চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আজ ১৯ আগস্ট সোমবার শহরের পৌর সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে জেলা আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সভাপতিত্বে এবং জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, যুগ্ম সম্পাদক রুমেলুর রহমান রুমেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান জুয়েল, ওয়াহিদুর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক সজিবুর রহমান, ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনার পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থ্যতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে সোনিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকার ধন মিয়ার মেয়ে।
সোনিয়ার বাবা ধন মিয়া জানান, সাত বছর আগে একই এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। সংসারে দুটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য তাঁকে প্রায়ই নির্যাতন করত। সম্প্রতি রাসেল ফার্নিচারের ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা দাবি করে।
ধন মিয়ার অভিযোগ, সোনিয়া টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাসেল এবং তার মা-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা শনিবার বিকেলে তাঁকে গলা টিপে পোকা মারার বড়ি খাইয়ে দেয়। পরে হাসপাতালে রেখে চলে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলার আবেদন করেছেন তিনি।
ঘটনার পর সোনিয়ার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিষপানে নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তিনি আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত হয়েছিলেন কিনা, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন (ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন) এর সমন্বয়ে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।
ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত,স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী তাহের উদ্দিন ভূইয়া, প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজকর্মী বশির আল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রয়াণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭ মে শনিবার বেলা ১১টায় ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দেশপ্রেম ও সততার প্রতীক। উনি যে কাজই করেছেন সেটা দেশের জন্য মানুষের জন্য। উনি রাজনীতি করতেন না। তবে উনার বক্তব্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করতো। উনি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করতেন না। ‘
বক্তারা আরো বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্থান করে নিয়েছেন মানুষের হৃদয়ে। এ পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে তিনিও বেঁচে থাকবেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দেশপ্রেমকে অনুসরণ করে আমাদের উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ‘
তাঁর সহধর্মিণী শিরিন হক বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাধারণ মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। এটাকেই তিনি জীবনের বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখেছন। তিনি সব সময়ই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করতেন। ‘
সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট নাসির মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন শামীমা সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন জাফরুল্লাহ’র সহধর্মিণী নারী নেত্রী শিরিন হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড. মুস্তফা মজিদ, অধ্যাপক রাহমান চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামছুজ্জামান চৌধুরী কানন, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, তৈমুর রেজা শাহজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, সাথী চৌধুরী, ফেরদৌসুর রহমান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৮ অক্টোবর কমসূচি শেষে যে যার জায়গায় ফিরে যাবে এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওই দিন বসে পড়ার মতো কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আগামী শনিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার উপলক্ষে সেখানে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভা হয়।
পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমানে ফ্যাসিস্ট লুটেরা ও বেআইনি সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি রসাতলে নিয়ে গেছে। তারা আবারও একতরফা নির্বাচন করতে চায়। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় সাজা দেওয়া শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১৩৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন এ সরকারকে দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না বলে প্রতিদিন জনগণ রাজপথে আন্দোলন দানা বাঁধছে। তারা তাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আদায় করবে। আমাদের দ্বারা কিন্তু কোথাও অহিংস ঘটনা ঘটেনি। তবুও আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মাত্র ৪ দিনেই ৪৮টি মামলা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এটা চরম দুর্ভাগ্যজনক। আসলে তারাও বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে এক হয়েছে।
তিনি মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর আমাদের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। সারাদেশের নেতাকর্মীরা আমাদের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে বলবো- কোথাও কিন্তু আপনারা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না! এটা কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে। ওবায়দুল কাদের যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তাদের উদ্দেশ্য বোঝা যায় তারা বিনা কারণে আমাদের অফিসে আক্রমণ করেছে। আমরা আবারও বলছি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। এজন্য নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের থাকবে। আমরা কোনো নেতাকর্মীকে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেইনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ বেতার কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা ও দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক প্রয়াত রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এফ এস জামিল পাভেল এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী রিপনের পরিচালনায় শোক সভায় উপস্হিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, জেলা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ রন্জন নাগ, প্রগতিশীল জোটের আহব্বায়ক কমরেড নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়ন, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রন্জন সরকার, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ রায় প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, কোষাধক্ষ্য এনায়েত খান ও প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আহাদ।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।
পরে মরহুম রিয়াজ উদ্দিন জামির রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করেন মাওঃ ইসরাক হোসাইন।