চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকালে লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ বাংলাদেশের উদ্যোগে ও লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে এই চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের উদ্বোধন করেন লায়নস ক্লাব অব ঢাকা নর্দানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ শরীফ। এ সময় লায়নস ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর গেট এরিয়া লিডার পিডিজি কাজী সাইফুল ইসলাম, মাল্টিপোল জেলা-৩১৫ এ-৩ এর বাংলাদেশের কাউন্সিল চেয়ারপার্সন লায়ন ফারহানা বক্স, জেলা গর্ভনর লায়ন সামসুল ইসলাম, লায়ন এস.কে কামরুল, লায়ন মোঃ জাকির হোসেন, লায়ন রিয়াজ বশির, আহমেদ কাজল, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, গোকর্ণ সৈয়দ ওয়াল্লী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) সনজিৎ কুমার দেব, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিজ মিয়া, প্রাছাসের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন চৌধুরী শরীফ, বিশিষ্ট সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লায়ন্স চক্ষু ইনিস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ আহসানুল কবিরের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ৪ জন দক্ষ চক্ষু চিকিৎসক বিনামূল্যে চক্ষু শিবিরে প্রায় দুইশতাধিক নারী-পুরুষকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে ৪৪ জন রোগীকে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় আগস্টে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২০ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া ইস্পা আক্তার। ১১ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ইসরাত সানিয়া আক্তার। বালক বিভাগে ২৭ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হওয়া স্নেহাল গোপ পান্না, তন্ময় সরকার, সৌমিক রায়, গগনদীপ কুন্ডু, পৃথিবী দাস সূর্য্য, আব্দুল গফফার মাহুদী, সৌভিক রায়, আরিয়ান ইসলাম সোহান ও ওমর ফারুক। ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হওয়া সপ্তদীপ কুন্ডু। ২২ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হওয়া ক্বারি মো. আব্দুল্লাহ।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোন পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। সেটিতে পাঠক একেবারে ছিলো না। পাঠক বাড়ানোর লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) অর্থায়নে এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে স্কুল মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ শুভজিত পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরে আলম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাজারুল হুদা, মোহাম্মদ কবির হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুমন ভূইয়া, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোড়কান দাস, প্রধান শিক্ষক মফিজুল ইসলামসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সরকার পাইলট প্রকল্প হিসেবে সারাদেশে ৩শত উপজেলায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল চলাকালীন প্রতিদিন ২শত মিলিমিটার করে দুধ খাওয়ানো হবে।
নাসিরনগর উপজেলার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৯২ জন শিক্ষার্থী এই মিল্ক ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় স্কুলে এলেই দুধ খেতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী রোমা আক্তারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ রেজাউল হক এই বিষয়ে শোকজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের পেশকার শাহজাহান বলেন, রোমা আক্তারকে ৩১ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রোমা আক্তারের দেওয়া বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৭ (১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১ বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়।
গত বুধবার রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রোমা আক্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাজির মিয়ার স্ত্রী।
এ সময় রোমা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাসিরনগরের মানুষ সহজ সরল মানুষ। দাঙ্গা হাঙ্গামা চাই না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে জেল খেটেছেন সেটা আমাদের কলঙ্ক। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন ভোট দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিবেন। উনি যে বেইজ্জতি করেছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করেছেন। উনি নাসিরনগর এসেছেন প্রবীণ নেতৃবৃন্দের নাম মুছে ফেলার জন্য। আরে নাম মুছে ফেলা এত সহজ নয়। এটা কাগজে লেখা নাম নয়। মানুষের হৃদয়ে লেখা নাম, মুছে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার নাম কেন, সাত তারিখের পর নাসিরনগরের মাটিতে আমরা আপনাকে পা রাখতে দেবো না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতীক বরাদ্দের পর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার ও মোড় ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েন। উপজেলার সবর্ত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও সমর্থকরা বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শেষ মুর্হূতের প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থীরা হাট-বাজার-পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে নিজেদের সৎ ও দূনীর্তিমুক্ত রেখে এলাকার উন্নয়নে ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতার আশ্বাস সকলের কাছে দোয়া ও ভোট চাইছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবর্ত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে শেষ মুর্হূতের হিসাব-নিকাশ। তবে মুখ খুলছেন না ভোটাররা। কে চেয়ারম্যান নিবার্চিত হবেন তা নিয়ে চায়ের দোকানে, হাট-বাজার, অফিস-আদালত ও গ্রামাঞ্চলে সবর্ত্রই এখন আলোচিত হচ্ছে। তবে এবার দলীয় প্রতীক না থাকায় প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে ভোটারদের হিসাব-নিকাশ।
নাসিরনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা খাকলেও অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়ের প্রতীক দোয়াত-কলম, তিনি নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। এ ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার পেয়েছেন কৈ মাছ প্রতীক। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তারের প্রতীক ঘোড়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও কুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: ওমরাও খানের প্রতীক আনারস, শ্রী প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধরের প্রতীক মোটরসাইকেল।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। এরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নেতা আবু আহাম্মদ কামরুল হুদার প্রতীক টিউবওয়েল, হুমায়ুন কবীরের প্রতীক চশমা, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ভানু চন্দ্র দেবের প্রতীক মাইক, সৈয়দ সাজ্জাদ মোর্শেদের প্রতীক তালা ও শাহজাহান চকদারের প্রতীক টিয়া পাখি।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তারের প্রতীক কলস, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্নার প্রতীক প্রজাপতি, সাবেক মহিলা মেম্বার রিটা আক্তারের প্রতীক ফুটবল ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নাহিদা আক্তারের প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫‘শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭‘শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ২০১৬ সালের আলোচিত সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ৮টি মামলার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দিরে অগ্নিসংযোগ মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই রায় ঘোষনা করেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) কাজী দিদারুল আলম রায় ঘোষনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ আবদুল আহাদ, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, মোঃ মোখলেছ মিয়া, মোঃ মফিজুল হক, খসরু মিয়া, নাজির রহমান, মোঃ মাফুজ মিয়া, ইদু মিয়া, সায়হাম রাব্বি শ্যাম, মীর কাশেম, আনিস মিয়া, তাবারক রেজা ও সজিব চৌধুরী।
রায় ঘোষণার সময় সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবদুল আহাদসহ ৮জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখিসহ ৫জন পলাতক রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সবার বাড়ি নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
নাসিরনগর থানা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের বাসিন্দা রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরের হিন্দু অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মন্দিরসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়।
উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ার পুরাতন দূর্গামন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাসিরনগর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন কান্তি চৌধুরী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ এই মামলার রায়ে উপজেলার সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে ৪ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দেন।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, সাক্ষ্য-প্রমান ও বিচার বিশ্লেষন করেই এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এটি অনুকরনীয় রায় হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, মামলার রায়ে আমরা সংক্ষুব্দ। যে কোন মামলার সাজা দিতে গেলে নূন্যতম সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণহীন এই মামলায় ১৩ জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।