বুধবারের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ

জাতীয়, 26 August 2024, 529 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত কতসংখ্যক শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়ে কর্মরত আছেন, তার তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

banner

২৫ আগস্ট রবিবার অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব মো. লুৎফর রহমানের সই করা জরুরি চিঠিতে এ তথ্য জানাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান ও সহকারী শিক্ষক পদে কতজন শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন, সে বিষয়ে সংযুক্ত পত্রের ছক মোতাবেক একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য আগামী ২৮ আগস্ট দুপুর ১২টার মধ্যে নিয়োগ শাখার ই-মেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

ই-মেইল ঠিকানাটি হলো-ad.recruitdpe@yahoo.com। এই ঠিকানায় এক্সেল ফরম্যাটে সফট কপি ও পিডিএফ কপি মেইল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

নারায়ণগঞ্জে শিশুসহ ৩ জনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার

জাতীয়, সারাদেশ, 11 April 2025, 432 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে দুই নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া এলাকার একটি বাড়ি আঙিনা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যায় জড়িত ইয়াসিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

banner

মৃতরা হলেন, মিজমিজি এলাকার মৃত আ. ছামাদের মেয়ে লামিয়া আক্তার(২২), তাঁর বোন স্বপ্না আক্তার(৩৫) ও লামিয়ার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৪)। এঘটনায় লামিয়ার স্বামী মো. ইয়াসিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে রাস্তার পাশের একটি পরিত্যক্ত স্থানে গন্ধ দেখতে পেয়ে ইট সরিয়ে কয়েকটি বস্তা দেখতে পায়। পরে বস্তুা সড়িয়ে দেখে খণ্ডিত মরদেহ। এসময় স্থানীয় পুলিশকর খবর দেন। স্থানীয়রা জানায়, নিহত লামিয়া আক্তার পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন। তার চার বছরের সন্তান আব্দুল্লাহ ও মানসিক প্রতিবন্ধী বড় বোন স্বপ্নাকে নিয়ে স্বামীর ইয়াসিনের সঙ্গে বাড়া বাড়িতে থাকতেন। ইয়াসিন মিয়া নেশাগ্রস্ত হওয়ার গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিলো। এর জেরে তিনজনকে হত্যা করে ইয়াসিন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, মিজমিজি এলাকার একটি পুকুরে স্থানীয়রা বস্তা বন্দী খণ্ড বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতারকৃত ইয়াসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে জানায় পুলিশ৷

কারা নির্যাতিত ইসহাক সরকার মানুষের সেবায় উৎস্বর্গ করতে চায়

জাতীয়, রাজনীতি, 29 July 2025, 182 Views,

জায়েদুল কবির ভাঙ্গি, গাজীপুর :
পুরান ঢাকার বংশালের বাসিন্দা ইসহাক সরকার। তিনি জানান, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ৩৬৫টি মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১০ বছর বিভিন্ন সময়ে কারাবন্দী ছিলেন।

banner

বিএনপির বিগত আন্দোলন গুলোতে ইসহাক সরকারের ভূমিকা ছিল মাঠে সরব। দিনের পর দিন তিনি রাস্তায় আন্দোলন চালিয়েছেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ত্যাগী ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারের ফেরারী জীবন চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, পুরান ঢাকায় একটি লিজকৃত সম্পত্তি, যা একসময় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম দখল করেছিল, সেটি তিনি পুনরুদ্ধার করেন এবং এর আয়ে তিনি দলের নিখোঁজ-নিহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে সহায়তা করেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, ‘‘৯৬ সালের শেষের দিকে ঘটনা। বরিশাল জেলা সফরের উদ্দেশে সদরঘাটের দিকে আসছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তখন কয়েক শতাধিক কর্মী সমেত মিছিল- শ্লোগানে সদর এলাকা মুখর করে তোলেন ৩৪নং ওয়ার্ডের ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার। পাশেই গাড়িতে বসেছিলেন তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। মধ্যরাতে এতো বড় শোডাউন দেখে ইসহাক সরকারকে কাছে ডাকেন তিনি। জিজ্ঞেস করেন নাম-পরিচয়। অনুরোধ করেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাওয়ার। পরের দিনই হাজির হন নয়াপল্টনে। রাজনীতির প্রতি আগ্রহ দেখে তাৎক্ষণিকভাবেই তাকে কোতোয়ালি থানার দায়িত্ব দেন পিন্টু। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঝড়ের গতি দায়ের হয় মামলা। শুরু হয় কারাগার আর ফেরারী জীবন। তার জন্য নির্যাতিত হয় পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তবুও পিছু হটেননি। ছাড়েননি রাজনীতি। শত নির্যাতনেও তিনিছিলেন অবিচল। ওয়ার্ড থেকে থানার দায়িত্ব পেয়েই নেমে পড়েন রাজপথে। নিয়মিত অংশ নিতেন মিছিল-মিটিংয়ে। আধাবেলা হরতাল দিলে পুরান ঢাকায় পালন করতেন রাত পর্যন্ত। ৯৮ সালে রমনা পার্কে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ওই কর্মসূচিতে শতাধিক ছাত্রদল কর্মী নিয়ে অংশ নেন তিনি। মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবনের মোড় আসতেই ৩৬ জন কর্মীসহ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা হাজতে খালি গায়ে তাদের বসিয়ে রাখা হয়। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোটভাই খাবার দিতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেড় মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এক রনাঙ্গনের বীর যোদ্ধার রাজনৈতিক জীবন : বিগত সময় থেকে স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ করে আসছেন রাজপথের আলোচিত নেতা ও আন্দোলন সংগ্রামের অগ্নিপুরুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাবেক সংগ্রামী সভাপতি ইসহাক সরকার।

