অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সব মন্ত্রী-এমপির নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে (ডিআইপি) এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ডিআইপি ইতোমধ্যে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে এবং আশা করছি, শিগগিরই আদেশ জারি করা হবে।’
সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও কূটনৈতিক পাসপোর্ট বহন করেন। এমপিদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা প্রাথমিক পাসপোর্টধারীর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করছি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্টও বাতিল হয়ে যাবে।’
মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘যদি কেউ (কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে তাকে অবশ্যই প্রথমে কূটনৈতিক বা লাল পাসপোর্টটি জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।’
জানা যায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পাওয়ার পরই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে আমার সার্বিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। চলমান ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স বাংলাদেশের নীতি প্রণয়নের সার্বভৌমত্বকে সম্মান ও সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার এই নতুন কৌশলগত অগ্রযাত্রা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা উভয়েই আশাবাদী।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার পাঁচ দশকের অধিক সময় চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, আজ তা একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে চলমান সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা উন্নয়ন এবং সুশাসন এই নতুন সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকারের দায়িত্বশীল ও প্রতিশ্রুতিমূলক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অভাবনীয় ও ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় ফ্রান্স সরকারের আস্থার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাখোঁর এই সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং সেই প্রেক্ষিতে আমরা কিছু সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ফ্রান্স আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের কৌশলগত সুরক্ষা অবকাঠামো বিনির্মাণে উন্নত ও বিশেষায়িত কারিগরী সহায়তা প্রদানে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স নেতৃস্থানীয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার রায়ে উপজেলা হিসাব রক্ষক ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ ১০ জুলাই সোমবার বগুড়ার স্পেশাল জজ অম্লান কুমার জিষ্ণু তাদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন। রায়ে একই সাথে আত্মসাৎ করা ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাবেক হিসাব রক্ষক খলিলুর রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দুপচাঁচিয়া শাখার সাবেক ক্যাশ অফিসার আব্দুল বারী, আব্দুস সালাম ও ইউনুস আলী।
বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ভুয়া পেনশন হোল্ডার (পিপিও) তৈরি করে মাসিক ভাতা হিসেবে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এরপর মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট চার্জশিট জমা দেওয়া হয় আদালতে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার রায়ে অর্থ আত্মসাৎ করায় প্রত্যেকের ১০ বছর করে জেল, প্রতারণার অভিযোগে তিনবছর জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা, আলামতের তথ্য গোপন করার অপরাধে দুই বছর করে জেল ও ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বিভিন্ন অপরাধে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মোট ১৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে আসামিদের আত্মসাৎকৃত ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৮৬৩ টাকা আগামী ৩ মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের সরকারি কৌশলী (পিপি) এস এম আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক ধারায় মোট ১৫ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী ছিলেন বগুড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমার কাছে আলাদিনের কোনো প্রদীপ নেই, আমি দুর্নীতি, নীতি কোনোটার বিষয়ে তেমন বুঝি না। আমি বুঝি আইন অনুযায়ী, বিধি–বিধান অনুযায়ী কাজ করা। আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করলে কোনো দুর্নীতি হবে না। আর আইন ও বিধি অনুযায়ী যাতে কাজ হয় তার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। আইন কানুন ও বিধি বিধান মেনে যেভাবে কাজ করা যায়, সেভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সিডিএর সঙ্গে বসিনি।
কাজের প্রোগ্রেস নিয়েও বসিনি। আমি কিছু নীতিগত কথাবার্তা বলেছি। আমরা সকলে যেন দেশপ্রেমের সাথে কাজ করি, আইনের বিধান মেনে কাজ করি। কাজের ব্যাপারে গৃহায়ণ গণপূর্ত, সিডিএ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সংসদ সদস্যসহ সকলের সাথে যেন সমন্বয় থাকে সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
কাজে যেন সমন্বয় থাকে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। বৈঠকে কোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি।’
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবন্ধতার সমস্যা আমার নজরে থাকবে। এটা সিওর থাকেন চট্টগ্রামে আজকেই শেষ না, বার বার আসব। যখন প্রয়োজন পড়বে তখনই আসব না, অন্য সময়ে এসেও কাজের মনিটিরং করব। কাজ এগিয়ে যাচ্ছে কি না তা দেখা হবে।’
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে অবৈধ দখলদার হটানোর প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখলদারের উচ্ছেদের বিষয়টি সিডিএ চেয়াম্যান দেখবেন।’
বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহরুল আলম দোভাষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতি মাসের বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ডিসেম্বর মাসের জন্য ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আগামীকাল থেকে বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে। একইসাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হচ্ছে।
আগামীকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, সারা দেশে এক কোটি নিম্ন-আয়ের মানুষ টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী। গত ৯ নভেম্বর টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। আগামীকাল থেকে বিতরণ করা হবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।
এদিকে ডিসেম্বর মাসে টিসিবির কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি পেঁয়াজ ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
কার্ডধারীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন।বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় নয় ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এতে অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ৮ মার্চ শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ডাউন পথের এক নম্বর লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো। ঘটনার প্রায় নয় ঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ছেড়ে গেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বগিটি রেখে সকাল পৌনে নয়টার দিকে ট্রেনটি নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ের স্টেশনের এক নং লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় অন্যান্য ট্রেনে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী মো. কবির হোসেন, সহকারী স্টেশন মাস্টার সাকির, ট্রেন যাত্রী এমরান উদ্দিন ও মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের আনঅফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে। ট্রেনটি থামার আগ মুহূর্তে মাঝামাঝি থাকা ‘ঝ’ বগি লাইন থেকে সরে যায়। এতে ট্রেন বেশ ঝাঁকুনি খায়। ট্রেনের কয়েকটি বগিতে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এতে করে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বগি সরিয়ে নেয়। মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদেরকে একই গন্তব্যের তুর্ণা নিশিথা এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।