চলারপথে রিপোর্ট :
সভাপতি পদে উপনির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল মোতাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভোটগ্রহন আগামী ১০ আগস্ট বিকেল ৩ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব উপনির্বাচন ২০২৪ এর নির্বাচন কমিশনার মো. ইকরামুল হক নাহিদ ঘোষিত তফসিল সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও দাখিল ৩ জুলাই মঙ্গলবার। মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার। মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ২ আগস্ট শুক্রবার। যাচাই বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ৩ আগস্ট শনিবার। আপলি দায়ের ৪ আগস্ট রবিবার। আপিল নিষ্পত্তি ৫ আগস্ট সোমবার। প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ- ৬ আগস্ট মঙ্গলবার। ভোট গ্রহন ও ফল প্রকাশ ১০ আগস্ট শনিবার।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ২৬ মে রবিবার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল-আমিন।
বক্তব্য রাখেন মো: আলম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবল বৃষ্টিতে শহরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গত রবিবার থেকে আজ ৮ আগস্ট মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন মহল্লার রাস্তা-ঘাট।
কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি রাস্তা উপচে বিভিন্ন দোকান-পাট ও বাড়ি-ঘরে ঢুকে পড়েছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে শহরবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। শহরের অধিকাংশ ড্রেনগুলো ময়লায় আটকে আছে। দিনের পর দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ এসব ড্রেন পরিষ্কার করার তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না। সে কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে পৌরসভার কিছু কর্মীদের ড্রেনগুলোকে নামমাত্র পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মহল্লায় থাকা খাল, নালা এবং পুকুর প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হালদারপাড়া, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) সামনের রাস্তা, পাইকপাড়া রামকানাই হাই একাডেমির সামনের রাস্তা, মেড্ডা সিও অফিসের মোড়, মেড্ডা পোদ্দার বাড়ির সামনের রাস্তা, মেড্ডা আরামবাগ, নোয়াপাড়া, কাউতলী থেকে মৌড়াইল জেলা পরিষদের সামনের রাস্তা, কালাইশ্রীপাড়ার রাস্তা, কালীবাড়ি মোড় থেকে পৈরতলা বাসস্ট্যান্ড, কুমারশীল মোড়, ফুলবাড়িয়ার রাস্তাসহ একাধিক এলাকায় রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোথাও গোড়ালি পর্যন্ত পানি। আবার কোথাও কোথাও বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তবে, পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি মানুষের সচেতনতার অভাবে শহরে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে। তাদের দাবি পর্যাপ্ত ডাস্টবিন থাকা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন মহল্লার কিছু কিছু মানুষ তাদের বাসা বাড়ির বর্জ্য ডাস্টবিনে না ফেলে ড্রেনে ফেলে দেওয়ায় ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যার দরুন শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদুস বলেন, ফুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল সেটি দিয়ে পানি টাউন খালে নেমে যেত। ফোরলেন কাজের সময় সেই ক্যানেলটি বন্ধ করে দিয়েছে তাই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে লোক পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই পানি নেমে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর (বড়গোষ্ঠী ও মহাজোট) লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়েছে।
এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করা হয়।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে ৫জন পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫জন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি ককটেল, ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন (৩৫) সহ ৮ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করে। অস্ত্রধারী মোঃ জসিম উদ্দিন বিরাসার বড় গোষ্ঠীর মোঃ নূরুল ইসলামের ছেলে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি করার সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত রোববার রাতে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিরাসার গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বড়গোষ্ঠীর কাসেম মাস্টার ও চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বাবুল মিয়ার গোষ্ঠীর আল-আমিনের সাথে একই এলাকার মহাজোট হিসেবে পরিচিত পৌরসভার প্যানেল মেয়র মিজান আনসারীর গোষ্ঠী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও সৈয়দ আলী মিয়ার গোষ্ঠীর নূরুল্লাহ ও সুজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার জেরে সোমবার বিকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র রিভলবার এবং ককটেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আড়াই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫ পুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪০টি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এবং ৪/৫টি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে দাঙ্গাবাজরা। এ সময় ককটেলের বিষ্ফোরনে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। নারী ও শিশুরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা, ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ সময় পুলিশ গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলিসহ বড়গোষ্ঠীর মোঃ জসিম উদ্দিন-(৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরো ৭ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেলের আঘাতে সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের ব্যুরোচীফ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোঃ সোহেল সহ ৫ পুলিশ সদস্য এবং উভয় পক্ষের আরো ৩০ জন আহত হয়।
