আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার ও আগামীকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুইদিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাভাবিক হবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধান সভা নির্বাচন উপলক্ষে এ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী কার্যক্রম বন্ধ রাখার বিষয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা স্থল বন্দরের ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার এর সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেব সই করা একটি চিঠি আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের কাছে পাঠিয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিধান সভার নির্বাচন কেন্দ্র করে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, এ সময় স্থলবন্দর দিয়ে স্বাভাবিক থাকবে দুই দেশের যাত্রী পারাপার কার্যক্রম। আর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আগামী শনিবার অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমাদের ব্যবসায়ী কার্যক্রম চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়।
সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ১০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পাহাড়ি পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি ওঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত যান চলাচলের উপযোগী করা যাবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নিজ হাতে গড়া স্কুল মাঠে শেষ বিদায়ের জানাজা হলো শিক্ষা অনুরাগী আবুল বাশার মোবারকের (৭০)। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা ও সাবেক সভাপতি ছিলেন।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মোবারক হোসেনের জানাযায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানায় শিক্ষা অনুরাগী সমাজ সেবক মোবারক হোসেনকে। এর আগে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানাযার পূর্বে মোবারকের হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগ নেতা আব্দুল মমিন বাবুল, বাজার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বাবুল পারভেজ, শিক্ষক নেতা কাজী মোঃ ইকবাল, স্কুল কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ সহিদ মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা স্কুল প্রতিষ্ঠায় মোবারক হোসেনের অবদানের কথা স্মরণ করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মূল্যবান সম্পদ (ভূমি) দিয়েছেন। তিন বার বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সীমান্ত এলাকায় শিক্ষা প্রসারে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, মোবারক হোসেনের মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। বিদ্যালয়ের সদ্য বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগম তার বিরুদ্ধে কমিটির অনুমোদন ছাড়া আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। মামলার কারণে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। বক্তারা মোবারক হোসেনের মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষিকাকে দায়ী করে বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অনিয়মের অভিযোগে মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। বুধবার সকালে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে বিষয়টি জানার জন্য মোবারক হোসেনসহ কয়েকজন সদস্য বিদ্যালয়ে যায়। হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করলে বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদও হাসপাতালে নিয়ে যায। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।
নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক সেলিনা বেগমের মামলার কারণে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বিচার চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করে। ফলে নতুন করে আর কোনো গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়নি।
এছাড়া হাওড়া নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পানিবন্দী অবস্থায় আছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। চুলা ডু্বে যাওয়ায় রান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের।
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গত ২১ আগস্ট আখাউড়া উপজেলার বঙ্গেচর, আব্দুল্লাহপুর, খলাপাড়া, বাউতলা, আড়িয়ল ও কালিকাপুরসহ প্রায় ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। পর দিন ২২ আগস্ট পরিস্থিতির অবনতি হলে নতুন করে আরও অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এছাড়া আখাউড়া উপজেলার কর্ণেল বাজার ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দু’টি বাঁধ ঢলের পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়।
তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাহাড়ি ঢলের পানির বেগ কমায় এবং বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। দুর্গত এলাকাগুলো থেকে সরতে শুরু করেছে পানি। তবে পানি পুরোপুরি না সরায় মানুষজনের দুর্ভোগ কমেনি।
আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের খলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা নারগিস আক্তার জানান, গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে পানির তোড়ে তাদের বসতঘর ভেসে যায়। কোনো জিনিসপত্রই রক্ষা করতে পারেননি। বর্তমানে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। পানিতে ঘরের জায়গার মাটি সরে যাওয়ায় নতুন করে ঘরও বানাতে পারবেন না।
আবুল কাশেম নামে ব্যক্তি বলেন, ‘ঘর থেকে পানি নেমে গেলেও বাড়ির উঠানে পানি জমে আছে। এর ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বেশি, কখন পানিতে পড়ে বিপদ ঘটে।’
এদিকে হাওড়া নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, গতকাল রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হাওড়া নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় প্রশাসন থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া পানি কমে গেলে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত করে যান চলাচলের উপযুক্ত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া প্রেসক্লাবের নতুন কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি দুলাল ঘোষ এর সভাপতিতে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
সভার প্রথম অধিবেশনে বিগত বছরের আয় ব্যয় উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সবার সর্ব সম্মতিক্রমে শাহাদাত হোসেন লিটনকে (দৈনিক মানবজমিন) সভাপতি ও মোঃ ফজলে রাব্বিকে (দৈনিক ইত্তেফাক) সাধারণ সম্পাদক করে দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মফিকুল ইসলাম সুহিন (ডেইলি বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম (দৈনিক যায়যায়দিন), তাজবীর আহমেদ (দৈনিক আমাদের সময়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম (প্রতিদিনের সংবাদ), সাংগঠনিক সম্পাদক- নাজমুল আহমেদ রনি (দৈনিক সময়ের আলো), দপ্তর সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম রনি (দৈনিক খোলা কাগজ), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল মামুন (বিজয় টিভি), কার্যকরী সদস্য- মোঃ রফিকুল ইসলাম (দৈনিক আজকের হালচাল), দুলাল ঘোষ (দৈনিক সংবাদ), নাসির উদ্দিন (দৈনিক সমকাল)।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।