মোঃ রিফাতুল ইসলাম নামের (১১) বছরের বালক মধ্যপাড়া দারুল ফিকরি ইসলামি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হারিয়ে গেছে। গত ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। রিফাতুলের তার গায়ের রং-ফর্সা, শারীরিক গঠন : হালকা পাতলা, উচ্চতা : ৪ফুট ৫ ইঞ্চি, হারিয়ে যাওয়ার সময় তার পড়নে ছিল মিস্টি কালারের পাঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা এবং একটি কোরআন শরীফ ছিল। এ ব্যাপারে রিফাতুলের বাবা মোঃ শিপন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে (যার নং-৫৫৪/২৪, তারিখ :২৩/৮/২৪ ইং। কেউ মোঃ রিফাতুল ইসলামের সন্ধান পেলে অনুগ্রহপূর্বক যোগাযোগ করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন তার বাবা মোঃ শিপন মিয়া। যোগাযোগের ঠিকানা : মোঃ শিপন মিয়া, পিতা-মৃত মোঃ আমির হোসেন, সাং-চড়পাড়া, থানা-গৌড়িপুর, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা- মধ্যপাড়া, দিঘীর পাড়, মৃত মোঃ সাইমুল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। মোবাইল : ০১৯৭৬-৩৯৯০২৪।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে মুক্তিপণ না পেয়ে সাব্বির মিয়া (৯) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাব্বির উপজেলার বুধল ইউনিয়নের পূর্ব খাঁটিহাতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশু সাব্বির বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় মা খালেদা বেগমকে (৩০) বলে যায়, সে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যাচ্ছে। ওই দোকানে যাওয়ার পর শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন নানা জায়গায় খুঁজেও শিশুটির কোনো সন্ধান পাননি। গত বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির প্রবেশপথে একটি চিরকুট পান শিশুটির মা। চিরকুটে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও ছিল। চিরকুটে টাকা পাঠানোর জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে শিশু সাব্বিরের পরিবারের লোকজন। তাঁরা টাকা দিতেও রাজি হয়েছেন। বুধবার রাতেই পরিবারের লোকজন সদর থানার পুলিশকে জানান। মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার থেকে অভিযানে নামে। একাধিক জায়গায় অভিযান চালানোর পর অপহরণকারী ব্যক্তিরা শুক্রবার রাতে ওই শিশুর লাশ বাড়ির কাছের নির্জন একটি পুকুরের কাঁদাজলের মধ্যে ফেলে রাখে। গত শনিবার দুপুরে গ্রামের শিশুরা ওই লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই শিশুর লাশ দাফন করে পরিবার।
সাব্বিরের মা খালেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ট্যাহার জন্য আমার মানিকটারে মাইরা ফালাইছে। আমি এর বিচার চাই।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হলেও অনেক আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ শাহরিয়া সামজিদ সম্পূর্ণ ৩০ পারা কুরআনুল কারিম হেফজ করা উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান ও দোয়া মাহফিল ২ নভেম্বর শনিবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মুবারকুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এতে হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ এর খতীব মাওলানা হাফেজ আহসান উল্লাহ, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার উস্তাদ মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, ব্রাহ্মণবড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাই টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি কাউসার ইমরান, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ খান, একাত্তর টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, আল্লাহতায়ালা মানবজাতির কল্যাণের জন্য কুরআন শরীফ নাযিল করেছেন। কুরআন শরীফ হেফজ করা, তার এলেম অর্জন করা, তার আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার মাধ্যমে বান্দাহ তার রবের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কুরআন শরীফ মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন অগ্রগতি, কল্যাণ ও মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি। কুরআনের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজকে সকল প্রকার অনৈতিককতা মূলক কর্মকান্ড মূলোৎপাটন সম্ভব। তাই প্রত্যেক অবিভাবকদের তাদের সন্তানদের আদর্শবান ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করা অপরিহার্য বিষয়। পরিশেষে হেফজ সম্পন্নকারী ছাত্রদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হালাল বেকারি অ্যান্ড সুইটস নামে একটি বেকারির পাউরুটিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি পাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হালাল বেকারিকে পাউরুটি তৈরি বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷
আজ ২৪ মার্চ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ফারহান ইসলাম।
তিনি বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত বছরের নভেম্বর মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পাঁচটি বেকারি থেকে পাউরুটির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়৷ এরমধ্যে কাউতলী হালাল বেকারি অ্যান্ড সুইটস নামের একটি বেকারির পাউরুটিতে নমুনা পরীক্ষায় মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় জেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক হালাল বেকারির বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে নিয়মিত মামলা হয়। পাশাপাশি হালাল বেকারিকে পাউরুটি তৈরি বন্ধ রাখতে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।