চলারপথে রিপোর্ট :
চাকরী জাতীয়করণ করার ১দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ ও জেলা কমান্ডারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে আনসার সদস্যরা।
আজ ২৪ আগস্ট শনিবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মঞ্চে জড়ো হয়ে আনসার সদস্যরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহর বাইপাস এলাকার জেলা কমান্ডার অফিস ঘেরাও করে।
আন্দোলন চলাকালে আনসার সদস্য নোমান মিয়া বলেন, আমরা এত বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করে আসছি। আমাদের যখন বিশ্রামের নামে ছুটিতে পাঠানো হয়, তখন আমাদের বেতন ভাতা দেয়া হয়না। আমরা তখন কিছুই করতে পারিনা। আমরা যতবার কথা বলতে চেয়েছি, আমাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বাংলায় আমরা আর বৈষম্য চাইনা। আমাদেরকে চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমাদের ১দফা দাবি আদায়ে সারাদেশ আমরা একত্রিত হয়েছি। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হবে, আমরা কর্মবিরতি পালন করে যাব।
রবিউল নামে আরেক আনসার সদস্য জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে আনসার বাহিনী গঠনের পর থেকে আমরা চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করি। সকল বাহিনীর সাথে আমরা কাজ করি। যখন দেশে পুলিশ বাহিনী ছিলো না। আমরা থানায় কাজ করেছি, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যখন চুক্তিতে থাকি না, তখন আমাদের বেতন দেয়া হয়না। সব বাহিনী থেকে সবচেয়ে অবহেলিত আমরা আনসার বাহিনীর সদস্যরা। আমরা আর চুক্তি চাই না। আমরা এখন মুক্তি চাই। আমাদের ১ দফা দাবি আমাদের চাকরী জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা জেলা কমান্ডারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমাদের আগামীকাল ঢাকায় মহাসমাবেশ রয়েছে। আমরা সবাইকে অংশগ্রহন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে আনসার সদস্যদের সাথে একমত পোষন করে জেলা কমান্ডার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, তাদের দাবি আদায়ে সবসময় তিনি পাশে থাকবেন। তিনি বলেন, আমার সৈনিকরা ভালো থাকলে আমরা ভাল থাকবো। তাই আমিও চাই তাদের ১দফা দাবি পূরণ হোক। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সতিন মোচর, দুধপুলি, মিষ্টি কুমড়া, চিড়াপুলি, শুটকী পুলি, দুধ চিতই, ঝাল চিতই, হান্দেশ নামক নকশী, মাংসপুলি, পোয়া, মালপোয়া, ঝালভর্তা, ঝিনুক, চকলেট পাটিসাপটা, পাটিসাপটা, ঝুরি, পাপর, ঝিরমিল, শামুক, ঝাল ও মিষ্টি দুই ধরণের ভাপা, মাছ পিঠা, ফুল পিঠা, ভাপা, মেরা, গোল পিঠা, বউ সুন্দরী, আলু পিঠা প্রভৃতি বাহারী নামের অর্ধ শতাধিক জাতের মুখরোচক লোভনীয় পিঠার সমাহার নিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী পূর্বাঞ্চল সীমান্তের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ইন্ডাষ্ট্রিয়েল স্কুল চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চলছে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪৩০ এবং লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশনা।
স্থানীয় সরকারি মহিলা কলেজ, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, উপজেলা মহিলা উন্নয়ন ফোরাম, সরকারি শিশু পরিবার, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, চাপুইর মহিলা উন্নয়ণ সমিতি, দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, আনোয়ারা পিঠাঘর সহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ষ্টল প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত পিঠা প্রদর্শণ এবং বিক্রয় করছে। গত বুধবার বিকেলে প্রধান অতিথি নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গেটে ফিতা কেটে উৎসব উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে প্রতিদিন ভেন্যু এলাকায় বিপুল সংখ্যক পিঠাপ্রেমী শিশু শিক্ষার্থী, নারী, পুরুষের সমাগম ঘটছে। এই উৎসব সমগ্র জেলা সদরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহমুদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ছড়াকার কবি জয়দুল হোসেন।
উপস্থাপনা করেন প্রভাষক ওসমান গণি সজিব।
