অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে বিক্ষোভ যেন থামছেই না। বিক্ষোভ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট। সম্প্রতি কলকাতায় এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যেই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মুম্বাইয়ের কাছের বলদাপুর শহরে।
দেশটিতে চার বছর বয়সী দুই শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আজ ২১ আগস্ট বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো শহরটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সেখানকার সব স্কুল ও ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতীয় মিডিয়ার তথ্যানুসারে, কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের জমায়েত বা বিক্ষোভ ঠেকাতে দ্বিতীয় দিনের মতো ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এই বিক্ষোভকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধ বলেন, অভিযোগটির বিচার দ্রুত বিচার আদালতে হতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়, দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগে ইতোমধ্যে স্কুলের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনা সামনে আসার পর, ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ২০ আগস্ট মঙ্গলবার থানে জেলার বলদাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা রেললাইন অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করলে অন্তত ১৭ জন পুলিশ ও আটজন রেল পুলিশ আহত হন। পরে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে চার বছর বয়সী ওই দুই শিশু বলদাপুর শহরের সামনের সারির একটি প্রাক্-প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। ওই স্কুলে ছেলে-মেয়ে সবাই একসঙ্গে পড়ে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চলতি মাসের ১২ ও ১৩ তারিখ অক্ষয় সিন্ধে নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওই দুই শিশুকে যৌন হয়রানি করেন। মেয়েদের শৌচাগারে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে তেমন নারী তত্ত্বাবধায়কও ছিলেন না। অভিযুক্তকে গত ১ আগস্ট চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।
এই দুই শিশুর একজন বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা ও তার সঙ্গে কী হয়েছে, তা খুলে বলে। ওই অভিভাবক অবাক হন, যখন তারা জানতে পারেন একই অভিজ্ঞতা আরেক শিশুরও হয়েছে। এ নিয়ে ১৬ আগস্ট রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ ও তিনজন স্টাফকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য মহারাষ্ট্রে এ বছরের শেষের দিকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি পার্টি বিরোধী জোটের কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়বেন।
আজ ২১ আগস্ট বুধবার মুম্বাইয়ে এক বিক্ষোভে লোকসভার কংগ্রেস সদস্য বর্ষা গায়কোয়াড় বলেন, বিরোধী দলগুলো ২৪ আগস্ট রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত সৌদির আরাফাত ময়দান। পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ ১৫ জুন শনিবার সৌদি আরবের মক্কা নগরী থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি।
আরবি বর্ষপঞ্জি অনুসারে ৯ জিলহজ। এটি পবিত্র ‘আরাফাত দিবস’ হিসেবেও পরিচিত। ঐতিহাসিক এই ময়দানে ইবাদত বন্দেগি আর দোয়া মোনাজাতে মশগুল হাজিরা। এদিন সকাল থেকে কণ্ঠে তাদের সমস্বরে উচ্চারিত হচ্ছে- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এর বাংলা অর্থ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’।
সাদা দুই টুকরা কাপড়ে শরীর ঢেকে হজযাত্রীরা আজ শনিবার মিনায় ফজরের নামাজ আদায়ের পর থেকেই পবিত্র আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশে রওনা করেন। এই আরাফাতের ময়দানেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধারণ করে মুসলিমরা সমবেত হচ্ছেন এই পবিত্র প্রান্তরে।
গত ৮ জিলহজ শুক্রবার মক্কা থেকে পাঁচ থেকে আট কিলোমিটার পূর্বে মিনায় তাঁবুতে অবস্থান করেছেন হজযাত্রীরা। সেখানে ইবাদত বন্দেগিতে দিন ও রাত পার করেছেন তারা। সেখান থেকে আজ ভোরে তারা আল্লাহকে কাছে পাওয়ার এক তীব্র আকাক্সক্ষায় ছুটে এসেছেন আরাফাতের ময়দানে। মুহুর্মুহু উচ্চারণ করছেন- ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা, ওয়ান্নি মাতা লাকা ওয়াল্মুল্ক্, লা শারিকা লাকা’। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য।
