স্টাফ রিপোর্টার :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেছেন, সাংবাদিকরা হলেন দেশের বিবেক। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। তিনি আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকতা অনেক সমৃদ্ধ। এখানকার সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ। যা অন্যান্য জেলায় নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকগণ সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ের সাথেও জড়িত। তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেন। তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন- আমি সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে সম্ভবপর সকল ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা করব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচএম সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীণ বেসরকারি বালক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬৫তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ উৎসব মুখর পরিবেশে ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের নিজস্ব মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঞার সভাপতিত্বে সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য। মোট ৬৭টি ইভেন্টে ৭ শতাধিক ছাত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা আকর্ষণীয় কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। প্রতিযোগিতার ফাঁকে ফাঁকে শিক্ষার্থীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে প্রাণবন্ত করে রাখে।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকগণ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। উপস্থাপনা করেন সহকারি শিক্ষক মোঃ আবদুর রকিব। প্রতিযোগিতা চলাকালে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অভিভাবক উপস্থিত ছিল। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রিত প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ নতুন জাতীয় কারিকুলাম অনুসারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশনা মতো পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি মেধা বিকাশমূলক অন্যান্য বিষয়ের দক্ষতা অর্জন করে নিজেদের বিশ্বের সাথে তাল মিলানো যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠার জন্য সকল শিক্ষার্থীর প্রতি আহবান জানান। বিশেষ অতিথি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন এসএসসি পরীক্ষার পর সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নতুন কারিকুলাম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হৃদ রোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এর মত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে শরীরচর্চা ও কায়িক পরিশ্রম, তাই কায়িক পরিশ্রমের সুযোগ সৃষ্টির জন্য স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। শরীরচর্চার পরিবেশ সৃষ্টিতে সিএলপিএ (সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি) ও নাগরিক অধিকার ট্রাস্ট স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের নিকট চার দফা দাবি সুপারিশ করে। এই দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক অধিকার ট্রাস্টের উদ্যোগে আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে এবং স্থানীয় সরকার এর জনপ্রতিনিধিদের নিকট সংগঠনের দাবি উপস্থাপনের জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন এবং জনমত তৈরিতে লিফলেট বিতরণ ও নাগরিকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা ৪ দফার সুপারিশ উপস্থাপন করে আগামী বাজেটে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ এর অভিভাবকদের নিকট বরাদ্দ রাখার আহবান জানান। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে যোগদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট লোকমান হোসেন আগামী বাজেটে পরিষদের সঙ্গে কথা বলে বরাদ্দ রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। দাবি সমূহ : শহরে পর্যাপ্ত মাঠ পার্ক তৈরি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ এবং এ লক্ষ্যে শহরের পুকুর সংস্করণ করা, নাগরিকদের মাঠ, পার্কের জায়গা দিতে উৎসাহী করা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বাজেটে মাঠ, পার্ক তৈরি ও সংরক্ষণ এবং খেলাধুলার জন্য বাজেট দেয়া, স্কুলগুলোতে নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করা, স্কুলের মাঠগুলোতে বিকেলে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে নারীরা হাঁটতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আত্মহত্যা করতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে হাত হারিয়েছেন শেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারী।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরশহরের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শেফালী বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগৎসার গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী।
শেফালী বেগমের স্বামী সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের সংসারে দুটি সন্তান আছে। সুখে-শান্তিতে আমাদের সংসার চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি শেফালী মানসিকভাবে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। শুধু আত্মহত্যার কথা বলতেন। কী কারণ ছিল তা বলেননি। সকালে বাজারে ওষুধ আনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে জানতে পারি আমার স্ত্রী ট্রেনে কাটা পড়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বক্সে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্টেবল ইমন বলেন, ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনের নিচে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাতেম আলী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি মালবাহী ট্রেনে ওই নারী কাটা পড়েন। পরে দমকল বাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, ওই নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে হারপাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে এ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এ উপলক্ষে আজ ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। এতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানার সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ, জেলা আইসিটি অফিসার (প্রোগ্রামার) মোঃ সামছু উদ্দিন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে। বক্তারা, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানকে সঠিক উপায়ে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিক্ষাতে দক্ষ কর্মী ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে আহ্বান জানান।
এই প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর, কসবা এবং নবীনগর উপজেলার ১শ জন নারী উদ্যোক্তকে ই-কমার্স ও কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক ৫মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে এই ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) এর সদস্যদের মধ্যে মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচি (মউ) প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র ঋন দেয়া হয়েছে।
আজ ১১ এপ্রিল মঙ্গললবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঋন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সৈয়দ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর ইউসিসি’এ লিঃ (বিআরডিবি) চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউছার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। সরকার বিআরডিবির মাধ্যমে গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে। এই ঋণ যেন সঠিক মানুষ পায় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি ঋণের টাকা নিয়ে যেন সবাই উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করেন ও ঋনের কিস্তি সঠিকভাবে প্রদান করেন সেদিকেও খেয়াল রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। তিনি সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সকলকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে পশ্চিম মেড্ডা মহিলা সমবায় সমিতির ১৬ জন সদস্যর মাঝে ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।
ঋণ বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র অফিসার অফিসার (হিসাব) মোঃ মুক্তার হোসেন, মউয়ের মাঠ সংগঠক ওয়াহিদা আক্তার, ইউসিসির পরির্দশক সুব্রত রায় ও সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।