চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আগামী ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমমানের ৪৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা আজ ২৯ জুলাই সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোঃ বিল্লাল হোসাইন, ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সভায় দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদদূসসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমাতে সপ্তাহের ৫দিনই গণশুনানির ব্যবস্থা করছেন অফিসের উপ-পরিচালক শামীম আহমদ। সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি এ গণশুনানি পরিচালনা করেন।
এ সময় জেলার দূরদূরান্ত থেকে আগত সেবাপ্রার্থীরা যেমন হয়রানিমুক্তভাবে কার্যক্রম করতে পারছেন, তেমনি পাসপোর্ট করতে আসা অনেকের নানা সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে হয়রানি কমেছে।
৫ এপ্রিল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঘুরে দেখা গেছে, অফিসের প্রায় সবগুলো কক্ষেই কর্মব্যস্ততা। শামীম আহমদ এই অফিসে যোগদানের পর থেকেই অনেকটা কমে এসেছে আগের যত অভিযোগ। পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ভোগান্তি লাঘবে সরকার সপ্তাহের একদিন (মঙ্গলবার) গণশুনানির দিন ধার্য করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপ-পরিচালক শামীম আহমদ সপ্তাহের ৫ দিনই গণশুনানি করছেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে সেবাপ্রার্থীরা নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে এ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তিনি দ্রুত গতিতে এসব সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকেন।
কর্মকর্তারা জানান, প্রতিদিন অফিসে প্রায় ৩৫০টি পাসপোর্টের আবেদন পড়ে। পাসপোর্ট তৈরি হওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়। আবেদনের পর এগুলো যাচাই-বাছাই করে বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করে সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। প্রায় প্রতিদিনই বিপুল সংখ্যক পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করতে হয়। আবেদনগুলোতে ভুল বা অসঙ্গতির ফলে নানা সমস্যায় পড়তে হয় কর্মকর্তাদের। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে অনেকেই পাসপোর্টের আবেদন করছেন। ফলে আগের চেয়ে ভুল-অসঙ্গতি অনেকটাই কমে এসেছে বলে জানান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে সমস্যার সমাধান পেয়েছেন জেলার নবীনগরের সোবহান মিয়া। তিনি বলেন, আমার পাসপোর্টে নামের মধ্যে সমস্যা ছিল। উপ-পরিচালক এ সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। আগে কখনোই এতো কম সময়ে সমস্যার সমাধান হয়নি বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেননি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের কাজ করাতে হয়েছে। তবে এবারের ছুটিতে দেশে এসে আমার পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নামের সমস্যার সমাধান করতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে যেন নতুনভাবে দেখছি। আন্তরিক সেবা দেওয়ায় তিনি কর্মকর্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
একইভাবে প্রশংসায় ভাসান সদর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের আল মামুন। তিনি নির্মাণ শ্রমিকের কাজে মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন। কারও সহযোগিতা ছাড়াই তিনি পাসপোর্টের আবেদন করার পর সেটি হাতে পেয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাসপোর্ট অফিস সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা শুনলেও আমি তাদের কাছ থেকে আন্তরিক সেবা পেয়েছি। কাউকে কোনো উৎকোচ বা ঘুষ দিতে হয়নি।
এই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শামীম আহমদ জানান, সমসাময়িক অনেক কিছু না জানার কারণে পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা আবেদন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রায়ই ভুল করে বসেন। গণশুনানির ফলে সেবাগ্রহীতারা যেমন উপকৃত হচ্ছেন, তেমনি অফিসের কাজের গতিও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে পাসপোর্ট সেক্টরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরকার নির্ধারিত একদিনের বদলে সপ্তাহের ৫ দিনই গণশুনানির মাধ্যমে সেবাপ্রত্যাশীদের সমস্যা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দিচ্ছি। এ গণশুনানি চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটপাত দখল করে ফুল বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখান থেকে ফুল বিক্রেতাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে শহরের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা।
