চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোর নিহত হয়েছে। গতকাল ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে উপজেলার নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক সড়কের কালিকচ্ছ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মুহিত (১১) উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় বাড়ির সামনে রাস্তার উপর থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মানসিক প্রতিবন্ধী মুহিত আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে শাহিদা আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাঁকে জড়িয়ে ধরে দগ্ধ হয়েছে দেড় বছর বয়সী মেয়ে সন্তানটি। দগ্ধ হয়েছেন গৃহবধূর স্বামী আল-আমীন (৩০)। তাঁদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তির পর ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ মারা যান।
গত সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আল-আমীনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাহিদার ছোট ভাই আবিদ মুন্সি। আল-আমীন ও তাঁর মেয়ে আলিফা আক্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছে। শাহিদার লাশ গতকাল রাতে গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট বছর আগে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আলাই মুন্সির মেয়ে শাহিদা আক্তারের সঙ্গে মধ্যপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে আল-আমীনের বিয়ে হয়। তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। প্রথমে আল-আমীনের পরিবার বিয়ে মেনে নিতে না চাইলেও পরে যৌতুক পেয়ে মেনে নেয়। তাঁদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বিয়ের পর আল–আমীনকে যৌতুক দেওয়া হয় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এ টাকায় আল-আমীন মধ্যপ্রাচ্যে যান। তিন বছর আগে দেশে ফিরে তিনি ভবঘুরে স্বভাবের হয়ে পড়েন। টাকার অভাব হলেই তিনি স্ত্রীকে মারধর করতেন। শাহিদার পরিবার থেকে একাধিকবার টাকাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শাহিদাকে নিয়মিত মারধরের কারণে গ্রামে একাধিকবার সালিসও হয়েছে।
সোমবার সকালে টাকার জন্য শাহিদা আক্তারকে মারধর করতে থাকেন আল-আমীন। একপর্যায়ে নিজের মোটরসাইকেল থেকে পেট্রল বের করে শাহিদার গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। অগ্নিদগ্ধ শাহিদা যখন চিৎকার করছিলেন, তখন তাঁর দেড় বছরের শিশু আলিফাও চিৎকার দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে। এতে শিশু আলিফা দগ্ধ হয়। নিজের দেওয়া আগুনে আল-আমীনও দগ্ধ হন। গ্রামের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকেই সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী শাহিদার ছোট ভাই আবিদ মুন্সি বলেন, ‘যৌতুকের জন্য পাষণ্ড আল-আমীন আমার বোনকে আগুনে পুড়িয়ে মারছে। আমরা তার ফাঁসি চাই।’
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অগ্নিদগ্ধ আল-আমীন শঙ্কামুক্ত হলেও তাঁর মেয়ে শঙ্কামুক্ত নয়। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। পুলিশের নজরদারিতে আল-আমীনের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে একই এলাকার হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। ২১৬ শতাংশ জয়গায় বন্টননামা একটি ভূয়া দলিল করে শতবর্ষ পুরনো একটি পুকুর জবরদখলের পায়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমান এলাকায় বিভিন্ন লোকের নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ৮টি মামলা করেন, বর্তমানে ৭টি মামলা মিথ্যা বলে তদন্তকারি সংস্থা প্রতিবেদন প্রদান করেন। তারা আরও জানান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং গত (০৩ ডিসেম্বর) শনিবার দুপুর ২টার সময় হাবিবুর রহমানের পক্ষে মহামান্য আদালতের রায় পেয়েছে তা গ্রামে ঘোষণা করা হবে বলে সহজ সরল মানুষের মাঝে মাইকিং এর মাধ্যমে অপপ্রচারণা চালান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান ও তার সঙ্গীরা। এই নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান দীর্ঘদিন থেকে এই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন এবং দখলে রয়েছেন তারা। তারা আরও বলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে হাবিবুর রহমান ও তার সংঙ্গীরা, যেকোন সময় তাদের পরিবারের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলেও অভিযোগে বলা হয়। এছাড়াও হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে জবর দহলের পাঁয়তারা করে বেড়াচ্ছেন। এই নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মো. এলাই মিয়া বাদী হয়ে, হাবিবুর রহমানসহ ৪ চার জনকে আসামী করে সরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকার দুস্কৃতিকারীদের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের উদ্বর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানিয় ভুক্তভোগীরা।
তবে এ বেপারে অভিযোগ তদন্ত কারি সরাইল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক পংকজ দাস জানান, এই পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদী বিবাদীগণকে বলা হয়েছে কোন অপপ্রচার বা দাঙ্গা সৃষ্টি করলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আজ ১১ অক্টোবর বুধবার আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ বিভিন্ন পার্টির ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রার্থীরা সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত মোঃ শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আবদুল হামিদ, জাকের পার্টি মনোনীত জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচনে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ, দুপুর পৌনে ১টার দিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, পরে পর্যায়ক্রমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত মোঃ রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহিম।
অপরদিকে দুপুর সোয়া ১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল।
মনোনয়রপত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, ১৯৭৩ সালের পর এই আসনে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টির প্রার্থী। উপ-নির্বাচনে দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা খুশী। জনগনের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিব ইনশাল্লাহ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমার অসমাপ্ত কাজগুলোসমাপ্ত করার জন্য উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের অনুসারী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। জাতীয় পার্টিতে দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা আছে। যার কারনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আশা করি নির্বাচনে জনগণের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আমি বিজয়ী হবো।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, এক মাসের জন্য নির্বাচন হলেও এটি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আমার বিশ্বাস। কেননা এর পরই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আশা করি নির্বাচন কমিশন এবং সরকার চাইবেনা নির্বাচনটি বিতর্কিত হোক। আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহগীর আলম বলেন, উপ-নির্বাচনে ৬জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপীল ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপীল নিষ্পত্তি ১৮ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর ও আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে আব্দুল হাকিম (৪২) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার দুপুর ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বল্প নোয়াগাও উত্তর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হাকিম ওই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আব্দুল হাকিমের স্ত্রী বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ছেলের সাথে পরকীয়া করছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের পরিবারে কলহ লেগে ছিল। এর জের ধরে আব্দুল হাকিম বুধবার মাছ মারার বিষপান করে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ. স. ম. আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছাগলে চারাগাছ খাওয়ায় জীবন দিতে হলো অটোরিক্সা চালক লিয়াকত মিয়াকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার কিল-ঘুসিতে লিয়াকত মিয়া (৪৫) নামে এক অটোরিক্সা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানা-পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, ওই গ্রামের ছান্দু মিয়ার ছেলে লিয়াকত মিয়ার ছাগল প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে চারাগাছ খেয়ে ফেলে। এতে রেজেক মিয়া ছাগলটি আটকে রাখে। শুক্রবার সন্ধ্যায় লিয়াকত মিয়া প্রতিবেশী রেজেক মিয়ার বাড়িতে ছাগল আনতে গেলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রেজেক মিয়া কিল ও ঘুসি দিয়ে দুহাত দিয়ে গলায় টিপে ধরলে লিয়াকত মিয়া অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় স্বজনেরা তাকে সরাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, পাকশিমুল এলাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় লিয়াকত মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ সরাইল থানায় আছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে থানায় এখনো মামলা হয়নি।