ওয়ান ইলেভেন এর কঠিন সময়েরও অনেক আগে থেকে রাজপথে লড়াইকরে আসছেন এই অগ্নিপুরুষ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাঁকে বহুবার হতে হয়েছে কারা-নির্যাতিত। বিগত হাসিনা সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আন্দোলনে দেশের তৎকালীন ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ মামলায় ৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন তারই বড় ভাই আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী নেতা “ইয়াকুব সরকার”। রাজপথের বীর নেতা, আড়াইশোর বেশি অর্থাৎ ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে সর্বাধিক মিথ্যামামলার আসামী “ইসহাক সরকার”।

যার জীবনের অনেকটা সময়ই কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে পিতৃবিয়োগের শোক সংবরণ করতে হয়েছে। আরেক ভাই “ইসমাইল সরকার” যিনি রাজনীতি না করেও ৬০ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪ বার কারাবরণ করেছেন। “ইসমাইল” নামের পিছনে শুধুমাত্র সরকার নাম থাকার কারণে তাকে রাজনীতি না করেই হাসিনা বাহিনীর নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে।

এই বীরযোদ্ধার; আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছিঃ

১৯৯৬ সালের ২৭ এপ্রিল রাজধানীর রমনা পার্ক থেকে প্রথমবারের মতো আটক হন ইসহাক সরকার। ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি শহিদউদ্দিন চৌধুরী এনি ও ইসহাক সরকারসহ ছাত্রদলের ৩৪ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন কোতয়ালি থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মী। আটককৃতদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের খোলা মাঠে সারাদিন খালি গায়ে রাখা হয়। পরদিন বাংলাদেশের গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ঃ ÒTorture on Dhaka University students under police custodz; Sheikh Hasina style”

১৯৯৯ সালে হরতাল চলাকালেবংশাল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পিকেটিং করার সময় দ্বিতীয়বারের মতো আটক হয় ইসহাক সরকার। ১৭টি মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয় ইসহাককে। কোতয়ালি থানায় রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে খাবার দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয় তারই সহোদর ইসমাইল সরকার (১৭) ও তাঁর সহযোগী নীরব। ৪ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান ইসহাক সরকার। সেই একই বছরের শেষ দিকে বংশাল বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে ইসহাক সরকার কে পুনরায় আটক করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ! ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ১০৭ মামলায় গ্রেফতার হয়ে দেড় বছর কারাবরণ করেন তিনি। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তাঁর বাবার মৃত্যু হলে ৪ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বাবার জানাযা ও দাফনে অংশ নিয়ে আবার কারাগারে গমন করেন তিনি।

বাবার জানাযায় ডান্ডা-বেড়ি পরে পুলিশের সাথে অংশ নিতে আসলে, তাঁকে এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নামে। যা পুরাতন ঢাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ইসহাক সরকারের মুক্তি কামনা করে বলেনঃ “কারাগারে থাকা অবস্থায় কিছুদিন পূর্বে ইসহাকের পিতার মৃত্যু হয় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে তাঁকে পিতৃ বিয়োগের শোক সংবরন করতে হচ্ছে। আমি অবিলম্বে ইসহাকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।” সব মামলায় জামিনের পর এক এক করে ৫টি নতুন মামলায় কারাগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ১০৭ মামলায় কারাগারে থাকার সময় বিএনপির “ঢাকা টু পঞ্চগড়” লংমার্চের ২২ জন ও পথসভায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন “আমার ২৫ বছর বয়সের ছাত্রনেতা ইসহাক সরকারকে ১০৭টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা ইতিহাসে নজিরবিহীন।”