আরব নিউজ অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্ব থেকে ২০ লাখের বেশি হজযাত্রী গত শুক্রবার মিনায় তারবিয়া দিবস কাটিয়েছেন। এদিন তারা হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরাফাত দিবসের প্রস্তুতি নেন। হজযাত্রীরা হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর দেখানো পথ অনুসরণ করে শনিবারের আরাফাত দিবসের জন্য তাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দক্ষ ট্রাফিক ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা হজযাত্রীরা মসৃণভাবে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন। হজযাত্রীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে ৩৪ হাজারের বেশি চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট এবং প্রশাসনিক কর্মীরা কাজ করেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১৮৯টি নিবেদিত হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং মোবাইল ক্লিনিকের অসুস্থ হাজিদের পরিবহণে ৭৩০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং সাতটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৭ জুন থেকে এসব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ১৮০ জন হজযাত্রীর হার্টে অস্ত্রোপচার এবং ৪৭০ জনেরও বেশি হাজির ডায়ালাইসিস করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি হজযাত্রী মন্ত্রণালয় প্রদত্ত বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে ছাতা ব্যবহার এবং প্রচুর পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া বলেছেন, ‘পবিত্র স্থানগুলো সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমরা হজ করতে আসা সবাইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’
মিউনিসিপ্যাল, রুরাল ও আবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, পবিত্র স্থানগুলোতে হাজিদের সহায়তায় তাদের ২২ হাজার কর্মী কাজ করছেন। এ ছাড়া ৮৮ হাজার ডাস্টবিন সরবরাহ করা হয়েছে।
আজ সারা দিন হাজিরা পবিত্র আরাফাতের ময়দানে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও রহমত চেয়ে প্রার্থনা করবেন। এ ময়দানে অবস্থানকালে হজযাত্রীরা নামিরাহ মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করবেন। বিশ্বের লাখ লাখ হজযাত্রী সম্মিলিতভাবে আল্লাহর উপাসনায় নিজেদের নিমগ্ন রাখবেন। আজ সন্ধ্যায় হজযাত্রীরা মুজদালিফায় যাত্রা শুরু করবেন। এটি আরাফাত ও মিনার মধ্যে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। হজযাত্রীরা মুজদালিফায় রাত কাটাবেন এবং ছোট পাথর সংগ্রহ করবেন। মিনায় জামারাত স্তম্ভে শয়তানকে লক্ষ্য করে এসব পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।
(১০ জিলহজ) সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে ফজরের নামাজ শেষ করে আবার মিনায় ফিরে আসবেন হজযাত্রীরা। সেখানে জামারাত আল-আকাবায় পাথর নিক্ষেপ করার পর পশু কোরবানি করবেন তারা। এরপর তাওয়াফ আল-ইফাদাহ বা ফরজ তাওয়াফ করার জন্য মসজিদুল হারামে যাবেন। এই তাওয়াফ অবশ্য ১০ থেকে ১২ জিলহজের মধ্যে যেকোনো সময় করতে পারবেন তারা। এ সময় তারা কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন এবং মাথা মুণ্ডন করবেন। একবার এই পবিত্র কাজটি সম্পন্ন করার পর হজযাত্রীদের আর ইহরামের নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হবে না। তারা সব হালাল (অনুমতিযোগ্য) কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হতে পারবেন।
হজের অবশিষ্ট আচারগুলো সম্পন্ন করতে হজযাত্রীদের অবশ্যই আবার মিনায় ফিরে যেতে হবে। তাশরিকের দিনগুলোতে ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ হজযাত্রীদের মিনায় আরও দুটি কাজ করতে হবে। ১১ জিলহজ বিকেলে হজযাত্রীরা ২১টি ছোট পাথর সংগ্রহ করে তিন জামারাতে নিক্ষেপ করবেন। পাথর নিক্ষেপ শুরু হয় জামারাত আল-উলা দিয়ে, তারপর জামারাত আল-উস্তা এবং পরে জামারাত আল-আকাবা দিয়ে শেষ হয়।
মক্কা থেকে যাত্রা করার আগে হজযাত্রীদের তাওয়াফ আল-বিদা করতে হবে, যা বিদায়ী তাওয়াফ নামেও পরিচিত। এটি হজ সম্পন্ন করায় অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করে এবং সব হজযাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি লোক হজ করতে দেশটিতে জড়ো হয়েছিলেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ২৪ লাখের বেশি মুসলমান হজে অংশ নেন। এ বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
চলারপথে ডেস্ক :
