চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক্টও চাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনার ঘটে আজ ১২ আগস্ট সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকায়। নিহতরা হলেন সাধন মিয়া (৪০) ও হিমেল (২৮)।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাজমুল করিম ও হিমেল সকালে অফিসিয়াল কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিশ্বরোডে যাওয়ার পথে ঘাটুরা নামক এলাকায় তাকে একটি ট্রাক্টর চাপা দেয়। এতে নাজমুল ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং হিমেল গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত হিমেলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আশুগঞ্জে মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নিহত প্রবাসী খাইরুল ইসলাম খোকনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ ১০ জুন শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের সদর উপজেলার বাসুদেব বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসুদেব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কোড়াবাড়ি গ্রামের মেম্বার আলমগীর হোসেন, বাসুদেব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা, আখাউড়া যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর বাদল, মামলার বাদী নিহতের ভাই আকরাম হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে খোকনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জমিতে হাল চাষের ৫০০ টাকা পাওনা নিয়ে কোড্ডা গ্রামের মলাই মিয়া ও শাহ আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার সময় সালিশ চলাকালে মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে শাহ আলমের পক্ষের খাইরুল ইসলাম খোকন নিহত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন-মলাই মিয়া, খসরু মিয়া, মামুন, ইয়াছিন, ফাতেমা, জামাল, মাইনুদ্দিন, বাহার ও একরাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রবাসী খাইরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক মামলা ৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত হারুনুর রশিদ (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। হারুন জেলা শহরের শেরপুরের মৃত কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হারুনুর রশিদ বিরুদ্ধে থানায় ইয়াবাসহ গ্রেফতারের মামলা ছিল। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে আদালত ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সঙ্গে এক হাজার টাকা জরিমানা অথবা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদন্ডের রায় দেন। রায়ের পর দীর্ঘ ৯ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলেই যারা নৌকার বিরোধিতা করে নৌকার দল আওয়ামী লীগে তাদের জায়গা নেই। এমন বিরোধিতাকারীদের সনাক্ত করে তাদরে সরিয়ে প্রকৃত নিবেদিত তরুণ নেতাকর্মীদের পদায়ন করে দলকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজাতে হবে। আগামী নির্বাচন হবে ৫ বছর পর। এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলে আগামী নির্বাচনে তারা দলকে সহজে জেতাতে পারবেন।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো মুসলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজি হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল কালাম ভূঞা।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো মহসিন,পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জামাল খান, রফিকুল ইসলাম, হানিফ মিয়া, আবুল বাশার, খবির উদ্দিন আহমেদ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ মে শনিবার সকালে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ লতিফুর রহমান আল আমিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার।
দুর্নীতিকে না বলে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার, শোভা আক্তার ও লামিয়া মেহজাবিন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি কবি আব্দুল মান্নান সরকার দুর্নীতি বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্স। আজ ২১ অক্টোবর সোমবার দুপুরে জেলা শহরের ফারুকি ও জগৎ বাজারে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। এসময় দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
টাস্কফোর্স সূত্র জানায়, ফারুকি বাজারে ডিমের আড়তদার ইব্রাহিম ট্রেডার্স নিজে পাইকার হয়ে ভুয়া ভাউচার দেখাতে নিজের মালিকানাধীন আরেকটি খুচরা দোকানে ডিম সরবরাহ করতেন। কিন্তু মূল্য জালিয়াতি করে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি করছিল গ্রাহকদের কাছে। তার খুচরা দোকানে একটি মূল্য তালিকার সামনে এক রকম মূল্য এবং পেছনে আরেক মূল্য লিখে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে মুহূর্তেই মূল্য তালিকা বদলে ফেলেন দোকানি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জগৎ বাজারে অভিযান চালিয়ে মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্স নামে একটি পেঁয়াজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্রয় রশিদ ছাড়াই মৌখিকভাবে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে টাস্কফোর্স। সরকারি বন্ধের দিনেও এই অভিযান চলবে। এর ফলে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।