এরই প্রেক্ষিতে “আর কাউকে জেলগেট থেকে গ্রেফতার করা যাবেনা”-হাইকোর্টের এমন আদেশের পর মুক্তি পান ইসহাক সরকার। কারাগারে থাকার সময় আন্দোলন করতে গিয়ে নিহত হন ইসহাক সরকারের ঘনিষ্ট বন্ধু ও সহচর মামুন, নিরব ও সামসু। এছাড়াও ছাত্রদল কর্মী রুবেল, ওমর ফারুক ও সালাম আন্দোলনে নিহত হন। ইসহাক যখন ১০৭ মামলায় কারাগারে, ঠিক তখনি ২৫টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রাজনীতি না করা ছোট ভাই ইসমাইল সরকারকে দ্বিতীয় বারের মতো কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দুই ছেলে জেলে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রনে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাত করতে যান গর্বিত সেই মা জননী। ২০০০ সালের প্রথম দিকে ইসমাইল সরকার কে ৩০টি মামলায় আবার গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০০৯ সালে হাসিনা সরকার যখন আবার ক্ষমতায় আসে তখন এই বীর পরিবারের উপর নির্যাতনের “নীলনকশা” তৈরি করা হয়। আবার শুরু করে অত্যাচার-নির্যাতন। শুরু হয় আবার একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার নগ্ন পরিকল্পনা। ইসহাক সরকার এর উপর দায়ের করা হয় একের পর এক মিথ্যা মামলা।

এ ব্যাপারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সংসদে দাড়িয়ে বলেনঃ “ইসহাকের উচিত কোর্টের পাশেই ঘর বানিয়ে থাকার। যেন সকাল হলেই কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে কষ্ট না হয়।” জীবনের ব্যাপক ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ও লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন এই বীরযোদ্ধা। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন থেকে অনেক দূরে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। এই বীরের আন্দোলন থামাতে ব্যর্থ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের দালাল তৎকালীন লালবাগ জোনের পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ কাপুরুষের মতো সবসময় সরগরম হয়ে থাকা বংশাল বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পুলিশ মোতায়েন করে রাখে। এতো ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার পরেও অন্যায়ের সাথে আপোষতো দূরের কথা বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা থেকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি এই বীর রণাঙ্গনের যোদ্ধা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তাঁদের পরিবারের উপরও চলেছে জালিম হাসিনার পোষা হায়েনালীগ ও তাদের দোসর প্রশাসনের নির্মম বর্বরতা ও নির্যাতন। তাঁদের বাসায় কখনো নিক্ষেপ করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড। আবার কখনো করা হয় গুলিবর্ষণ। কিংবা বাসায় তালা ঝুলিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয় তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের। হামলা ও ভাংচুর তো এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেই শেষ নয় ২০১৩ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলন এর সময় একই সাথে ৯ জন কে গুম করা হয় যারা ছিলেন সোহেল চাচা, জহির, পারভেজ, চঞ্চল, সহ ইসহাক সরকার এর হাতে গড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল এর সাহসী নেতা কর্মীরা এবং এরই প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৮ জুন মঙ্গলবার বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান তাদের বিশ্বরাজনৈতিক পাতায় ইসহাক সরকারের প্রতিবাদমুখর এক আলোকচিত্র দিয়ে তৈরি করে তাদের মূল প্রচ্ছদ ও প্রতিবেদন! সবশেষে তাঁর গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনের অগ্রযাত্রা রুখতে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয় র‌্যাব এর ক্রসফায়ার তালিকায়! এতোসব নির্মম নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্রদলের প্রাণপ্রিয় নেতা ইসহাক সরকার।

এক মাস বন্ধ থাকবে সব কোচিং সেন্টার

জাতীয়, 28 January 2024, 842 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও প্রশ্নফাঁসের গুজবমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশর সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

banner

আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসসি পরীক্ষা গুজবমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সভায় সিদ্ধান্ত হয় কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অননুমোদিত ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচযুক্ত মাইক্রোবাস বা এমন কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না।

তাছাড়া প্রত্যেক কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ প্রদান করা হবে। ট্যাগ অফিসার ট্রেজারি, থানা হেফাজত থেকে কেন্দ্র সচিবসহ প্রশ্ন বের করে পুলিশ প্রহরায় সব সেটের প্রশ্ন কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব কিংবা এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি জোরদার করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসন কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন হলে আন্তঃবোর্ডের সমন্বয়ক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা, আইনশৃঙ্খলা ও পরীক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এসএসসি, দাখিল, এসএসসি-ভোকেশনাল ও দাখিল-ভোকেশনাল পরীক্ষায় মোট ২০,২৪,১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রী হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধার

