চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে ৫ আগস্ট সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে জেলা শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের বিরাসার থেকে পাঁচ শতাধিক লোকজনের একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় মিছিলকারীরা শহরের ব্যাংক এশিয়া ভাংচুর করে। পরে শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে। দুপুর একটার দিকে সদর থানার সামনে রাখা তিনটি ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
পরে মিছিলকারীরা জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন, মুন্সেফপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রিদোয়ান আনসারী রিমো, মেড্ডা এলাকায় শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানির বাড়ি ভাংচুর করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে “জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট—২০২৩” এর শুভ উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল—মামুন সরকার ও পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
টুর্ণামেন্টে জেলার জেলার নয়টি উপজেলার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ ১০টি দল অংশ নিবে। স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। খেলার রেফারি আনা হবে ঢাকা থেকে। টুর্নামেন্টে খেলোয়াড় বাছাই উম্মুক্ত হওয়ায় যে কোন ফুটবলার যে কোন দলে খেলতে পারবেন।
উদ্বোধনী খেলায় পৌরসভার একাদশের সাথে নবীনগর উপজেলা একাদশ অংশ নিবে। উদ্বোধনী দিন ব্যতিত প্রতিদিন বিকেল সোয়া তিনটায় খেলা শুরু হবে। খেলার মোট সময় ৯০ মিনিট। বিরতির জন্য সময় বরাদ্দ ১০ মিনিট। খেলা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক দল ৫জন করে খেলোয়ার পরিবর্তন করতে পারবে। কোনো খেলোয়াড় যদি পর পর দুই বার হলুদ কার্ড পান, তাহলে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী খেলায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। খেলা হবে নকআউট পদ্ধতিতে।
তিনি বলেন, খেলায় যে কোনো আপত্তি থাকলে খেলা শেষ হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যে পাঁচ হাজর টাকা আপত্তি ফিসহ (অফেরতযোগ্য) লিখিতভাবে সরাসরি আপিল কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। আপিল কমিটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। প্রতিটি খেলা শুরুর পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে গ্রুপ ছবি তুলে রাখা হবে। যাতে প্রতিটি দলের খেলোয়াড় চিহ্নিত করা যায়। এক দলের খেলোয়াড় যাতে অন্য দলে খেলতে না পারে। টুর্ণামেন্টে ১৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ফাইনাল খেলায় চট্টগ্রামের বিভাগী কমিশনার তোফায়েল ইসলাম এবং পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ—মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূর ই ইসলাম অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ক্রীড়া অফিসারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা বলেছেন, গুজবরোধে সাইবার আইন কাজে লাগাতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি লক্ষ্যে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) আয়োজিত বৈঠকে নেদারল্যান্ডের উপ-রাষ্ট্রদূত থাইজ উইডস্ট্রা আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। তিনি গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে আমাদের তরুন প্রজন্মকে কাজে লাগানোর আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গুজবের শহর এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এখানে বিশেষ করে ফেসবুকের মাধ্যমে গুজব বেশি ছড়ায়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির তাগিদ দেওয়া হয় ওই সভায়। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৫৪ জন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর ডেপুটি ডাইরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান, সিনিয়র পলিসি এ্যাডভাইজার নামিয়া আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক আদনান ফাহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর অমৃত লাল সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌসি, নারীনেত্রী ফারহানা মিলি, এনজিও নেতা এস.এম শাহীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। সাকমিড সূত্র জানায়, ভুল ও অপতথ্য রোধে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এরই আওতায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করছে সাকমিড। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মাটি ও পানি জীবনের উৎস্য এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ বিল্লাল হোসেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন। আলোচনা করেন বিএডিসির উপ-পরিচালক (বীজ) ডঃ মোঃ সোলায়মান তালুকদার।
সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি ও অন্যান্য সেক্টরের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষক, এনজিও কর্মী ও কৃষি সংশ্লি¬ষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় “বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’’ (এপিএ)’র আওতায় আজ ১৪ মে বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ হলরুমে তারুণ্যনির্ভর উন্নত, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতা মূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) এহসান মুরাদ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- তরুণরাই দেশের মূল্যবান সম্পদ। তোমরা যারা সামনে বসে আছ, তারাই ৭-৮ বছর পরে নেতৃত্ব স্থানে চলে আসবে। শিক্ষা এবং জ্ঞান অর্জন ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়। শিক্ষার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনতে হবে। এখন থেকে তোমাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর উপাধ্যক্ষ ড. প্রফেসর মোহাম্মদ শামীমুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল সার্কেল এ,এস,পি তপন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিস ডা: মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর উপপরিচালক মো: মোস্তফা কামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজসেবা অধিদপ্তর উপপরিচালক আঃ কাইয়ূম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর উপপরিচালক মোঃ আমির আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হুরায়রায় ও সমন্বয়ক সিয়াম। তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের স্বাগত বক্তৃতার মাধ্যমে তারুণ্যনির্ভর উন্নত, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন ও জবাবদিহীতামূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার নিমিত্তে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভার উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান। উক্ত আলোচনা সভায় প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি হয়।