চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৪ দিন পর দুই মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশের জমি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হচ্ছেন, কালিসীমা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে নাইমা (১৪) ও সাদেকপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের মেয়ে মাইমুনা (১৫)।
তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পয়াগ গ্রামের ময়না বেগম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকালে তারা মাদ্রাসায় যায়। শনিবার সকালে মাদ্রাসা থেকে ফোনে জানানো হয় তারা মাদ্রাসায় নেই। মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান রাতে, একটু দুষ্টামি করায় তাদের শাসানো হয়, এরপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চাইলে শিক্ষকরা তা দেখাতে গড়িমসি করেন। ঘটনার ৪ দিন পর মঙ্গলবার সকালে সাদেকপুর উত্তর পাড়ায় একটি মসজিদের পাশে জমির পানি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দুই মাদরাসা শিক্ষার্থী শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত থেকে নিখোঁজ হয়। পরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। এরপর পরিবারের সদস্যসহ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাদেকপুর রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০ টি আলোকশিখা প্রজ্বলনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি উৎসবের শুভসূচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোকশিখা প্রজ্বলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সূচনাপর্বেও শিরোনাম ছিলো ভারতীয় শিল্পীদের আবৃত্তি পরিবেশনা। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এসময় আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের মেদিনীপুর থেকে সৌরেন চট্টোপাধ্যায়, সমন্বয় চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে বিপ্লব চক্রবর্তী,মলি দেবনাথ,অন্তরা দাস ও ত্রিপুরা থেকে বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী, দীপক সাহা।
অনুষ্ঠানের সূচনা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজি মাহতাব সুমন।
আবৃত্তিশিল্পীদের নানা ধরণের কবিতার উচ্চারণে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারি পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস) মো.সোনাহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ১৪ দল সমন্বয়ক হাজি হেলাল উদ্দিন, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফসিউর রহমান হাসান ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি আমার জন্য শ্লাঘার। আমি খুবই আনন্দিত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও সংস্কৃতির পথে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এ সংগঠনের ভূমিকা আমাদের প্রাণিত করেছে। যারাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে-সুন্দর সংস্কৃতির পক্ষে লড়াই করছে আমি তাদের পাশে আছি,থাকবো। আমার প্রতিটি সংকটে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আমার পাশে ছিলো। সংগঠনটির দুই দশক পূর্তিতে আমি সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
কলকাতা থেকে আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী ও মেদিনীপুরের আবৃত্তিশিল্পী সৌরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবৃত্তি অনুষ্ঠানে শতশত মানুষের উপস্থিতি দেখে আমরা খুবই উচ্ছসিত। আবৃত্তি এখানে গণমানুষের শিল্পে পরিনত হয়েছে। সুরের এই মাটি আবৃত্তিশিল্পের লালনেও আমাদের পথ দেখাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ১০ টি বিশেষ উদ্যোগ একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বাল্যবিবাহ ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ১২ মে রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের হলরুমে এক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতা মূলক কাজটি করে যাবে”।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপপরিচালক ভিকারুন নেছা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহফুজা খানম, সাবেক মহিলা কমিশনার হালিমা খাতুন প্রমুখ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মাওঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুবের পরিচালনায় মজলিশপুর ইউনিয়নের উলামা মাশায়েখদের এক আলোচনা সভা ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখের মাওঃ হারুন আল হাবীব, মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, মাওঃ আমিনুল ইসলাম, মাওঃ আল আমিন মামুন, মাওঃ মুশাহিদুল ইসলাম, মাওঃ উসমান গণি, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাফেজ মাওঃ ইসহাক, মাওঃ জাকির হোসাইন, মাওঃ দেলুয়ার, মাওঃ মুফতী বিল্লাল, মাওঃ সাইফুল ইসলাম মঞ্জু, মাওঃ এমদাদ, হাফেজ শফিক, হাফেজ আনোয়ার, মাওঃ নাসির, মাওঃ মুক্তার, মাওঃ ফয়সাল আহমেদ সুলতান, মাওঃ ইলিয়াস, মাওঃ শামিম, মাওঃ হাফিজ, মাওঃ মাহমুদ, প্রমুুখ।
আলোচনা সভায় সকলের পরামর্শ ক্রমে মুফতি আব্দুল হান্নান কাসেমী কে সভাপতি মাওঃ আল আমিন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক মাওঃ ইউসুফ বিন ইয়াকুব কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য ইত্তেহাদুল উলামা ত্বলাবা ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি আল আমীন শাহীনের পিতা রফিকুল ইসলাম খন্দকার (জানু মিয়া)’র আজ ৭ মার্চ ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৮৭ সালের ৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিস্ট ব্যবসায়ী লাখীবাজারস্থ শাহীন ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামের সন্তান মরহুম রফিকুল ইসলাম খন্দকার জানু মিয়ার সৌদি আরবের রিয়াদে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর পৈরতলাস্থ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম রফিকুল ইসলাম জানু মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার জন্য সকলের প্রতি জানান হয়েছে।