চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামকে ২১ মাস আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ ২১ আগস্ট বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক সাদেকুর রহমান তাঁর ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একই সঙ্গে তিনি দলটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। পরে কমিটি থেকে বাদ পড়েন। গতকাল ২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে তাজুল ইসলামকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মিছিল বের করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রফিকুল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর বাঞ্ছারামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন বাদী হয়ে ৩০২ ধারাসহ (হত্যা) বিভিন্ন ধারায় বিএনপির ১৭ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই মামলার এজাহারে সাবেক সংসদ সদস্য তাজুলের নাম নেই, তবে এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ দুপুরে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
জানতে চাইলে জেলা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদল নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় পেছন থেকে ইন্ধনদাতা হিসেবে তাজুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ কারণে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় জেলা গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল আহমেদ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালতে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এর আগে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিনি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ কর্মকর্তারা তাঁকে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, আজ দুপুরে তাজুল ইসলামকে পুলিশের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালতের ভেতর বিএনপির আইনজীবীরা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের জন্য হইচই করেন। আওয়ামী লীগের চারজন আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হলেও পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় কোনো কথা বলেননি। একপর্যায়ে তাঁরা এজলাস ত্যাগ করে চলে যান। তিনটায় আদালতের রায়ের পর প্রিজন ভ্যানে তুলে পুলিশ তাঁকে আদালত থেকে নিয়ে যায়। এ সময় বিএনপির আইনজীবীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কয়েকজন আইনজীবী বলেন, আদালত প্রথমে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আইনজীবীদের হইচইয়ের কারণে পরে ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম খান ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আইনজীবী আবদুর রহিম বলেন, ছাত্রদল নেতা রফিকুল হত্যা মামলায় তাজুল ইসলামের ইন্ধন রয়েছে। সে সময় থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ গ্রহণ করেনি। আদালতে পুলিশসহ ৬০ জনের বেশি আসামি করে মামলা দিলেও তা খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের খবরে আজ দুপুরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আনন্দমিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুরে উপজেলার মুসা মার্কেট থেকে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা আনন্দমিছিল বের করে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন, আবদুল করিম, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল করিম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এবি তাজুল ইসলাম এমপি।
৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলী (রহ:) মাজার জিয়ারত ও মিলাদ মাহফিল শেষে দুপুরে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা উপজেলার মাওলাগঞ্জ বাজার মাঠে এসে জমায়েত হয়।
সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। শেখ হাসিনা এবারও প্রধানমন্ত্রী হবে বাঞ্ছারামপুরের মানুষও নৌকায় ভোট দিবে। দল আমার উপর আস্থা রেখে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপিসহ কয়েকটি দল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর অপচেষ্টা করছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনক্রমেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না।”
পরে তিনি দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম ভুইয়া বকুল, বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র তফাজ্জল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, মাসুদ করিম সাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও নারীনেত্রী সনি আক্তার সূচি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এছাড়াও বাঞ্ছারামপুর সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একি মিত্র চাকমার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির উপজেলা কমিটির সভাপতি লাঙ্গল প্রতীকে মো. আমজাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কবির হোসেন এবং সফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ (২৬) মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নিহত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩ টায় জেলার রাধিকা-নবীনগর সড়কের নবীনগর ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটর সাইকেলে থাকা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব লিটন সরকারসহ দুই জন আহত হয়েছে। নিহত তাইয়ান আহমেদ ফাহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবীরের ছেলে।
জানা গেছে, দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহন করার জন্য জেলার বাঞ্ছারামপুর থেকে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে ব্রাহ্মণহাতা নামক স্থানে একটি অটোরিক্সার সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময়ে দুজন আহত হলে তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিতুল তাইয়ান আহমেদ ফাহাদকে মৃত ঘোষণা করে। অন্য আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্র্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণহাতা এলাকাবাসী অটোরিকসার চালককে আটক করে।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।
ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।