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 17 February 2023, 2897 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের ১০দিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জের সদস্যরা। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ভাটামাথা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে।

banner

ভিটটিম সদর উপজেলার একটি স্কুলের ছাত্রী। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে। দুপুরে উদ্ধারকরা স্কুল ছাত্রীকে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হস্তান্তর করার পর পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব সিপিসি-১-হবিগঞ্জ থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা র‌্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগে করে জানায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার সময় তার কন্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়া থেকে অটোরিক্সা দিয়ে শহরের কাউতলী যাওয়ার পর কাউতলী গ্রামের গলিপথে যাওয়ার পর বোরহান উদ্দিনসহ তার অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়ে দেখিয়ে তার কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তিনি এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা ও র‌্যাব-৯-এর সিপিসি-১ হবিগঞ্জ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব সদস্যরা ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের আনোয়ারপুর গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী বোরহান উদ্দিন (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৯-এর সিপিসি-১-হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক। তিনি একজন লেবাসধারি ইমাম। তিনি সদর উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করেন। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীকে নানাভাবে ফুসলানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। তাকে ফুসলাতে না পেরে পরবর্তীতে সহযোগীদের নিয়ে তাকে অপহরণ করেন।

গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিন প্রকৃতপক্ষে একজন অপহরণকারী ও ধর্ষক। এর আগেও সে ১০ বছরের এক শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ- একটি ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা চলমান রয়েছে। (মামলা নং- নাঃ শিঃ ২৪৪/১৯ ইং ও আখাউড়া থানার মামলা নং-০১, তারিখ ০১/০২/২০১৯ইং জিআর-৩৭/১৯)। ওই মামলায় সে দীর্ঘ ১১ মাস হাজতবাস করে জামিনে মুক্ত পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আবারো একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন বলেন, শুক্রবার দুপুরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে উদ্ধার করা স্কুল ছাত্রী ও গ্রেফতারকৃত বোরহান উদ্দিনকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ও বোরহান উদ্দিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এশিয়া কাপজয়ী সবাইকে ৩ লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা

খেলাধুলা, জাতীয়, 21 December 2024, 926 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের দল ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের জন্য বিসিবির কাছ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন তারা।

banner

আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সবাইকে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা করে।

কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ছেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি থাকে বিসিবির। এতদিন এমন কিছু ছিল না মেয়েদের ক্রিকেটে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট চালুর সঙ্গে আরও একটি ভালো খবর পাচ্ছে নারীরা। তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্যও চুক্তি রাখবে বিসিবি।

সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব নিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপজয়ী দলের ক্রিকেটার, প্রত্যেক সদস্যকে আমরা ৩ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি দেব। আমাদের মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তি একটা আছে আপনারা জানেন। এর সঙ্গে আরও ত্রিশজন ক্রিকেটারকে, ছেলেদের যেমন জাতীয় লিগ যারা খেলে তাদের চুক্তি আছে, তেমনই ত্রিশজন মেয়ের জন্য একটা চুক্তি আনব আমরা। ছেলেদের মতো মেয়েদেরও উইনিং বোনাস চালু করেছি আমরা। যেটা নতুন জিনিস। ’

‘র‍্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে ছেলেরা যেমন একেক অনুপাতে বোনাস পায়, একইভাবে মেয়েরাও বোনাস পাবে। টাকার অংক হয়তো একটু হেরফের হবে, তবে বোনাস পাবে। মূলত এগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হবে। তাই এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ’

এবারের বিপিএলে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে এসেছে বিসিবি। সোমবার ঢাকায় ও পরে আরও দুটি শহরে হবে মিউজিক ফেস্ট। এসব আয়োজনের কথাও বোর্ড সভার পর জানিয়েছেন ফারুক।

তিনি বলেন, ‘থিম সং, গ্রাফিতি লঞ্চ হয়ে গেছে। কোলাহলপূর্ণ জায়গায় আমরা একটা জায়ান্ট বেলুন দেব। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্যাম্পেইন আমরা চালু করেছি। মিউজিক ফেস্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ট্রফি ট্যুর হবে একটা। আমি জানি না আগে করা হয়েছে কিনা। আমাদের মিউজিক ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে মধুমতি ব্যাংক এসেছে। তারা ৫ কোটি টাকার কাছাকাছি দেবে।’