ইয়ামালকে ওই গোলও করিয়েছেন স্পেনের ভার্সাটাইল মিডফিল্ডার গাভি। শুধু গোল দিয়ে নয় গাভি ও ইয়ামা নিয়ন্ত্রণ করেছেন পুরো ম্যাচ। তাদের রসায়নে কর্তৃত্ব করেই ফাইনালে গেছে বার্সা। যদিও অ্যাথলেটিকো বিলবাও ১০টি আক্রমণ তুলে গোলবারে দাঁড়ানো সেজনিকে ৫বার বেশ ভালোই পরীক্ষা দিয়েছেন।
১২ জানুয়ারি স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল মাঠে গড়াবে। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রিয়াল মায়োর্কার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে লস ব্লাঙ্কোসরা জিতলে ফাইনালে সুপার ক্লাসিকো অর্থাৎ রিয়াল ও বার্সার লড়াই দেখা যাবে। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনা রিয়ালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফ্রিজ-টিভি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার গোকর্ণ ফুটবল একাডেমি’র আয়োজনে গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় গোকর্ণ কিংসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে গোকর্ণ মটর সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সভাপতি বসির উদ্দিন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরনী সভায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোঃ কামরুজ্জামান খান, নিয়াজ মুহাম্মদ খান হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মোহাম্মদ তফছির, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, গোকর্ণ ফুটবল একাডেমির সভাপতি সাকিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও ফুটবলপ্রেমি সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। এর মধ্য দিয়ে টুর্ণামেন্টে জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
৩ জানুয়ারি শুক্রবার মিরপুরে চিটাগা কিংসের দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহী।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রান তোলায় গতি থাকলেও নিয়মিত উইকেটও হারায় রাজশাহী। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে তারা। বেশির ভাগ রানই আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাটে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫ বলে ৩২ রান করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন তিনি।
রাজশাহীর হয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৯ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ হারিস, সেটিই ছিল সর্বোচ্চ। এর বাইরে ইয়াসির আলী ও আকবর আলী ২০ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন। ইয়াসির ১৫ বলে ১৬ ও আকবর ১২ বলে ১৮ রান করেন।
বাকি ব্যাটাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। চিটাগংয়ের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম। তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে ২৩ রান দেওয়া আরাফাত সানিও।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল চিটাগং কিংস। তাসকিন আহমেদের বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। এরপরের দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার উসমান।
উসমান খানকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন। যদিও ২৫ বলে ৪০ রানে সোহাগ গাজীর বলে ফিরতে হয়েছে ক্লার্ককে।
তবে রানের গতি বাড়ানোর সঙ্গে ইনিংসও বড় করেছেন উসমান। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২১ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি কমেনি তার। যদিও সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই ফিরতে পারতেন উসমান।
সোহাগ গাজীর শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে সেটা লুফে নিতে পারেননি সাব্বির হোসেন কিংবা শফিউল ইসলামের কেউ। জীবন পেয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১২৩ রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন উসমান।
বিপিএলের ইতিহাসে এটি ৩৩তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের পাহাড় গড়েছে চিটাগং। এর আগে ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও উসমান সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
একের পর এক গোল করেই যাচ্ছেন আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার আল-ওয়াসলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন সিআর সেভেন। তার দলও জয় পেয়েছে বড় ব্যবধানে। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আল-ওয়াসলকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আল নাসর। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০তম জয় এটি রোনালদোর। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিংয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু হয় রোনালদোর। তিনি সেখানে ১৩ জয় পান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফায় খেলে ২১৪ ম্যাচে জয় পেয়েছে রোনালদো। পর্তুগিজ এই তারকার সবচেয়ে সফলতম ক্লাব ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তিনি ১০ মৌসুমে সেখানে ৩১৫ জয় পেয়েছেন। আর জুভেন্টাসে রোনালদোর জয় ৯২ ম্যাচে।
রোনালদোর জোড়া গোল ছাড়াও বাকি দুই গোল এসেছে আল ফাতিল ও আল হাসানের পা থেকে। এই ম্যাচেই আল নাসরের হয়ে অভিষেক হয় কিছুদিন আগেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে দলে ভেড়ানো কলম্বিয়ার স্ট্রাইকার জন ডুরানের। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আল নাসর। সিমাকানের পাস থেকে গোল করেন আলী আল হাসান। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের প্রথম গোলটি করেন রোনালদো। আর দ্বিতীয় গোলটি আসে দ্বিতীয় হাফে। ৭৮তম মিনিটে সাদিও মানের ক্রস থেকে দারুণ হেডে গোল করেন সিআরসেভেন। যা ক্যারিয়ারে তার ৯২৩তম গোল।
আল নাসরের হয়ে শেষ গোলটি করেন আল ফাতিল। ৮৮তম মিনিটে ব্রোজোভিচের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন তিনি। এ জয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তৃতীয় স্থানটা আরো মজবুত করল আল নাসর।