চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
২৬ আগস্ট সোমবার বিকেলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রত্যন্ত বন্যা কবলিত দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩০০ পরিবারের মধ্যে উপহারের খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ড্যাবের সভাপতি ডা. মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও ডা. মো. তারেকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ড্যাবের কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল হক শাকিল, সহ-সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, জেলা ড্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় ড্যাব সদস্য ডা. জুনায়েদুর রহমান লিখন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মেজবাহ উদ্দিন, ড্যাব সদস্য ইকরামুল রেজা, ডা. সারোয়ার হোসেন, আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. সেলিম ভূইয়া, সদস্য সচিব আক্তার খান ও যুবদল সদস্য সচিব মহসীন ভূইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। শেখ হাসিনা পালাবেন না বলে, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়ায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি। বন্যা পরবর্তীতে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে সুরক্ষার জন্য ড্যাবের মেডিকেল টিম বিনামূল্যে জনগণকে চিকিৎসা সেবা দিবে বলে জানান তিনি। পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে ৪ নারীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সুমন দাস (৩৭) কে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১৪ এপ্রিল সোমবার বেলা ৩টার দিকে শহরের মসজিদ পাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। সে মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা এবং সড়ক বাজারের ইলেক্ট্রিক সামগ্রী ব্যবসায়ী।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে সড়ক বাজারের হাজী নূর মার্কেটের নীচ তলায় হাড়ি পাতিল চুরির অপবাদ দিয়ে ৪ নারীর চুল কেটে দেয় সুমনসহ কয়েকজন যুবক। চুল কাটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দা ও বিচারের দাবি জানায় ছাত্র জনতাসহ আলেম ওলামা। অভিযানে নামে পুলিশ।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বলেন নারীর চুল কাটার অভিযোগে সুমন দাসকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার সময় দুই বাংলাদেশি নাগরিক বিজিবি’র হাতে আটক হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে আটক ওই দুইজনকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।
আটককৃতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার দক্ষিণ সিংহগ্রামের নগেন্দ্র ভৌমিকের ছেলে নরেন্দ্র ভৌমিক (৫০) ও নারায়ণ ভৌমিকের ছেলে বিশ্বজিৎ ভৌমিক (২৫)। প্রায় এক মাস আগে তারা হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
বিজিবি থেকে পাওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানায় যায়, সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি টহলরত অবস্থায় ওই দুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আগরতলার লঙ্কামোড়া এলাকার সমীর নামে একজনকে ১২ হাজার ও আখাউড়ার আব্দুল্লাহপুরের শামস্ ভূঁইয়ার ছেলে মো. আরিফকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এর আগে তারা চিকিৎসার জন্য অবৈধভাবে ভারতে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের নাসরিন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন জুতা প্রদান, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা, বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩ এপ্রিল বুধবার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং স্কাউট ও প্যারেড দলের সদস্যসহ ২৬৬ জনকে নতুন জুতা (সাদা কেডস্) দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে এসব জুতা ক্রয় করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে জুতা তুলে দেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক সৈয়দ মোজাম্মেল, রানা ভ্ইূয়া, সাফিয়া খাতুন, দীপা বনিক, লিজা আক্তারসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ। নতুন জুতা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক গরীব হয়। এজন্য তাদের সন্তানকে অর্থাভাবে যথা সময়ে নতুন জুতা কিনে দিতে পারে না। সেজন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে যে সকল শিক্ষার্থী নতুন ভর্তি হবে তাদের দায়িত্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিবে। আমরা প্রথমে জুতা দিয়ে শুরু করেছি। শুধু তাই নয় যারা অর্থের অভাবে স্কুল ড্রেস বানাতে পারবে না। এসব শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষক বরাবরে আবেদন করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল ড্রেসের ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া এ স্কুলের এসএসসি বিদায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কাপড় উপহার দেওয়া হবে। এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-ফাইভ প্রাপ্তদেরকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয়েছিল আখাউড়া উপজেলা। ওই দিন সড়ক বাজারের পোস্ট অফিসের সামনে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের লাল সবুজের পতাকা। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দুইদিন ব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জলন করা হয়। আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আনন্দ র্যালি বের করা হবে। র্যালি শেষে পোস্ট অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হবে।
