চলারপথে রিপোর্ট :
সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের কোড্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মহিবুল ইসলাম চঞ্চল (৩৮) জেলা শহরের মধ্যপাড়ার মৃত স্বপন মিয়ার ছেলে ও শাহীন চৌধুরী (৪৮) পৌর এলাকার নয়নপুরের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চঞ্চল ও শাহীন মোটরসাইকেলে আখাউড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কোড্ডায় রেলওয়ে ক্যাবিন ঘরের কাছাকাছি এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। আহত হয়েছেন অটোরিকশার ৫ যাত্রী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আজ ১৯ আগস্ট সোমবার শহরের পৌর সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে জেলা আহবায়ক মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সভাপতিত্বে এবং জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহীনুর রহমান শাহীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, যুগ্ম সম্পাদক রুমেলুর রহমান রুমেল, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মাসুদুর রহমান, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান জুয়েল, ওয়াহিদুর রহমান, পৌর যুবদলের আহবায়ক সজিবুর রহমান, ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনার পাশাপাশি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের সুস্থ্যতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দেশের আপামর জনগোষ্টীর মধ্যে চিকিৎসা সেবাকে পৌঁছে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইহারই ধারা বাহিকতায় সরকারি অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগীদের চিকিৎসা সেবায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হার্ট ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘‘সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মীদের অবহিত করন শীর্ষক’’ এক কর্মশালায় সভাপতির বক্তৃতায় এই আহবান জানান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডা: ডিউক চৌধুরী, সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা: মাহমুদুল হাসান এবং ডা: জহিরুল ইসলাম প্রমুখ আলোচ্য বিষয়ে কমিউনিটির স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সেমিনারের অন্যান্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মিন্টু ভৌমিক, ব্যবস্থাপনা কমিউনিটির সদস্য এডভোকেট মোঃ হাবিবুল্লাহ, ফরিদা নাজমিন, জেসমিন খানম, তাজুল ইসলাম বাবু ও মোঃ জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে অবৈধভাবে মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের জেলা প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ঢেউ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধু সভার সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ঢেউ এর সদস্য শাহাদাত হোসেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম যারা করে তাদের কোনো পরিচয় নেই। তারা সন্ত্রাসী। সুষ্ঠু বিচারের জন্যই আজ আমরা দাঁড়িয়েছি। সাংবাদিকরা কেন এখনও নিরাপদ না। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখানো যাবে না এটা সবার বুঝতে হবে। ভয় দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে সাংবাদিকদের নিভৃত করা যাবে না। বক্তারা অবলিম্বে মাইনুদ্দিন রুবেলের উপর হামলায় জড়িত প্রধান আসামী মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সী ও কাইয়ুমসহ সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। আন্দোলন করেই যদি সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে হয়, সাংবাদিকরা তাই করবে। হামলার প্রতিবাদ জানিয়েই যাবে। তারা জড়িতদের সকলকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে জেলার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে মাইনুদ্দিনের ওপর হামলা করা হয়। উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সির নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়াসহ তার সহযোগীরা এই হামলা চালায়। এ ঘটনায় পরদিন রাতে আহত সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেল বাদী হয়ে লিটন মুন্সী, কাইয়ুমসহ ১৩জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিন্তু পুলিশ এখনো মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এখনে কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।