অনলাইন ডেস্ক :
একদফা দাবিতে সারাদেশে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে অসহায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অবস্থায় ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচিতে সারা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন। মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হামলা চালানো হয়েছে।
এদিন বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ে জায়গা ছেড়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। কোথায় কোথায় পুলিশকে দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করলে ফের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকারি একটি সংস্থা। এর খানিক পরই বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুক ও হোয়াইটসঅ্যাপ।
এর আগে, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে ফের চালু করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সেবা। তবে এবার ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তবে ব্রন্ডব্যান্ড লাইনে সামাজিক মাধ্যম চালু আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় অসহায় বাবার পিতৃ স্নেহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তত একটি শিশুকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে।
“বিবেকের আদালত থেকে মানবতার দিক থেকে বাবার আশা এবং বেঁচে থাকুক অন্তত একটি মেয়েকে নিয়ে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হেলিম আহম্মেদ, কবি ফয়েজ আহমেদ, হৃদয় দেবনাথ, মোবাশ্বের ইসলাম, মাহমুদুল হাসান রিফাত, নাহিদ মো. সাদিক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু এখন থেকে মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। এতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসহায় বাবার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অন্তত এক সন্তানকে তার কাছে সমর্পণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ।
অনলাইন ডেস্ক :
সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ।
আজ ২৯ মে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে। এবার ৮৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
তৃতীয় ধাপে বিজয়ী যারা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জিয়াউল করিম খাঁন সাজু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।
বগুড়া: জেলার তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশিষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শাজাহানপুরে পুনরায় প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) ও শিবগঞ্জে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন।
সদরের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক (ঘোড়া), শাজাহানপুরে সাজেদুর রহমান শাহীন (ঘোড়া) ও ফিরোজ আহমেদ রিজু (মোটরসাইকেল) ছিলেন।
বুধবার রাত ৮টায় তৃতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা অতিরিক্ত নির্বাচন কমকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: জেলার তাড়াইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহিন।
তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট।
সাতক্ষীরা: জেলা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে রাত পৌনে ৮টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. মেহেদী হাসান এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আজ বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৫ জুন হবে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাউতলীস্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব জেসমিন সুলতানা, জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মোহাম্মদ রতন মিয়া বাহার চৌধুরি, আবু হোরায়রাহ প্রমুখ। স্মৃতিস্তম্ভে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভা, গণপূর্ত বিভাগগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমাজসেবা বিভাগ সহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নানা আয়োজনে ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি র্যালি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে তা শেষ হয়। এরপর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিট, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)জেসমিন সুলতানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী।
সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. রতন মিয়া, সাবেক জেলা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
সভার প্রথমেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হযরত মাওলানা ক্বারী আল আমীন বিন রেনু। পবিত্র গীতা পাঠ করেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্যামল দাশ গুপ্ত। অনুষ্ঠানে সকল শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা সহ জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এর আগে শহরের কাউতলীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, আমরা সবাই মিলে বৈষম্যবিহীন ও দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী।
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। এ এফ হাসান আরিফের এসোসিয়েটস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, হাসান আরিফ স্যার অসুস্থতাবোধ করলে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এছাড়াও উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ বলেন, বিকেল ৩টার দিকে বাবা বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মেঝেতে পড়ে গেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। গত ৮ আগস্ট তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। একই দিনে ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন। এ এফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল। তবে সংস্কারের সবকিছুই হতে হবে জনগণের সম্মতিতে। আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সবাই খুব ভালো চাই। কিন্তু খুব ভালো করার জন্য যেন আমরা এতো সময় না নেই- যাতে মানুষের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি স্তিমিত হয়ে যায়। নিশ্চয় আমরা ভালো করতে চাই এবং এই ভালো করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, সবসময় থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা কালকেও প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চাইতে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল করেছে? রাজনৈতিকভাবে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা তো বিএনপি করেছে। বহু দলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে। তত্ত্বাবধায়ক শাসন ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ তো অনেক ক্ষেত্রে করেছে। এমনকি বিএনপি তো গ্রাম সরকার প্রবর্তন করেছে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি বিএনপি চালু করেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি গঠন করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে অর্থনীতির- সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হলো ভ্যাট, বিএনপি করেছে। আজকে অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোশাক খাত বিএনপির হাতে হয়েছে, কৃষি উন্নয়ন, প্রবাসী কর্মসংস্থান, পল্লী বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে সমবায় উন্নয়ন, কুটির শিল্প… বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল।
তিনি বলেন, তারপরও কেউ কেউ নানা কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনি- তখন তো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন। কেউ যখন সংস্কারের কথা ভাবেনি, তখন শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা এটা বলেছি, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব থাকলে সেটি সাদরে গ্রহণ করব।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।