অনলাইন ডেস্ক :
আগস্ট মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু আগামী রোববার (৪ আগস্ট)।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার টিসিবির যুগ্ম-পরিচালক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মহতী উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে চালসহ টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্য তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগস্ট মাসের বিক্রয় কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে সারা দেশে শুরু হবে।
এ বিক্রয় কার্যক্রম ডিলারদের দোকান/নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে সিটি করপোরেশন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালনা করা হবে।
আগস্ট মাসের ঢাকা তেজগাঁও শিল্প এলাকার কলোনীবাজারে সকালে এ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
কার্ডধারী ভোক্তা সাধারণ নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে নিম্নলিখিত পণ্য সামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
ভোক্তারা সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল ১০০ টাকায়, দুই কেজি মশুর ডাল ৬০ টাকায় ও ৫ কেজি চাল ৩০ টাকায় নিতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
আজ ২১ এপ্রিল রবিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিন্নির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান।
এর আগে গত বছরের ৮ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন তিনি। পরে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় এলে পরে আর শুনানি হয়নি।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।
এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।
পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।
হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইজতেমা ময়দানে নিরীহ মুসল্লিদের ওপর সাদ পন্থীদের হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং দেশব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসার তৌহিদী জনতা শহরের টেংকের পাড় মাঠে এসে সমাবেত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্টরোড ও মাদরাসা মোড়সহ বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদিক্ষিন করে কাউতলী মোড় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, হেফাজত ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, দফতর সম্পাদক মাওলানা বেলাল হোসাইন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাদপন্থীদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবি জানান। পাশাপাশি দেশ ব্যাপী সাদ পন্থীদের কার্যক্রম নিষিদ্ধেরও দাবি তুলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটের তুলশীগঙ্গা নদীর তীরের সন্যাসীতলা মন্দিরের পাশে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঘুড়ির মেলা। গ্রামীণ এ মেলাটি সন্যাসতলীর ঘুড়ির মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলার সঠিক ইতিহাস কেউ বলতে না পারলেও জনশ্রুতি রয়েছে, সন্যাসী পূজাকে ঘিরে ২০০ বছরের বেশি সময় আগে মেলাটির শুরু। সেই থেকে পঞ্জিকা অনুসারে প্রতি বছর বাংলা জৈষ্ঠ্য মাসের শেষ আজ ১৪ জুন শুক্রবার বিকেলে বসে গ্রামীণ এ মেলা। মেলায় আশপাশের গ্রাম ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে শত শত মানুষের আগমন ঘটে।
সন্যাসতলীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা সন্যাসীকে পূজা দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন। বিকেলের পর থেকেই মেলায় মানুষের ঢল নামে। এই মেলাকে ঘিরে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে জামাই ও স্বজনদের আপ্যায়ন চলে।
রং-বেঙের ঘুড়ি মেলার মূল আকর্ষণ হলেও বর্তমানে মেলায় বসে রকমারি মিষ্টির দোকান। যেখানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি ও চিনির শাহী জিলাপি আকৃষ্ট করে দর্শকদের। মেলায় বাঁশ কাঠ ও লোহার তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ও মাছ ধরার নানা যন্ত্রের আমদানিও নজর কাড়ে মানুষের। শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্র এবং নারীদের বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্সের দোকানও বসে দুই দিনের এ মেলায়।
স্থানীয় মহব্বতপুর গ্রামের এরশাদ আলী ও দেওগ্রামের জেমিয়ার হোসেন বলেন, আমাদের বাব-দাদারা এই মেলায় আসতেন। তাদের দেখাদেখি এখন আমরাও এই মেলাতে আসি। এই মেলা আমাদের এখানকার একটি ঐতিহ্য।
মেলাতে আসা সিরাজগঞ্জে সদর উপজেলার আক্কাস আলী, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার নিতাই চন্দ্র, দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা আসলাম হোসেন বলেন, প্রতি বছর এই সন্যাসতলী মেলাতে আসি। এখানে ঘুড়ি ছাড়াও প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্র পাওয় যায়।
সন্যাসতলী মেলা কমিটির সভাপতি মন্টু চন্দ্র বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও বসেছে সন্যাসতলী মেলা। এই মেলা প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন। মেলাটি হিন্দু- মুসলিম সবাই মিলে পরিচালনা করি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা এ মেলায় আসেন।
ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই সন্যাসতলী মেলার মূল আর্কষণ ঘুড়ি। এ মেলাকে ঘিরে আশপাশের জেলা থেকে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলাটি মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের (৩২) মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ ১ মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক শেষে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তের ২০৫০ পিলারের সামনে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুটিয়া সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় আল আমিনকে গুলি করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে আল আমিনের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে বিকেলে পতাকা বৈঠকে বসে বিজিবি ও বিএসএফ। বৈঠকে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে ৪৯ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার অজিত কুমার যৌথ নেতৃত্ব দেন।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
আটককৃতরা হলো জেলার বাহুবল উপজেলার হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার পুত্র রুপন মিয়া (৩৮), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের দানু মিয়ার পুত্র ছালেহ আহমেদ (৩৩), একই এলাকার মৃত আমরু মিয়ার পুত্র আল আমিন (২৯), মো: লায়েক মিয়ার পুত্র মাহবুব মিয়া (৩২) ও মতি মিয়ার পুত্র তাবিদুল ইসলাম (২৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের এমন অভিযান চলমান থাকবে।