অনলাইন ডেস্ক :
রংপুরের পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামানকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৫৭ নম্বর আইনের ৪৫ ধারার বিধান অনুসারে তাকে অবসর দেওয়া হয়। ডিআইজি হিসেবে যোগ দেওয়ার দেড় মাসের মাথায় বাধ্যতামূলক অবসরে গেলেন তিনি।
আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্য মো. মনিরুজ্জামান বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) পুলিশ কশিনার (ডিআইজি), রংপুর মহানগর পুলিশ, রংপুরকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইনের ৪৫) ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
এর আগে গত ২৫ জুন মো. মনিরুজ্জামান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তৃতীয় পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। এর আগে তিনি ডিআইজি (অপারেশন্স) হিসেবে জঙ্গিবাদ ও উগ্রপন্থা দমনে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের ১৮ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শককে (নিরস্ত্র) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় মাদক বিরোধী সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২২ জুলাই শনিবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাদককে লালকার্ড প্রদর্শন করেন।
এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের আহ্বান জানিয়ে পাঠ করানো হয় শপথ বাক্য। শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সংসদ সদস্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবুল হাসেম খান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী জনপ্রতিনিধিকে ভোট দেওয়া যাবে না। তার কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়া যাবে না। আত্মীয়তা করা যাবে না। তার বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া যাবে না। তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে।
সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহেল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৬০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ জাহের, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী চৌধুরী, সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ, শিক্ষানুরাগী মোশারফ হোসেন খান চৌধুরী, শিদলাই আমীর হোসেন জোবেদা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিছ মিয়া ও নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির (বিজিএফসিএল) আওতাধীন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের ২৪ নম্বর কূপ থেকে ফের গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে ৷
একসময় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এই কূপ থেকে আজ ৯ জুন শুক্রবার সকাল ১১টার পর দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. শোয়েব।
তিনি জানান, পরিত্যক্ত হওয়ার পর কূপটির ওয়ার্কওভার (সংস্কার) করে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বাপেক্স ৷ ৪৫ দিনে ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কূপটি খনন করেছিল চীনের কোম্পানি সিনো প্যাক।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘তিতাস-২৪নং কূপ থেকে আজ (শুক্রবার) হতে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘বাপেক্সসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবিরাম প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সক্ষমতায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ। প্রথমে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক) ট্রেন চালানো হবে। যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর আশা করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দু’জনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পূর্ণ হবে। তবে এ রেলপথটি চালু হলে প্রথমে শুধু দুই দেশে পণ্য পরিবহণ হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী জানান, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
গত ১৭ মে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, চলতি জুন মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা হয়ে ১৩৬ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ ৮ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বহন করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
গতকাল ৭ মে রবিবার সৌদি সময় রাত ১টার দিকে ফ্লাইটটি জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে।
এর আগে সুদান থেকে ১৩৬ বাংলাদেশি সৌদি এয়ারফোর্সের বিশেষ তিনটি বিমানে রবিবার জেদ্দায় পৌঁছান।
সুদান থেকে আসা এই বাংলাদেশিদের জেদ্দা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
এসব বাংলাদেশিদের জন্য আগে থেকেই জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ইংরেজি সেকশনে বিশ্রাম, খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট তাদের সবরকম সহায়তা দেয়।
সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করেন। এদের মধ্যে যারা দেশে আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন, পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বরেণ্য কবি আসাদ চৌধুরী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ৪ অক্টোবর বুধবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টায় কানাডার টরন্টোর আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি।
তাঁর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কবি আসাদ চৌধুরী গত কয়েক বছর ধরে পরিবার নিয়ে কানাডার টরন্টোতে বসবাস করছেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন অটোয়ায়।
কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী এবং মায়ের নাম সৈয়দা মাহমুদা বেগম।
জানা যায়, কবি আসাদ চৌধুরীর ফুসফুস ও হার্ট দুটিরই খুব জটিল অবস্থা ছিল। হঠাৎ তাঁর শরীর খারাপ করলে কানাডার ওসোয়ার হাসপাতালটিতে তাকে ভর্তি করা হয়।
সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কবি আসাদ চৌধুরী ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তার ১৯৮৩ সালে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তার সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ‘সংগ্রামী নায়ক বঙ্গবন্ধু।’
তিনি ১৯৬০ সালে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৬৪ থেকে ১৯৭২ সন পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি ‘ভয়েস অব জার্মানি’র বাংলাদেশ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে যোগদান করে দীর্ঘকাল চাকরির পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে অবসর নেন।বাসস