দন্ডপ্রাপ্ত ফুল বিক্রেতারা হলেন- জেলা শহরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা উত্তম কর্মকার (৪০) ও মধ্যপাড়ার বাসিন্দা রাজু মালাকার (২৫)। তাদের প্রত্যেককে সাতদিন করে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরো তিনদিনের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পথচারীরা ভোগান্তি পোহাতে হতো। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সংলগ্ন ফুটপাত দলখমুক্ত করতে ফুল বিক্রেতাদের নির্দেশ দেন। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তারা সেখান থেকে কোনো কিছু সরিয়ে নেননি। ফলে বেলা ২টার দিকে সেখানে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা। এসময় ফুল বিক্রেতা উত্তম কর্মকার ও রাজু মালাকারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। তবে অন্য ফুল বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে ফুটপাত থেকে ফুল বিক্রেতাদের সব সরঞ্জাম ও ফুল গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা জানান, ফুটপাতটি দীর্ঘদিন ধরে ফুল বিক্রেতাদের দখলে ছিল। তাই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় দুই ফুল বিক্রেতাকে কারাদন্ডসহ এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের নারী নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক উন্নয়নে আলাদা দলীয় তহবিল বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন। নারী নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনে যাতে দক্ষ নারী নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন লাভ করতে পারে এবং নির্বাচনে দলীয় প্রচারনায় দলীয় তহবিল এর জোগান নিশ্চিত করারও দাবি উত্থাপন করেন।
আজ ১১ মার্চ সোমবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে ‘নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ; এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ এই শিরোনামে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠান থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির নারী নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ এবং প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে গুরুত্বপূর্ন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনীতির মাঠে একজন নারী নেতা অর্থনৈতিকভাবে কি কি চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হয় তার বাস্তব চিত্র সকলের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে। দেখা যায় দল হতে নারীদের কোন প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকে না , আবার যারা দক্ষ ও যোগ্য স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হয় না, এমনকি অস্বচ্ছল কিন্তু যোগ্যতা সম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, দলের মূল কমিটিতেও তাদের স্থান দেয়া হয় না। ফলে সবক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে যাতে দলের যোগ্যনারী নেতৃত্ব যাতে ঝড়ে না পরে বা প্রতাপশালীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকটে না পারে , সেজন্য তাদের সুরক্ষা দেওয়া নিজ নিজ দলের দায়িত্ব। পাশাপাশি গনমাধ্যম ও সুশীল সমাজেরও দায়িত্ব রয়েছে এই সকল যোগ্য নারী নেতৃবৃন্দের পক্ষে কথা বলা এবং সমাজে ও দলের কাছে তার ইতিবাচক ইমেজকে প্রচার করা। এ লক্ষ্যে যদিও রাজনৈতিক দলের মধ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপকমিটি নিজ দলে অ্যাডভোকেসি করছে, পাশাপাশি এক দলের নারী নেতৃবৃন্দ অন্য দলের যোগ্যতাসম্পন্ন নারী নেতৃবৃন্দ কে সহায়তা করছে পারে সে জন্য মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন বিষয়ক উপ-কমিটি সক্রিয় রয়েছে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশন্যাল পরিচালিত স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) প্রকল্প এই উদ্যোগের সহায়তা করেছে।
সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, এডভোকেট ইসমত আরা, আবু কাউছার খান, মো, মনির হোসেন, মাল্টিপার্টি এডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আশিকুর রহমান পাঠান, মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ, নারীনেত্রী এডভোকেট জেসমিন, আনোয়ারা বেগম, হালিমা মোর্শেদ, মুক্তি খান, রুনাক সুলতানা পারভীন, খালেদা মুন্নী, আফরিন ফাতিহা জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ১৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আছর হতে উক্ত ইসলামী মহাসম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি সিবগাতুল্লাহ নূর।
প্রধান আকর্ষণ থাকবেন ঢাকা নারায়নগঞ্জের জামিয়া দায়েমিয়া ফতুল্লা এর মুহতামিম হযরত মাও: কামাল উদ্দিন দায়েমী। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আল বাতুল মাদ্রাসা কলেজপাড়া এর মুহাদ্দিস মুফতি তোফায়েল আহমদ নোমান। বিশেষ বক্তা থাকবেন মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি জাকারিয়াসহ তাশরিফ আনবেন দেশ বরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ। সহ-সভাপতিত্ব করবেন মধ্যপাড়া দিঘীরপাড় জামে মসজিদের খতিব মুফতি তাফাজ্জুল হক।
মাহফিল পরিচালনা করবেন হাফেজ মাওঃ খালেদ সাইফুল্লাহ, হাফেজ তাহসিন আহমদ, হাফেজ খালেদ সাইফুল্লাহ। উক্ত মাহফিলের উপস্থিত থেকে দ্বিন ও আখেরাতের অশেষ নেকী হাসিলের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মধ্যপাড়া আলোকিত দিঘীরপাড় সামাজিক সংগঠন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আজ ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে জেলা শহরের জেল রোডে দি ল্যাব এইড স্পেশাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিল্লুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া তিনি হেপাটাইটিস-বি’তে আক্রান্ত ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যার আগে জেলা শহরের ফুলবাড়িয়ায় নিজ বাড়িতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে জিল্লুর রহমান স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা শেষে জানাযার সময় জানানো হবে।