চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ১০৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। ১১ আগস্ট রবিবার রাতে শহরের কাউতুলী মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় তিন মাদক চোরাকারবারিকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে মাদকসহ হস্তান্তর করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা কিছুদিন যাবত শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। রবিবার রাতেও তারা যানজট নিরসনে শহরের কাউতুলী মোড়ে কাজ করছিল। রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি প্রাইভেটকারে তারা তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে ১৮টি প্যাকেটে ৫৪ কেজি গাঁজা তারা উদ্ধার করে।
এসময় আটক করা হয় কাউসার আলম ভূইয়া নামের প্রাইভেটকার চালককে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে খবর দেওয়া হলে ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা সেখানে গেলে মাদকসহ প্রাইভেটকার ও আটক ব্যক্তিকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার এক ঘণ্টা পর রাত ১০টার দিকে একই স্থানে একটি প্রাইভেটকারকে তারা দাঁড়াতে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু প্রাইভেটকারটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেলে প্রাইভেটকারটিকে ধাওয়া করে অবকাশ এলাকায় আটক করে। এ সময় প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার এবং দুইজনকে আটকের পর সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদে থাকা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের ইনচার্জ ওয়ারেন্ট অফিসার দিদারুল আলম দিদার বলেন, মাদকসহ দুটি প্রাইভেটকার শিক্ষার্থীরা আটক করে হস্তান্তর করেছে। এই ঘটনায় নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শহরের একটি বহুতল ভবনের তিনটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের বনিকপাড়া স্টেশন রোড এলাকায়। নগদ সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ও সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
ওই ভবনের চার নম্বর ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন মঈন জানান, তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাতশালায়। পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আজ বিকেলে ফোন পান তার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। এসে দেখেন সব এলোমেলো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আলমারি ভেঙে নগদ আড়াই লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, একটি ট্যাব, মোবাইলফোন, দুটি ইন্টারনেট রাউডার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
দ্বিতীয়তলা ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হুমায়ুন খালেদ বলেন, ‘আমি পেশায় ঠিকাদার। দুপুরে দাওয়াত খেতে রুমে তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। এসে দেখি দরজা ভেঙে আলমারি থেকে নগদ তিন লাখ ২০ হাজার টাকা ও চার ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।’
ষষ্ঠতলার এক প্রবাসীর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে নগদ দেড় লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার ও প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রসাধনী নিয়ে গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ মনিটরিং করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
পরে স্থানীয় ফারুকী পার্কের শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
পরে পুলিশের একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উম্মুক্ত করা হলে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তক অর্পন করা হয়।
স্মৃতিসৌধে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ঞা বলেন, আমাদের দাবি ২৫ মার্চ কালরাত্রিকে গণহত্যা দিবসটি হিসেবে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করা।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ডিসপ্লেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহি পুতুল নাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার সংগ্রামের দৃশ্য তুলে ধরা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে দুইটি ড্রেজার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন গতকাল সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে ড্রেজার দুটি জব্দ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন হাবলা উচ্চ গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার দুটি জব্দ করেন। অভিযানের খবর পেয়ে মাটি ব্যবসায়ী চক্রের সদস্যরা গা ডাকা দেয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, অভিযানে মাটি উত্তোলন কজে ব্যবহৃত দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। অভিযানের বিষয়টি জানতে পেরে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব এ.বি.এম. মোমিনুল হক। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য এড. শামসুজ্জামান কানন। পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান মোশারফ হোসেন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ আসমা বানু, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মাসুম মিয়া, সাইফুর রহমান মামুন। আলোচনা পর্বের মাঝে মাঝে হামদ্, নাত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন ও বক্তব্য প্রদান করেন ছাত্র ছাত্রী প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রধান অতিথি আলহাজ্ব এ.বি.এম. মোমিনুল হক ছাত্র শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শহীদ মুগ্ধ’র নামে টি.এ.রোড ফ্লাইওভার, শহীদ ওমরের নামে সিমনা ব্রীজ এবং শহীদ তানভীনের নামে রাধিকা-নবীনগর ব্রীজ এর নামকরণ বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টার আহবান জানান। আলোচনা পর্ব শেষে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির স্থিতিশীলতা, উন্নতি মঙ্গল কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন কলেজের প্রভাষক মোঃ আব্দুল কাইয়ুম।
চলারপথে রিপোর্ট :
পথ হারানো বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। যেসব রাজাকার, আলবদররা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে তারাই আবার বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার পরেও তারা ক্ষমতায় এসে দাপটের সঙ্গে দেশকে লুণ্ঠন করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃত করে, বঙ্গবন্ধুর সঠিক জায়গা দিতে চায়নি।
তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও এই দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছেন। এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান।
পরে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার ছয় উপজেলায় ৩৩০ জন এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্যে এক লাখ ১২ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।