বরিশাল প্রতিনিধি :
জলবায়ু সংকটের পাশাপাশি বায়ু দূষন প্রাণঘাতি হয়ে উঠেছে। ২০১৯ সালে নির্মল বায়ু আইনের খসড়া তৈরি হলেও তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সরকার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫’ এর অধীনে বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০২২ জারি করলেও এতে কোন সুফল মিলছে না। বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে নির্মল বায়ু আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। বরিশালে পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক এক আলোচনা সভার বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্মল বায়ু আইন ও নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাবনা ও বর্তমান পরিস্থিতি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুব প্লাটফর্ম ইয়ুথ ফর কেয়ার’র উদ্যোগে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, দ্য আর্থ সোসাইটি এবং ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ যৌথভাবে বিষয়ক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলার পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসবি) ইকবাল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগে প্রাণহানি কমলেও, ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে। এ সংকট মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের কোন বিকল্প নেই। বায়ু দূষণ সহ সকল ধরনের দখল-দূষণ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, সবার সহযোগিতায় বরিশাল এলাকাকে জলবায়ু ঝুঁকি মুক্ত করতে হবে। তরুণরাও এই কাজের অংশ হয়ে একসাথে ইতিবাচক কাজের মধ্যে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি এ শহরকে একটি জলবায়ু নিরাপদ শহর হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমন্বিত কাজের পাশাপাশি নাগরিকদের জনমনে সচেতনতা সৃষ্টিতে তরুণরাই এগিয়ে আসবে। সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দুষণকারী প্রতিষ্ঠানে কার্বন ট্যাক্স বসানোর পাশাপাশি ইটভাটা রুখে দিতে হবে, সবুজ ইট ও হলোগ্রামের ব্যবহার বাড়ানো, গণপরিবহন ও সাইকেলিংয়ের প্রসার ঘটাতে হবে, পৃথক লেন করা, বায়ু দুষণ ও জীবাশ্ব জ্বালানির বিরুদ্ধে জনমত ও আন্দোলন গড়ে তোলার সুপারিশ জানানো হয়। আলোচনা সভায় মূল তথ্যপত্র উপস্থাপন করেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান। যুব নেতৃত্বের প্রচারাভিযান ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন আর্থ সোসাইটির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোসলেহ উদ্দিন সূচক ও প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মাদ মনোয়ারুল ইসলাম (মনিব)।
মূল তথ্যপত্রে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান বলেন, বায়ুদূষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারকেও এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জরুরি। বিশ্ব বর্তমানে প্রাক শিল্প বিপ্লবের সময়ের ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী রাখতে হবে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই মুহূর্তে আমরা বৈশি^ক উষ্ণতায় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করে বায়ু দূষণ কমাতে আমাদের অবশ্যই নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে হবে এবং অনবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরতা কমাতে হবে। পাশাপাশি নির্মল বায়ু আইন অবিলম্বে পাশ করতে হবে, প্রয়োগ করতে হবে। সৌরশক্তির উপর নির্ভরতা বাড়াতে নবায়নযোগ্য শক্তিকে ব্যবসার একটি অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবসায়ীদের আহবান জানান তিনি। আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাশেদ খান, বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জালিস মাহমুদ, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন মানিক, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব এর সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, বরিশালের বেলা প্রতিনিধি লিঙ্কন হোসেন, শহীদ আব্দুর রব সেরানিয়াবাত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, প্রতীকি যুব সংসদের চেয়ারপার্সন আমিনুল ইসলাম’র (ফিরোজ মোস্তফা) প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরে দু’টি বাসের চাপায় এক কাঠমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। আজ ২২ জুলাই শনিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম-আব্দুর রহিম (৫৫)। তিনি যশোরের শার্শা থানার শ্যামলা গাছি এলাকার মৃত মোন্তাজ মোড়লের ছেলে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার এস আই সুরুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের ভাড়া বাসায় থেকে এলাকার ফার্ণিচারের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন আব্দুর রহিম। শনিবার সকালে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় কালিয়াকৈরগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একই পরিবহনের অপর একটি বাসের সঙ্গে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুর রহিম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
তারা জানান, ঘটনার সময়ে হেলপার দিয়ে বাসটি দ্রুতগতিতে চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় বাসটি পথচারী রহিমকে ধাক্কা দিয়ে অপর বাসের সঙ্গে চাপা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