আহতরা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, জুয়া খেলার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সোমবার সংঘর্ষের বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। তিনি বলেন, বিরাসার গ্রামের কয়েকটি গোষ্ঠী এই সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বড়গোষ্ঠীর নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মোঃ বাবুল মিয়ার সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল নাম্বারে-০১৭১১-৪৬৪৪৮৫ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আনসারী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, মঙ্গলবার সকালে বড়গোষ্ঠীর আহত একজন মারা গেছেন এমন গুজব তুলে বড়গোষ্ঠীর দাঙ্গাবাজরা মহাজোটের লোকদের বাড়ি-ঘরে হামলা করলে সারা গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, সংঘর্ষ এখন নিয়ন্ত্রনে আছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩ রাউন্ড কাঁদানো গ্যাস এবং ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ৩ টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং ৮জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে গুলি করার সময় একটি বিদেশী পিস্তলসহ ৫ রাউন্ডগুলিসহ মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক অস্ত্রবাজকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতায় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বয়সের দুই ২৫০ জন দৌড়বিদ প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা উদ্বোধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির এডমিন অলি আহাদ রতন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ২১ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার এবং ৫ কিলেমিটার ক্যাটাগরিতে হাফ ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। দৌড়বিদরা শহরের শিমরাইলকান্দি হয়ে শেখ হাসিনা সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক) দিয়ে বিজয়নগর উপজেলা ঘুরে আবারো শেখ হাসিনা সড়কের তিতাস সেতুতে ফিনিসিং পয়েন্টে এসে শেষ হয়।
আয়োজকরা জানান, ভোরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করতে রাশিয়া, জাপান, ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন বয়সী ২৫০জন দৌড়বিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হয়। পরে সেখান থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হাফ ম্যরাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীকারীরা জানান, সুস্থ দেহ ও সবল মনের জন্য দৌড়ের কোনো বিকল্প নেই। সিলেট থেকে আসা দৌড়বিদ গোলাম রাহাত তোফায়েল বলেন, আমি দেশের বিভিন্ন জেলায় ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে থাকি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অংশ গ্রহন করে খুব ভালো লাগছে।
পটুয়াখালী জেলা থেকে আসা দৌড়বিদ মশিউর রহমান পলাশ বলেন, আমি প্রথমবারের মতো ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছি। ম্যারাথনে অংশ গ্রহণ করে আমার খুব ভালো লাগছে। আগামীতে দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ের ম্যারাথনে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
ফারজানা খানম নামে এক নারী দৌড়বিদ বলেন, জীবনের প্রথমবারের মতো আমি ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে নারীদের মধ্যে আমি প্রথম হয়েছি। শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটা মানুষের দৌড়ানো উচিত।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষন দেবনাথ বলেন, আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় আমাদের দেশসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষসহ ২৫০ জন দৌড়বিদ অংশ গ্রহণ করেছে। আজ হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে আগামীতে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করার চেষ্টা করবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির এডমিন অলি আহাদ রতন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা প্রথমবারের মতো হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছি। আমাদের সুস্থতার জন্য দৌড়ানো উচিত। সবার কাছে এমন তথ্য পৌছে দেয়ার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। আগামীতে সকলের সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল্টা বা ফুল ম্যারাথন প্রতিযোগীতা করার চেষ্টা করবো।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর উৎস দাস গুপ্ত জানান, প্রতিযোগীরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়ে সেজন্য প্রতিযোগীতা শুরুর সময় সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়। ম্যারাথন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের নিরাপত্তার জন্যও আমরা কাজ করেছি।
প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কবি আল মাহমুদের ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার বিকালে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খান সাদাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মো. লিয়াকত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, দৈনিক ঐশী বাংলার সাহিত্য সম্পাদক ডা. এস. এম. শাহনূর।
কবি ও সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি লিটন হোসাইন জিহাদ।
বক্তারা বলেন, কবি আল-মাহমুদ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ারই গর্বের সন্তান নয়, তিনি সারা বাংলাদেশের সম্পদ। বক্তারা কবি আল মাহমুদের সাহিত্য চিন্তা, রাজনীতি, সাংবাদিকতা এবং তার বিপ্লবী চেতনার গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, আল মাহমুদ শুধু একজন কবিই ছিলেন না, ছিলেন সময়ের প্রহরী। তার লেখনীতে উঠে এসেছে গ্রামীণ জীবনের সত্য, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের অন্তর্লৌকিক জীবনবোধ।
বক্তারা বলেন, আল-মাহমুদ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছিলেন। কবিকে বিগত সরকারের সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সমাহিত করা হয়নি। বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আল-মাহমুদের কবর সংরক্ষণ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মাহমুদ কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় তারা বলেন, তার নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে আগামী প্রজন্ম তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে এবং অনুপ্রাণিত হবে। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।