চলারপথে ডেস্ক :
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ছুঁয়েছে। তুরস্কে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ৪৪ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার আটশ জন।
ভূমিকম্পের দ্বিতীয় সপ্তাহেও তুরস্কে উদ্ধারকাজ চলছে। তবে প্রতিদিন উদ্ধার হওয়া মানুষের সংখ্যা কমছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কাহরামানমারাস প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ৪০ কোটি ডলার সহায়তা জরুরি বলে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, তুরস্কের দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বৃহস্পতিবার বলেন, অবর্ণনীয় কষ্ট পাচ্ছেন তারা। আমাদের অবশ্যই তাদের অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়াতে হবে ও নিশ্চিত করতে হবে তারা প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
সূত্র : আল জাজিরা
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নতুন প্রতিকৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন এই প্রতিকৃতি ধারণ করা হয়। সাদাকালো এই ছবিতে তাকে কালো বিজনেস স্যুট এবং সাদা শার্টে দেখা যায়। তিনি একটি টেবিলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে তার পেছনে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। ছবিটি তোলেছিলেন বেলজিয়ামের ফটোগ্রাফার রেজিন মাহাক্স। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের ছবি তুলছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মেলানিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রতিকৃতিও তার তোলা। এবারও মেলানিয়ার ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রথম মেয়াদে তোলা মেলানিয়ার প্রতিকৃতির তুলনায় এবারের ছবিতে অনেক ভিন্নতা দেখা গেছে। পোশাকের রঙ, শারীরিক ভঙ্গি এবং ছবির সামগ্রিক উপস্থাপনা পুরোপুরি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথম ছবিটি হোয়াইট হাউসের সমর্থকদের কাছে পরিচিত ছিল। তবে এবারের ছবি মেলানিয়ার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার ভূমিকার প্রতি প্রস্তুতির বার্তা দেয়।
টেবিলের ওপর রাখা তার হাত ইঙ্গিত করে, তিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তার বিজনেস স্যুট এবং অবস্থান সাধারণ নাগরিকদের চোখে প্রেসিডেন্সি আরও সহজতর এবং মানবিক রূপ দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এই লুক করপোরেট শক্তি এবং শালীনতার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয়। এটি শপথ গ্রহণের দিন পরা সামরিক ধাঁচের পোশাকের তুলনায় ভিন্ন।
ধারণা হচ্ছে, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পালনের জন্য মেলানিয়া ট্রাম্প আগের চেয়ে আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়েছেন। সমালোচকদের মতে, তার পোশাক, ভঙ্গিমা এবং প্রতিকৃতিতে থাকা ছোটখাটো উপাদানগুলো গভীর অর্থ বহন করে। একজন সাবেক ফ্যাশন মডেল হিসেবে মেলানিয়া সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন, আর তার নতুন ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টি আরো বেশি আকর্ষণ করেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
পশ্চিম তীরের রামাল্লার ইসরায়েলি বন্দীশালা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে ছিলেন ৪৭ বছর বয়সী হুসেইন নাসের। তার ঘটনাটা একটু ব্যতিক্রমী। আবেগের বিশাল দরিয়া উতলে ওঠার মতো।
ধরপাকড় আর কারাবরণ ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন কিছু নয় বরং এটাই স্বাভাবিক এবং নিয়তি নির্ধারিত। তারপরও কিছু ঘটনা হৃদয়কে খুব বেশি নাড়া দেয়। কিছু টোকায় ভেঙে যায় আবেগের বাঁধ। তেমন ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছেন নাসের।
তার দুই মেয়ের সাথে তার দেখা হয়েছে দীর্ঘ ২২ বছর পর। ২০০৩ সালে দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা বা মুক্তি আন্দোলনের সময় তাকে আটক করে ইসরায়েল বাহিনী।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হুসেইন নাসের ২২ ও ২১ বছর বয়সী মেয়ে হাদেয়া এবং রাগাদের সঙ্গে দেখা করেন। দুজনেই তাদের নিজস্ব শহর নাবলুসের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছিলেন।
দুই তরুণী জানান, ‘বাবাকে ছাড়া তারা যেভাবে বেঁচেছিলেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাবাকে জীবনের প্রথম বার স্পর্শ করতে যাচ্ছি। প্রথমবার তাকে জড়িয়ে ধরতে যাচ্ছি।’
দুই তরুণী বলেন, যখন তার মা গর্ভবতী ছিলেন তখন ইসরায়েল বাহিনী তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। একজন বাবা কেমন হয় তা হয়তো এবার আমরা বুঝতে পারব।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি কারাগার নারী ও শিশুসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কিছু সংখ্যক সামান্য অপরাধে অপরাধী ছিলেন। বাকীদের কোনো অপরাধ ছিল না। ইসরায়েল বাহিনী তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
এখন থেকে ভিসা ছাড়াই তিমুর-লেস্তে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা। কূটনৈতিক, অফিসিয়াল বা সার্ভিস পাসপোর্টধারীরা ভিসা থেকে অব্যাহতি পেতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উদ্যোগের এই বিষয়টি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং আন্তঃদেশীয় সম্পর্ককে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সম্পাদন করা হয়ে থাকে।