আখাউড়ার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর ও ১ ডিসেম্বর উপজেলার আজমপুর ও রাজাপুর এলাকায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। ৩ ডিসেম্বরের যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর ১১ সদস্য নিহত ও মুক্তিবাহিনীর দুইজন শহীদ হন। ৪ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী মিলে আখাউড়ায় আক্রমন শুরু করে। ওই দিন আজমপুরে শহীদ হন লেফটেন্যান্ট ইবনে ফজল বদিউজ্জামান। ৫ ডিসেম্বর দিন ও রাতের যুদ্ধে শত্রুমুক্ত হয় আখাউড়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশে আখাউড়া পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। বছরের পর বছর ধরে রেলওয়ে ষ্টেশনের অদুরে রেলওয়ে ভূমিতে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-চান্দুরা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্গন্ধের কারণে নাক চাপা দিয়ে পথচলতে হয় ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষকে। ভাগাড়ের ময়লার উৎকট দূর্গন্ধে শ্রেণী কক্ষে বসে থাকতে পারছে না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
এ দূর্বিষহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রায় দেড় মাস আগে আখাউড়া পৌরসভার মেয়রের নিকট চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। অবগত করেছেন ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসারকেও। কিন্তু প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় এ নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এদিকে দূর্গন্ধে ক্লাশে বসে থাকতে অসুবিধা হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ৩ দিন সব ক্লাশ শেষ না করেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরশহরের অন্তত ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন এবং আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রেন যাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। দৈনন্দিক বাজার সদায়সহ বিভিন্ন কাজে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ময়লার ভাগাড়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দূর্গন্ধে নাক চাপা দিয়ে যেতে হয়। মানুষের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠে। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে হরিজন কলোনীর পোষা শুকুর দিনভর ময়লা-আবর্জনায় বিচরণ করার কারণে উৎকট দূর্গন্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠে।
রেলওয়ে স্কুলের কয়েকজনের শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের সামনে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। ক্লাশে বসে থাকতে অসুবিধা হয়। অতিরিক্ত দূর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য হেড স্যারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি।
রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েল সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রশিদ বলেন, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ অসুস্থ বোধ করছে। আমরা পড়ালেখার জন্য নিরাপদ পরিবেশ চাই। মাহমুদুল হাসান সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুলের সামনে রাস্তার পাশে ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের কষ্ট চরম পর্যায়ে চলে গেছে।
সড়ক বাজারের এক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মাসুদ রানা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন। তিনি বলেন, ময়লার ভাগাড়ের সামনে আসলে নাকে চাপা দিয়ে চোখ করে রাখি তারপরও মনে হয় বন্ধ হয়ে আসে। এগুলো আমাদের পরিবেশ খারাপ করছে। দ্রুত এগুলো অপসারণ করার দাবি করেন তিনি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান পলাশ পেশাগত কাজে মাঝে মাঝে আখাউড়া আসেন। তিনি বলেন, দূর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা না ফেলে অন্যত্র ফেলা উচিত।
সুহেল খাদেম বলেন, এই দুর্বিষহ দুর্গন্ধের কারণে সুস্থ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। অন্তত ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ্যতার কথা চিন্তা করে এখান থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া দরকার। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জন্য পৌর মেয়রের কাছে অনুরোধ করছি।
আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে ছাত্রছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে বসে থাকতে পারে না। দূর্গন্ধে ক্লাশ করতে অসুবিধা হয়। ছাত্রছাত্রীরা ২/৩ টি ক্লাশের পর বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার আবেদন করে। এজন্য ৩ দিন স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসএসসি পরীক্ষার আগে পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসারকেও বিষয়টি অবগত করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ দেখছি না।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, এটি পৌরসভার দায়িত্ব। আমি পৌর মেয়রের সাথে এ ব্যপারে কথা বলেছি। তিনি আশ^স্ত করেছেন এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিবেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ময়লা ফেলার জন্য আমরা জায়গা খোঁজ করছি। জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই বর্জ্য ফেলা হবে। পৌরসভা থেকে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরকে সমালোচনা না করে জায়গা খুঁজে দিতে বলেন।