চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের কাউতলী কুরুলিয়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইকবাল হোসেন জানান, সন্ধ্যায় শহরের কাউতলি এলাকার কুরুলিয়া খালের ব্রিজের নিচে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেনা সদস্যদের জানালে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মরদেহটি অর্ধগলিত ছিল।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যের ‘গুঁটিদাড়া’ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে শহরের শেরপুরে লাল-সবুজ দলে ভাগ করে এ খেলার আয়োজন করা হয়।
শিপন খান নামের এক খেলোয়াড় বলেন, এটি গ্রামীণ খেলা। খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামের মতো বড় জায়গা লাগে। তাই কৃষি জমিতে যখন ফসল না থাকে তখন আমরা খেলি। তবে আমরা চাই এটি ভালো কোনো খেলার মাঠে হোক। এতে করে খেলাটি ঠিকে থাকবে। লোকজন আনন্দও পাবে।
প্রবীণ খেলোয়াড় শাহ আলম খান বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে খেলাটি খেলছি। মহিষের শিং দিয়ে গুঁটি বানানো হয়। আমরা যে গুঁটিটি দিয়ে খেলি এটি কমপক্ষে ৫০ বছর আগের হবে। আগে এ খেলা আরও বেশি জমজমাট হতো।
খেলা শেষে দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, মো. ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয় সারাদেশে এক সময় প্রচলিত ছিল এ খেলাটি। এখন খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত। খেলাটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বালু ফেলে মাছচাষের একটি জলাশয় ভরাট করেন প্রভাবশালীরা। সেই বালু অপসারণ শুরু করেছে প্রশাসন।
আজ ২৪ মে বুধবার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার বড়হরণ রেলগেট এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি মাছচাষের জলাশয় রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জলাশয়টি মাছচাষের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে আসছেন। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী গভীর রাতে বালু ফেলে জলাশয়টি ভরাট করতে থাকেন। জলাশয়ের পাশে সড়কের পানি যাওয়ার কালভার্টটিও ভরাট করে দেন।
জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে গত ৭ মে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেন। পরদিন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সেখানে গিয়ে জলাশয় ভরাটকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে জলাশয় থেকে বালু অপসারণের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই বালু নিলামে তোলা হয়। ১৫ হাজার বর্গফুট বালু ৮১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি হওয়ার পর বুধবার জলাশয় থেকে বালু অপসারণ শুরু হয়েছে।
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বলেন, অবৈধভাবে জলাশয় ভরাট করছিল একটি চক্র। তারা এ জলাশয়ের ওপর দোকান তৈরি করে বিক্রি করতে মানুষের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। জলাশয়ের সঙ্গে খালের কালভার্টও ভরাট করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশের পর নিলামে বিক্রি করে বালু অপসারণ করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন বলেন, জলাশয়টি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলায় এলাকার পানি চলাচলের একটি নালা বন্ধ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এ অবস্থায় বালু অপসারণ করে পানি চলাচলের পথ সুগম করা জরুরি। বালু বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাউতলীর মোড়, কালীবাড়ির মোড়, মঠের গোড়া ও কোট রোড, কুমারশীল মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
অবৈধভাবে ফুটপাত দখল, যত্রতত্র পার্কিং এবং বিপুল সংখ্যক লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করায় যানজট সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে।
শহরের যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, ট্র্যাফিক বিভাগ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরাম।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত জেলা শহরের যানজট নিরসনে ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা, লাইসেন্সবিহীন রিকশা, অটো রিকশা শহরে প্রবেশে বাধা প্রদান করার আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, যানজট নিয়ন্ত্রণ ও নিরসনে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। সমস্যা সমাধানে অতিরিক্ত জনবল নিযুক্ত করা ছাড়াও জনগণকে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জোর দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। বিকেল ৫টায় মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। মানববন্ধনে গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরীর যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতারা সেই কর্মসূচি বাতিল করেন।
এরমধ্যে তাহেরী সোমবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার ঘোড়াপট্টি সেতুর ওপর থেকে লোকজনকে সাথে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোড এলাকায় আগে থেকে উপস্থিত থাকা মাদরাসা ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালান। এসময় তাহেরী কোনো রকমে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
তাহেরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আমাদের আয়োজন স্থগিত করা হয়। গাড়ি নিয়ে কাউতলী যাওয়ার পথে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা বরাবর সড়কে পৌঁছলে ছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।’ বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে তিনি অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ সময় গিয়াসউদ্দিন তাহেরি তার বক্তব্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে মোবাইলে কল করে অভিযোগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের তৃতীয় তলায় ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
সভায় ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, ২০২৩ সালের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, ২০২৪ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া ও বিগত সভার কার্যবিবরণী পেশ করেন চেম্বারের সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
সভায় বিগত অর্থ বছরের কার্যবিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থিত সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যবারের ন্যায় ২০২৪ সালের অডিট রহমান কাসেম এন্ড কোম্পানীকে করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় চেম্বারের জানা অজানা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, চেম্বারের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল, রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি জায়েদুল হক, জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, চেম্বারের পরিচালক মোঃ শাহজাহান মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, জাবেদুল ইসলাম সোহাগ, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, তানভীর আহমেদ, মোঃ আল মামুন, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ রেজুয়ানুল হক (মনি), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ ও মোঃ আব্দুল মালেকসহ চেম্বারের বিপুল সংখ্যক সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
সভা পরিচালনা করেন পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু।