চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ১২ দফা দাবিতে আজ ১১ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হামজা মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ, কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো লিখিতভাবে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজের সকল শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন কলেজের অধ্যক্ষ।
দাবিগুলো হলো-ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সকল প্রকার রাজনীতি কলেজে নিষিদ্ধ করতে হবে, শিক্ষকরাও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না এবং কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাসহ কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পালিত হবে না। ক্লাসের মানোন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যবই পৌঁছাতে পারছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। শেণিকক্ষে পড়ানো সিলেবাসের বিষয়বস্তর উপর পরীক্ষা নিতে হবে এবং হুটহাট নোটিশে বা শ্রেণিকক্ষে ঘোষণা দিয়ে চাপানো যাবে না। শ্রেণি পরীক্ষা, অর্ধবার্ষিকী ও বাৎসরিক পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বরপত্রে নম্বর তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং মূল্যায়নের ধরণের জবাবদিহিতা শিক্ষকদের দিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারিক ক্লাসের সময় নির্ধারণসহ মানোন্নয়ন করতে হবে। কলেজে ধর্মপালন, হিজাব বা নিকাব পরিধানে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না এবং কোনো প্রকার কটুক্তি, অপমানমূলক কথা বা ইঙ্গিত কোনো শিক্ষক দিতে পারবে না। এমন হলে সেই শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ধর্মপালনে কোনো প্রকার বাধা দেওয়া যাবে না, সকল শিক্ষককে লিখিতভাবে এই বিবৃতি দিতে হবে এবং কলেজের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের বোঝাপড়া ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে মনিটর নিয়োগ দেয়াসহ শিক্ষকরা কিভাবে পাঠদান করাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট করবেন। শ্রেণিকক্ষের উন্নয়নসহ শিক্ষার্থীদের দ্বারা শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রমে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্তি বাড়াতে হবে। পড়াশোনায় প্রায় এক মাসের ক্ষতি হওয়ায় একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা বাতিলসহ সবাইকে অবিলম্বে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দ্বিতীয় বর্ষের পাঠদান শুরু করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালীন কলেজের উপাধ্যক্ষ নিজের ফেসবুকের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে সম্বোধন করেছিল। তাই উপাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কলেজের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে হবে। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ নানা রকম অভিযোগ থাকায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ বা বদলির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. জেড. এম. আরিফ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন। শিক্ষকদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। কলেজের উপাধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আবু সালেহ মো. নইমুদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ্যাডহক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ এপ্রিল রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এ্যাডহক কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, এ্যাডহক কমিটির সদস্য মামুন খান, মো. আজিম, জাহাঙ্গীর আলী, মাইনুল ইসলাম চপল, তানিম শাহেদ রিপন, আকিব জাবেদ মুন্না ও আবুল হাসনাত মো. রাফি।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ক্রীড়ার উন্নয়নে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক এ্যাডহক কমিটির সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
“বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণ, বিনামূল্যে আইন সেবার দ্বার উন্মোচন”-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি পালনে আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকালে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের উদ্যোগে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আদালত ভবনে তথ্য কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড এর চেয়ারম্যান শারমিন নিগারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, সরকারি পিপি এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ একরামউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. এইচ. এম কামরুল ইসলাম, নারী ও শিশু কোর্টের পিপি এডভোকেট তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসীম উদ্দিন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মামলা জট কমিয়ে আনতে ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে লিগ্যাল এইড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে অসহায় বিচারপ্রার্থীরা তাদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারছে। তাই সকলের সহযোগিতায় লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইডের ভারপ্রাপ্ত অফিসার মুসতানসীর হাসান চৌধুরী নকিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরীন আহমেদ হ্যাপী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রকিবুল হাসান রকি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যের ‘গুঁটিদাড়া’ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে শহরের শেরপুরে লাল-সবুজ দলে ভাগ করে এ খেলার আয়োজন করা হয়।
শিপন খান নামের এক খেলোয়াড় বলেন, এটি গ্রামীণ খেলা। খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামের মতো বড় জায়গা লাগে। তাই কৃষি জমিতে যখন ফসল না থাকে তখন আমরা খেলি। তবে আমরা চাই এটি ভালো কোনো খেলার মাঠে হোক। এতে করে খেলাটি ঠিকে থাকবে। লোকজন আনন্দও পাবে।
প্রবীণ খেলোয়াড় শাহ আলম খান বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে খেলাটি খেলছি। মহিষের শিং দিয়ে গুঁটি বানানো হয়। আমরা যে গুঁটিটি দিয়ে খেলি এটি কমপক্ষে ৫০ বছর আগের হবে। আগে এ খেলা আরও বেশি জমজমাট হতো।
খেলা শেষে দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, মো. ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয় সারাদেশে এক সময় প্রচলিত ছিল এ খেলাটি। এখন খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত। খেলাটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৪ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সন্মুখে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মোঃ খালেদ হাসান, উপ-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সভাপতিত্বে শব্দ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, মোঃ রুহুল আমীন, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব), স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক জেলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।
সভায় শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করা হয়। এছাড়াও বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, জেলার পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আমন্ত্রিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দগণ, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আমন্ত্রিত বক্তাগণ শব্দ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দূষণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগিতায় শব্দদূষণের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টে অনুমোদিত মাত্রার অধিক শব্দ উৎপন্ন ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করায় ২ টি পরিবহনকে ২ টি মামলায় মোট ৪,০০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয় এবং গাড়িগুলো থেকে হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়। একই সাথে প্রায় ৪০টি বাস, ট্রাক ,অটোতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত স্টিকার সেটে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী জানান, এরূপ কার্যক্রম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢেউ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধু সভার সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ঢেউ এর সদস্য শাহাদাত হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা করে তাদের কোনো পরিচয় নেই। তারা সন্ত্রাসী। সুষ্ঠু বিচারের জন্যই আজ আমরা দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিকরা কেন এখনও নিরাপদ না। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো যাবে না এটা সবার বুঝতে হবে। ভয় দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের নিভৃত করা যাবে না। বক্তারা অবলিম্বে মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলায় জড়িত প্রধান আসামী মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী ও কাইয়ুমসহ সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আন্দোলন করেই যদি সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হয়, সাংবাদিকরা তাই করবে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়েই যাবে। তারা জড়িতদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা করা হয়। উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ তার সহযোগীরা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরদিন রাতে আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল বাদী হয়ে লিটন মুন্সী, কাইয়ুমসহ ১৩জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিন্তু পুলিশ এখনো মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।