বক্তারা বলেন, শীতকালে ঘরে ঘরে বাঙালী লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসব আমরা ভুলতে বসেছি। ছোট বেলায় মায়ের বকুনি খেয়েও পিঠা না খাওয়া পর্যন্ত পড়তে বসতাম না। পিঠা উৎসব শুধু হিন্দুর নয়, শুধু মুসলমানের নয়। এটা বাঙালী জাতির লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এই পিঠা উৎসব আমাদের জাতির হারানো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনবে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরী করতে আবারো মনোযোগী হবে। ঘরে ঘরে মা চাচীদের শীতকালীন পিঠা আয়োজন আমাদের অতীত স্মৃতির একটা অংশ। পিঠা উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। এটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই, হারাতে দিব না।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৭টি ষ্টলে বাহারী নাম ও সৌন্দর্যের পিঠা বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় লোকজ অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশ করে সবাইকে মুগ্ধ করছেন। আগামী কাল শুক্রবার রাতে তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের সমাপনী ঘটবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে রেইনবো প্রি-স্কুল কাজ করছে। তিনি বলেন, আজকের এই জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি বার্তা দিচ্ছে রেইনবো প্রি স্কুল এর পরিচালক শারমিন বেগম। এ প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ আরো আলোকিত হউক এ কামনা করি। বুধবার সন্ধ্যায় রেইনবো প্রি-স্কুল এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রেইনবো প্রি-স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শারমিন বেগম। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, মধ্য পাইকপাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন মোহাম্মদ আশরাফ ও আশা মনি। মোঃ শিপনের পরিচালনায় মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুহিলপুর জিল্লুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ প্রায় ১০টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো জাতীয় সংগীত, মা-বাবাকে সম্মাননা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি, নিত্য, অতিথিদের সম্মাননা, সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সম্মাননা, একক নাচ, হাতের লিখা, জাদু শিল্পী, সেরা ১০ জন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সম্মাননা প্রদান, কেইক কাটা, কোমলমতি শিশুদের মাঝে সম্মানা প্রদান এবং রেফেল-ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তি ও চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে পুণর্বহালের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানববন্ধন হয়েছে। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ছাত্র ও ছাত্রজনতার ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী স্বপ্না আক্তার, আনিক হাসান, মোঃ শরীফ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে গ্রেফতার করতে হবে তা মেনে নেয়া যায়না। তাই বক্তারা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও চাকুরীতে পুণঃর্বহালের দাবি জানানোর পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে বৈষম্যদূর করার দাবি জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সহায়তায় ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আজ ১৮ মে শনিবার সকালে শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আবদুল মান্নান সরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিথি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ লতিফুর রহমান আল আমিন, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, নাসির উদ্দিন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য কোহিনুর আক্তার।
দুর্নীতিকে না বলে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈমা আক্তার, শোভা আক্তার ও লামিয়া মেহজাবিন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি কবি আব্দুল মান্নান সরকার দুর্নীতি বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান।
চলারপথে রিপোর্ট :
সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন এন্ড গার্লস হাই স্কুলের বার্ষিক মিলাদ মাহফিল আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ মহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মো: সাইফুল ইসলাম, সভাপতি সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন এন্ড গার্লস হাই স্কুল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মিলাদ পাঠ ও দোয়া পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা মুফতি নুসরাতুল্লাহ নূর।
সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা বেগম। প্রধান অতিথি হামদ, নাথ, গজল ও কেরাত প্রতিযোগিতায় ৫টি বিভাগে ৫৮ জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, রেকটোর সত্বাধিকারী মো: আশিকুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দোয়া শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।