অনলাইন ডেস্ক :
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আপাতত শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রেন চলাচলকে কেন্দ্র করে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্টেশন ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ছেড়ে আসা কাঞ্চন কমিউটার সকাল ৯টায় ও বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে পঞ্চগড় স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
তবে কোনো আন্ত:নগর ট্রেন চালু হয়নি।
প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধের পর স্বল্প দূরত্বে ট্রেনগুলো চালু হলেও যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্টেশনে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফরমে ঢুকতে দিচ্ছে না রেলওয়ে পুলিশ ও গার্ড।
দিনাজপুর রেলস্টেশন সুপার এ বি এম জিয়াউর রহমান জানান, ট্রেনগুলো বন্ধ থাকার পর আজ প্রথম দিন পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসছে। যাত্রীসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। তবে ট্রেন চালু হওয়ার খর সবাই জেনে যাওয়ার পর যাত্রীর চাপ বাড়বে। ট্রেন দুটি নিরাপদে দিনাজপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় এবং যাত্রী ওঠানামার পর আবার দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে পঞ্চগড় অভিমুখে ছেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে পার্বতীপুর জংশন রেলস্টেশন মাস্টার (এসএম) রেজাউল করিম বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুটি আমাদের হলেও অন্য দুটি ট্রেন লালমনিরহাটের অধীনে চলাচল করবে। তবে দূরপাল্লার আন্ত নগর ট্রেন চালুর কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণ নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ ২৫ মে রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম যুগ যুগ ধরে আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে, অনুপ্রাণিত করেছে। জুলাই আন্দোলন এবং বিগত ১৫ বছরের আন্দোলনে তার লেখনী আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছে। শত আঘাতের মধ্যেও তিনি আমাদের প্রেরণার উৎস। শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার জন্য নজরুল আমাদের তাগিদ দিয়েছেন। জাতীয় ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে তিনি আমাদের অঙ্গীকারবদ্ধ করেন, অনুপ্রাণিত করেন। সে কারণে আজও তিনি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা চলমান সংকটকে ঘনীভূত করার চেষ্টা করছেন। তারা নিজেদের দায়িত্ব বাদ দিয়ে অন্য কোনো অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করলে আমরা তার প্রতিবাদ করবোই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণ নিরপেক্ষ আচরণ আশা করে। কোনো দলকে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব তাদের না। এমনটি হলে জনগণ মানবে না। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা আঘাত করবে সুযোগ পেলেই। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা। না হলে স্বৈরাচারের দোসররা সুযোগ গ্রহণ করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এ নৌকাই পারবে মানুষকে উন্নত জীবন দিতে, শান্তি-সমৃদ্ধি দিতে। এই নৌকায় আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকায় ভোট দেবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যই আজকের নির্বাচন। কাজেই এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করবেন। আপনার ভোট আপনি রক্ষা করবেন আর অগ্নিসন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী বিএনপি-জামায়াতকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেবল নিজে নয়, পরিবার-পরিজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
ফরিদপুর, মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলার নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকা মার্কার প্রার্থীদের আপনাদের দিয়ে গেলাম। তারা আপনাদের সেবা করবে, আসনবাসীর সেবা করবে। আপনারা তাদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকার প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন। এসময় টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না, টাকা দিয়ে মানুষকে কেনা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘তরুণ সমাজ বা তারুণ্যই হচ্ছে উন্নয়নের অগ্রদূত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ভোট প্রত্যাশা করেন এবং অন্যান্য নির্বাচনী জনসভার মতো প্রথমবারের মতো ভোটারদের নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, মাগুরা-১ আসনের প্রার্থী সাকিব আল হাসান, রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ আসনের প্রার্থী ঝিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ক্রমেই আন্দোলন তীব্র হয় এবং অসংখ্য মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অবশেষে আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সম্প্রতি পুলিশের গুলি করা নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ সময় সেখানে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের গুলির বিষয়টি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে জানাচ্ছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারি বিভাগে উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মাদ ইকবাল। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘গুলি করে করে লাশ নামানো লাগছে স্যার। গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা।