এ পর্যন্ত ২৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ দেশসমূহের মধ্যে এশিয়ার ২১টি, ইউরোপের চারটি, আফ্রিকার একটি এবং আমেরিকার তিনটি দেশ রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনে বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৩১ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ২১ জুন বুধবার রাতে চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের জেরে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
আজ ২২ জুন বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনের উত্তর-পশ্চিম নিংজিয়া অঞ্চলে বুধবার রাতে একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় গ্যাস বিস্ফোরণে ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে। এই ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নিংজিয়া অঞ্চলের রাজধানী ইনচুয়ানের একটি বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণটি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস ট্যাংক লিক হওয়ার কারণে হয়েছে বলে সিনহুয়া বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।
সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে এবং ভাঙা কাঁচের আঘাতে আহত সাতজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আহতদের চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বলেছেন এবং শিল্পসহ এই ধরনের প্রধান প্রধান সেক্টরে নিরাপত্তা তদারকি জোরদার করতে হবে বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা করা সত্ত্বেও গ্যাস এবং রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণে চীনে এই ধরনের দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়।
এর আগে ২০১৫ সালে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ১৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী তাদের হামলা অব্যহত রয়েছে। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধবিরতী থাকলেও তা আর কার্যকর চাইছে না ইসরাইল। এদিকে গাজা অভিযানে নানা সমস্যা মুখোমুখি হচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে অনেক ইসরাইলি সেনা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গাজা ছেড়েছেন। অন্যদিকে অনেকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন।
জানা যায়, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইসরাইলের শত শত সৈন্য চোখে আঘাত পাচ্ছে এবং তাদের অনেকে দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। কারো এক চোখ এবং অনেকের দুই চোখের জ্যোতিই নিভে গেছে বলে কেএএন নিউজ বুধবার জানিয়েছে।
কেএএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর যেসব সৈন্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরিধান করেনি, মূলত তারাই বেশি চোখের আঘাত পেয়েছে।
বুলেট স্রাপনেল এবং রিকোয়েলের সংস্পর্শ এসে এবং অনেকে হামাসের আঘাতের ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, যারা চোখে আঘাত পেয়েছে, তাদের প্রায় ১৫ ভাগই এক বা দুই চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
কেএএনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে চোখের আঘাত নিয়ে প্রায় ৪০ জন ইসরাইলি সৈন্য বিরসেবার সরোকা মেডিক্যাল সেন্টারে ভর্তি হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেখানে আরো পাঁচ সৈন্য ভর্তি হয়েছে।
দক্ষিণ গাজায় ইসরাইল হামাসের তুমুল লড়াই অব্যাহত
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় মূল শহর খান ইউনিসে হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের তুমুল লড়াই চলছে। এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের দু’মাস পরে চলমান ভয়াবহ সঙ্ঘাত সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসে ইসরাইলি সৈন্যরা বুলডোজার ও ট্যাংক নিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সেখান থেকে নতুন করে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অপর গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ ও হামাস সূত্রে বলা হয়েছে, শহরের ভেতরে ইসরাইলি সৈন্যকে ঢুকতে না দেয়ার জন্যে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে শহরের কেন্দ্রস্থলে অভিযান চালিয়েছে। তারা ৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলি সৈন্যরা হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনাওয়ারের বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে।
তার এক মুখপাত্র বলেন, তার বাড়িটি খান ইউনিস এলাকার ভূগর্ভে রয়েছে।
এদিকে খান ইউনিসের এক বাসিন্দা অমল মাহদি বলেন, আমরা বিধ্বস্ত। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে একটি সমাধান পেতে আমাদের কাউকে দরকার।
হামাস সরকার জানিয়েছে, বুধবার রাতে অমল মাহদি ইসরাইলি হামলা থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেয়েছেন। গাজায় ইসরাইল হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৪৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতির কারনে আইনশৃঙ্খলা একেবারে ভেঙে পড়ছে। জাতিসঙ্ঘের এ সতর্কতার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসঙ্ঘে গুতেরেসের বর্তমান কালকে বিশ্ব শান্তির জন্যে বিপদ বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে ইসরাইলি আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের দক্ষিণের শহর খান ইউনিসও ছাড়তে হচ্ছে। তাদের নেই খাবার, নেই আশ্রয়। তারা বন্ধ থাকা রাফা সীমান্তের দিকে ছুটছে। তাদের তাড়া করে ফিরছে ইসরাইলি বোমা।
ঘাসান বকর নামের এক ফিলিস্তিনি বলছেন, ‘আমরা এখানে এসেছি। কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে। অথচ কোনো আশ্রয় নেই, খাবার নেই। নেই রুটি, নেই আটা। সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য