চলারপথে রিপোট
পরশুরাম উত্তর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে দুটি বেকারিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। একই সময় একটি মুদি দোকানে আরো ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার এসব জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা হাবিব শাপলা।
অপরদিকে একই সময়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তিনটি মোটরসাইকেল মালিককে ও একটি সবজি দোকানে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, খাদ্যে ক্ষতিকর দ্রব্যের মিশ্রণ, পণ্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিএসটিআইএর অনুমোদন না থাকায় উত্তর বাজারের কাউতলী সড়কের আলিফ বেকারীর মালিক খায়রুল ইসলামের ২০ হাজার, শাহজালাল বেকারীর মালিক আমির হোসেনের ২০ হাজার টাকা এবং বাবুল মিয়ার মুদি দোকানে ৫ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপল বলেন, প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে সর্তকতামূলক জরিমানা করা হয়েছে। তারা সংশোধিত না হলে পরবর্তীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। আজ ১ জুলাই সোমবার জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল-২০২৪’ পাস হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।এর আগে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনও এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে দিনের জন্য। কোনও দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে, সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনও চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র এমপি পংকজ নাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং চৌকিদার দফাদারদের সম্মানী বাড়ানোর দাবি জানান।
স্বতন্ত্র এমপি হামিদুল হক খন্দকার বলেন, সম্মানী সম্মানজনক হওয়া উচিত। এখন সরকারি টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নিজের আয় থেকে মিলিয়ে চেয়ারম্যানের ভাতা ১০ হাজার টাকা আর সদস্যদের ভাতা ৫ হাজার টাকা। বর্তমান বাস্তবতায় এটি দ্বিগুণ করা উচিত। তিনি বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান আগে আইনে ছিল না। এটার সুবিধা যেমন আছে সরকারের স্বেচ্ছাচারের আশঙ্কাও আছে।স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার বলেন, ইউপি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তারা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করেন। তাদের সম্মানী খুবই অসম্মানজনক। এটা সম্মানজনক হওয়া উচিত। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এসএম ব্রাহানী সুলতান বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি সাংঘর্ষিক। বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচনে অনেক টাকা খরচ হয়। তারা এ টাকা কীভাবে তুলবে। তখন দুর্নীতি করে। টিআর কাবিখা বিক্রি করে দেয়। এজন্য দুর্নীতি কমাতে তাদের ভাতা বাড়ানো উচিত।স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগ সাংঘর্ষিক নয়। এটা সাময়িক। নতুন ইউপি গঠনের পর এটা করতে হয়, এখানে আইনের সঙ্গে কোনও সাংঘর্ষিক নয়। আইনি জটিলতা সৃষ্টি করেও পদে থেকে যাওয়ার উদাহরণ আছে। এই বিধান এ ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ভাতা বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আছে।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ১৮ মার্চ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
তিনি জানান, ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
সূত্র জানায়, প্রার্থীদের আবেদনে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। আগামী ২৯ মার্চের অনুষ্ঠাতব্য তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে admit.dpe.gov.bd-ওয়েবসাইটে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাশের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালটিতে আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া হাসপাতালটিতে সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযাগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত পরিদর্শন টিম আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকালে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিদর্শন টিমের নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. মো. দাউদ আদনান ও অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার উপ-পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।
পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন নির্দেশনাগুলো হলো- ডা. সংযুক্তা সাহা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না। আইসিইউ ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসা বাবদ সব খরচ এবং চিকিৎসাজনিত যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
আঁখির চিকিৎসায় জড়িত সব চিকিৎসকের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র বিএমডিসিতে পাঠানো হবে। বিএমডিসি থেকে চিকিৎসকের নিবন্ধন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ভুক্তভোগী রোগীর পরিবার কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিষ্পন্ন করতে হবে।
অভিযোগ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব নির্দেশনা ১৬ জুন শুক্রবার থেকেই কার্যকর হবে। এর কোনো ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।