কুয়েতে সোমবার তেলের খনিতে পাইপ লাইন ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেল সারা মরুভূমিতে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম আল রাই,ও আরব টাইমস এক সংবাদে প্রকাশ করেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চল তেলের খনি থেকে তেল ছড়িয়ে পড়ার ২০ মার্চ সোমবার জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি (KOC). রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানীর একজন মুখপাত্র কুসাই আল আমের, এক বিবৃতিতে জানান, তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি,তবে বিষাক্ত ধোঁয়া ও শনাক্ত করা যায়নি। তেল উতপাদনে ও কেনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
কুয়েত তেল কোম্পানির মুখপাত্র আরো বলেন, তেলের খনিতে পাইপ লাইন ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে তেল মরুভূমিতে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিম পাঠানো হয়েছে । কুয়েতে তেল কোম্পানির টুইটার একাউন্টে ও এখবর পোস্ট করা হয়েছে। কুয়েত বিশ্বের অন্যতম তেল উতপাদন কারী দেশ, দেশটির শতকরা ৯০ ভাগ রাজস্ব আয় আসে তেল থেকে।
অনলাইন ডেস্ক :
কানাডা থেকে আসা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বিদ্যুতের উপর শুল্কের পরিকল্পনা বাতিল করে কানাডার অন্টারিও’র প্রধান। এর ফলে কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১১ মার্চ মঙ্গলবার অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের উপর কর দ্বিগুণ করার প্রস্তাব আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা করে ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো এই পরিপ্রেক্ষিতে জানান, কানাডার উপর দ্বিগুণ শুল্কের হুমকি থেকে আপাতত সরে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে, আজ ১২ মার্চ বুধবার থেকেই অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিল আমদানির উপর ২৫ শতাংশ নতুন শুল্ক ধার্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আপাতত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন যে কানাডা থেকে আনা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের উপর তিনি দ্বিগুণ শুল্ক ধার্য করবেন। সেক্ষত্রে ৫০ শতাংশ কর দিতে হতো।
এর অনেক আগেই ট্রাম্পের কানাডার উপর কর আরোপ করার ঘোষণার পর গত সোমবার ওটাওয়ার প্রধান ডগ ফোর্ড প্রস্তাব করেন সেক্ষেত্রে তারাও আমেরিকাকে বিদ্যুৎ রপ্তানির উপর শুল্প বসাবে। এর পরেই ট্রাম্প কর দ্বিগুণ করার হুমকি দিয়েছিলেন।
তার ট্রুথ সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বাণিজ্য সচিবকে তিনি জানিয়েছেন যেন কানাডা থেকে আসা অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের দ্রব্যের উপর আরো ২৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়। বুধবার থেকেই তা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার এই ঘোষণার পরেই স্টক মার্কেটে ধস নামে।
কানাডা যদি কর না কমায় তাহলে আমদানি করা গাড়ির উপরে কর বসানো হবে বলে হুমকি দেন ট্রাম্প।
কানাডার আগামী প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের এই ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেন, এটা কানাডার ‘প্রতিটি শ্রমিক, পরিবার এবং ব্যবসার উপর আঘাত।’
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে আমাদের প্রতিক্রিয়ায় যেন যুক্তরাষ্ট্রের উপর সর্বাধিক এবং কানাডার উপর সব থেকে কম প্রভাব পরে। তাদের নির্ধারিত কর ততদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে, যতদিন না পর্যন্ত আমেরিকা কানাডার প্রতি সম্মান দেখাবে এবং মুক্ত বাণিজ্যের নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিকে কানাডার দ্রব্য সামগ্রীর উপর ২৫ শতাংশ কর বসানোর কথা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। তাদের তরফ থেকে বলা হয় মাদক ব্যবসা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। মার্চ থেকে নতুন শুল্ক চালু হওয়ার কথা থাকলেও কানাডা তাদের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা পাঠাতে সম্মত হয়।
এই শুল্ক পরিস্থিতি আরো জটিল হয় যখন সোমবার অন্টারিও’র প্রধান ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপভোক্তাদের জন্যও তিনি ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত কর বসাবেন। কানাডা-আমেরিকার সীমান্ত প্রদেশ অন্টারিও থেকে নিউ ইয়র্ক, মিশিগান এবং মিনেসোটায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। তিনি অন্যান্য প্রদেশকেও আমেরিকার উপর শুল্ক বাড়াতে বলেন। সূত্র : এপি ও ডয়চে ভেলে।
অনলাইন ডেস্ক :
আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের পোস্ট গ্রাজুয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে এবার পথে নামলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ ১৬ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে কলকাতার মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত একটি পদযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। এসময় তার সাথে সেই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ মহুয়া মৈত্র, রচনা ব্যানার্জি, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, শতাব্দি রায়, দোলা সেন, বিধায়ক অদিতি মুন্সি প্রমুখ।
পরে সংক্ষিপ্ত ভাষণ থেকে মমতা বলেন, ‘আগামীকাল সব ব্লকে ব্লকে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে এবং রাম-বাম’এর চক্রান্তের বিরুদ্ধে মিছিল করবেন। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক। কিন্তু অসত্য ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ ভুয়া ভিডিও তৈরি করে অসত্য সংবাদ দিয়ে মানুষের মনকে উত্তেজিত করে দিচ্ছে। সত্যটাকে লুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সব খবর সত্যি নয়। কেউ কেউ পয়সা কামানোর জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মে তৈরি করেছে- ওগুলো পলিটিক্যাল পার্টি স্পনসর্ড।’
আরজিকরের ঘটনা নিয়ে মমতা বলেন, ‘একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এটা বাংলার কেউ সমর্থন করে না। আমরা প্রথম দিন থেকে বলে আসছি দোষীদের শাস্তি হোক এবং এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি যাতে আর কেউ কোনদিন এই কাজ করতে সাহস না পায়। সেটা ফাঁসি হোক। আমরা রাজ্য সরকার ফাঁসির পক্ষে এবং এই তদন্তের অগ্রগতিতে রাজ্য পুলিশ সমস্তভাবে সিবিআইকে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশের ঘটনা উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কি ভাবছে?… বাংলাদেশে একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, এতো ছাত্র মারা গেলো। বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারি না, আমি বলিও না। এটা দেশের ব্যাপার, দেশ দেখবে। কিন্তু আমরা শুধু ভদ্রতা করব আর আপনারা ভাববেন আমরা দুর্বল হয়ে গেছি, এটা নয়।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অচল অবস্থার জন্য ঘুরিয়ে মোদি সরকারকেই নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘লজ্জা করে না? মাত্র ৭ দিনের মধ্যে পাল্টি খেয়ে গেলেন! প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো কেন বলবে যে ভারত যেন আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ না করে। এর আগে কোনদিনই এমনটা হয়নি। এই প্রথম আপনাদের আমলে… চ্যারিটি বিগেন্স অ্যাট হোম’। আয়নায় আগে নিজেদের মুখ দেখুন।’
একসময় মমতার হুশিয়ারি- আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আমার জন্ম, আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমার মৃত্যু হবে। আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আমায় গায়ের শুধু টাচ করে দেখবেন!’
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সংঘাতের তীব্রতা ‘ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি’ ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সতর্ক করে বলেন, এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত দ্রুত ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যেতে পারে। সামাজিকমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। সূত্র : বিবিসি
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আজকে (শনিবার) ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বলপ্রয়োগে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি এমন একটি অঞ্চলে বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে যা এরইমধ্যে চরম অবস্থায় রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। এই সংঘাত দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে–যার পরিণতি বেসামরিক নাগরিক, অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য বিপর্যয়কর হতে পারে।
আমি সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে উত্তেজনা কমাতে এবং জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য নিয়মের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ বিপজ্জনক সময়ে বিশৃঙ্খলার আবর্ত এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক কোনো সমাধান নেই। সামনের একমাত্র পথ হলো কূটনীতি। একমাত্র আশা হলো শান্তি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ জুন) রাতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি জানিয়ে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মার্কিন সব বি-২ বোমারু বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।