অনলাইন ডেস্ক :
ভয়াবহতম বন্যায় কবলিত দেশ। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। এই মানবিক বিপর্যয়ে বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। বানভাসিদের জন্য এগিয়ে এসেছেন দেশের প্রভাবশালী অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজলও।
অভিনেতা ডিপজল বরাবরের মতো এবারও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও ফেনীতে ট্রাকে করে তার টিম ত্রাণ বিতরণ করেছে। নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছে।
ডিপজলের পাঠানো ত্রাণের মধ্যে রয়েছে- বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, চিড়া, গুড়, স্যালাইন, লাইটার, মোমবাতি, লুঙ্গি, শাড়িসহ প্রয়োজনীয় পণ্য। ডিপজলের এই ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয় করছেন তার সহকারী ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘ডিপজল সাহেব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুরো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার। আমরা তার নির্দেশমতো দিন-রাত পরিশ্রম করে পণ্য প্যাকেট করে ট্রাকে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন বন্যার্তদের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যেকোনো দুর্যোগে এবং সাধারণ মানুষের সমস্যায় সবসময়ই পাশে দাঁড়ান ডিপজল। প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমার সময় সময় শত শত বাস বিনাভাড়ায় মুসল্লিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন এই অভিনেতা। এ ছাড়া সারাবছরই চলচ্চিত্রে বেকার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নানাভাবে সহযোগিতা করেন তিনি। ফলে চলচ্চিত্রে দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ডিপজল।
এর আগে, ২০২২ সালেও সিলেটের সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার সময় দুর্গত এলাকায় দশ ট্রাক পণ্য পাঠিয়েছিলেন ডিপজল। বরাবরই দেশের দুর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। সাধ্যমতো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন এবং অন্যদেরও পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই অভিনেতা।
অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে। আজিজুল হাকিম তামিমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হেসেখেলে জিতেছে টাইগার যুবারা। এই জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।
আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয় নেপাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে আকাশ ত্রিপাঠীর ব্যাট থেকে। এছাড়া, উত্তম মাগার ৬৯ বলে ২৯ রান করেন। আর ৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন অভিষেক তিওয়ারি। এই তিনজন বাদে দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি কেউ।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট ঝুলিতে তোলেন আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন। এছাড়া, একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ রাফিউজ্জামান রাফি, সাদ ইসলাম ও আজিজুল হাকিম।
জবাব দিতে নেমে জাওয়াদ আবরারের ব্যাটে ভর করে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নেন আবরার। দলীয় ৯১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরার আগে ৬৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর কিছুটা ধীরে এগোলেও সময়ের সাথে সাথে আগ্রাসী হন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতক। দলকেও নিয়ে যান জয়ের খুব কাছে।
শেষ দিকে দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তামিমের ব্যাটে চড়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ। ১২৮ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয় পায় টাইগার যুবারা। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৭১ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম। বল হাতে নেপালের হয়ে চার উইকেট নেন যুবরাজ খত্রি।
আগামী মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশের যুবারা।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের নায়িকা পুষ্পিতা পপি। ২০১৯ সালে হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী।
এরপর আর অভিনয়ে দেখা যায়নি তাকে। মূলত ধর্মের কারণেই অভিনয় ছেড়েছিলেন তিনি।
জানা গেছে, চলচ্চিত্রে ছেড়ে শুধু নিজেকেই আড়াল করেননি, হয়েছেন দেশান্তরী। স্বামীর সঙ্গে পাড়ি জমিয়েছেন ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে। সামাজিকমাধ্যম থেকেও সরিয়ে ফেলেছেন আগের সব ছবি।
একটি গণমাধ্যমকে এই অভিনেত্রী জানান, ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলার জন্য সিনেমা ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। বাকি জীবন ইসলামি আদর্শে কাটাবেন।
তিনি বলেন, সিনেমা ছেড়েছি, আর কখনোই আমাকে পর্দায় দেখা যাবে না। এখানে স্বামী সংসার নিয়ে আছি। ভবিষ্যতে আল্লাহপাক যা করবেন, যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলব। সবার কাছে দোয়া চাই।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার সুবাদে অভিনয় পা রাখেন পুষ্পিতা পপি। কিন্তু নায়িকা হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ সিনেমার মাধ্যমে। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় এটি মুক্তি পায় ২০১৪ সালে।
পুষ্পিতা পপি আলোচনায় আসেন ‘পাঙ্কু জামাই’ সিনেমায় অভিনয় করে। এতে তিনি শাকিব খানের প্রথম প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ‘কখনও ভুলে যেও না’, ‘ঠোকর’, ‘প্রেম হতেই পারে’ ও ‘ফাগুনের আগুন’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন তিনি। পুষ্পিতা পপি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ধূসর কুয়াশা’। এটি ২০১৯ সালে মুক্তি পায়।
স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে নাগালে পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৯৫ রানে আটকেও জিততে পারেনি স্বাগতিকরা। টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে অবশ্য ভুল করেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতের নারী দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে নিগার সুলতানারা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সুলতানা-রাবেয়াদের বোলিং তোপে ৯ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ১০২ রান।
দলটির হয়ে তিনে নামা জেমিমাহ রদ্রিগুয়েজ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা হারমনপ্রীত কাউর আউট হন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলে।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ওপেনার শামীমা সুলতানা ও নিগার সুলতানার ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক নিগার ১৪ রান করে আউট হন।
অন্য প্রান্তে ছিলেন ওপেনার শামীমা সুলতানা। তিনি ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন দলের ৮৫ রানে। তার ব্যাট থেকে ৪৬ বলে আসে ৪২ রানের ইনিংস। তিনটি চারের শটে ওই রান করেন তিনি। বাকি পথটা ঋতু মনি ও নাহিদা আক্তার পাড়ি দেন। ঋতু ৭ রান ও নাহিদা খেলেন ১২ রানের হার না মানা ইনিংস।
এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে সুলতানা খাতুন ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রাবেয়া খান ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া নাহিদা, ফাহিমা ও স্বর্ণা একটি করে উইকেট নেন।
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’