একটাই যায় স্যার, বাকিডি যায় না। এইটা হলো স্যার সবচেয়ে বড় আতঙ্কের এবং দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এ ঘটনায় (ডিসি) মোহাম্মাদ ইকবালকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল ১৯ আগস্ট সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীতে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয় তাকে।
তিনি এখন ডিএমপির ডিবি হেফাজতে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেছেন, ইকবালের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত তা তারা জানেন না। তারা শুধু তাকে হেফাজতে রেখেছেন।
আন্দোলনের পুরো সময় মোহাম্মদ ইকবাল ওয়ারি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকা তার আওতাধীন ছিল। আন্দোলনের সময় এই দুটি জায়গাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। আন্দোলনের মোট নিহতদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পুলিশ ও জনতা হতাহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায়।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বিডিএস জরিপ এলাকার মধ্যে থাকা জমির মালিকদের চলমান জরিপ সম্পর্কে পর্যাপ্তভাবে অবহিত করা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর ভূমি ভবনে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) কার্যক্রমের ইডিএলএমএস প্রকল্প (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্টদের তিনি এই নির্দেশ দেন। এ সময় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ, ইডিএলএমএস প্রকল্পের পরিচালক মো. জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ও ইডিএলএমএস প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া হতে আগত প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী জরিপ প্রক্রিয়া চলাকালীন জমির মালিকদের অজ্ঞাত থাকার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায়শই দেখা যায় যখন জরিপ করার সময় প্রকৃত মালিক অনুপস্থিত থাকেন। তাদের অজান্তে জরিপ কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।’
অতীতের বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জমির মালিকরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে জমি বিক্রির সময় আবিষ্কার করেন যে ভুলভাবে জরিপ করা হয়ে গিয়েছে এবং অন্য কারো নামে জমির খতিয়ান গেজেট হয়ে গিয়েছে। ফলস্বরূপ, বৈধ মালিকদের তাদের সম্পত্তির অধিকার পুনরুদ্ধারের বছরের পর বছর আইনি ও অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়তে হয়।’
মন্ত্রী বিডিএস জরিপ কর্মকর্তাদের স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে জরিপের বিষয়ে প্রচারের নির্দেশ দেন, যাতে এলাকার ও এলাকার বাইরে বসবাসকারী মানুষ জানতে পারেন তাঁদের এলাকায় জরিপ হচ্ছে। মূল্যবান সম্পদ তথা নিজ জমির বিষয়েও নিয়মিত খোঁজখবরও রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ভূমিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ছয়টি এলাকায় চলমান জরিপের প্রথম পর্যায়ের বিডিএস কার্যক্রম শেষ হবে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভায় বিডিএস কর্মকর্তারা ভূমি মন্ত্রীকে জানান, উল্লিখিত এলাকায় গ্রাউন্ড কন্ট্রোল পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগির-ই বিমান, ড্রোনসহ অত্যাধুনিক যন্ত্র দিয়ে ম্যাপ তৈরির কাজ শেষ শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকার বেঁধে দেওয়া দরে আলু বিক্রি না করায় জয়পুরহাটের কালাই পৌরশহরের শিমুলতলী আরবি হিমাগারের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেলে কালাই পৌরশহরের শিমুলতলী আরবি হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া আঞ্চলিক ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক ইফতে খারুল আলম রিজভি।
বগুড়া আঞ্চলিক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক ইফতে খারুল আলম রিজভি জানান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫টি পণ্য ডিম, আলু, পিয়াজ, চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু বিভিন্ন হিমাগারে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজির বিপরীতে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেন। ক্রেতাদের ঠকিয়ে বেশি দাম আদায় করছেন এমন খবরের ভিত্তিতে হিমাগারের আলু ব্যবসায়ী মোস্তফা, মোসাদ্দেক হোসেন এবং মিজানুর রহমানের মোট পনের হাজার টাকা জরিমানাসহ তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
বাজারে সরকার নির্ধারিত ওই ৫টি পণ্যের দাম কোনভাবেই যেন ব্যবসায়ীরা বেশি নিতে না পারেন তার জন্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানের সময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।