চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট প্র্যাকটিশনার/ পিডিয়াট্রিশিয়াদের নিয়ে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তকরণের হার বাড়ানো এবং টিপিটি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নেটওয়ার্কিং ওরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিজ্ঞ ২১জন ডাক্তারসহ ২৫ জন ওরিয়েন্টেশনে অংশ গ্রহণ করেন।
আজ ২৮ আগস্ট বুধবার সকাল ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিভিল সার্জন কার্যালয় সভাকক্ষে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের সহাযোগিতায় ও সিভিল সার্জন কার্যালয় এর আয়োজনে ওরিয়েন্টেশন সভায় সভাপতিত্বে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
ওরিয়েন্টেশনের সভায় উপস্থাপনায় ছিলেন সিভিল সার্জন সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার মোঃ মফিজুর রহমান ফিরোজ।
অতিথি ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সিনিয়র বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনল চন্দ্র প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি জেলা ব্যবস্হাপক, মিঠু রঞ্জনসরকার, প্রোগ্রাম অফিসার এনামুল হক চৌধুরী, পিপিএম এসিস্ট্যান্ট মো: হাফিজুর রহমান, এফও মো: আব্দুর রহীম।
সভায় যক্ষ্মা কী, প্রকারভেদ, কীভাবে ছড়ায়, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, রোগ শনাক্তকরণ ও করণীয়, তামাকের সঙ্গে যক্ষ্মার সম্পর্ক, যক্ষ্মারোগ সম্পর্কে সামাজিক ধারণা এবং যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা, আইপিটি চিকিৎসা, এমডিআর টিবি ওটিপিটি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া ব্র্যাকের কার্যক্রম ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা কোথায় পাওয়া যায়, নিয়মিত পুরো মেয়াদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ করা কেন জরুরি, ডটস কী ও এর গুরুত্ব এবং ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন চিকিৎসকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থী পায়ে হেঁটে প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনকে ‘আমাদের জননী’ বলে সম্বোধন করে বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান। তারা বেলা সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফরিদা নাজমীনের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে তারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৫০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ও সবচেয়ে প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যাপীঠ জেলার গর্ব। গত ১৫ বছর ধরে এটি ইতিহাসের স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই স্বর্ণযুগের সূচনা ও পরিচালনার কারিগর প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগে বিদ্যালয়ে নিয়ম-শৃঙ্খলার কোনো তোয়াক্কা করা হতো না। যোগদানে পর থেকে বিদ্যালয়ের সেই পরিবেশের পরিবর্তন এনেছেন ফরিদান নাজমীন। এই বিদ্যালয় নিয়ম শৃৃঙ্খলার বিষয়ে অন্য বিদ্যালয়ের কাছে আদর্শ। একজন মা যেমন তাঁর সর্বোচ্চটা দিয়ে নিজের সন্তানকে আগলে রাখেন তেমনি তিনিও একইভাবে শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়কে আগলে রেখেছেন। তাঁর ভূমিকায় অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রায় প্রতি বছর ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’ শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে’, ‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ’, ‘শিশু পুরস্কার’ এর মতো জাতীয়ভাবে আয়োজিত জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে মেধা ও গৌরব অর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা।
‘সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ২০১৪ সালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান গণিত ও কম্পিউটার, ২০১৬ সালে মোতাকাব্বির বিন মোতাহার বাংলাদেশ ও ইতিহাস বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে প্রধান শিক্ষকের বদলির আদেশ বাতিলের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বড় ম্যাডাম না থাকলে এই বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও শিক্ষার মান ধসে পড়বে। জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ে ম্যামের থাকা অত্যাবশ্যক।
প্রতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের পাসের হার শতভাগ ও সর্বাধিক সংখ্যক জিপিএ-৫ আসে এই বিদ্যালয় থেকে। তিনি না থাকলে এই অর্জনের ধারাবাহিকতা থাকবে না।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) দূর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ফরিদা নাজমীনকে হবিগঞ্জ সদরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বদলি করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, তাদের স্মারকলিপি পেয়েছি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আদালতে ফিরছেন। আজ মঙ্গলবার থেকে তাঁরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত ছাড়া বাকি আদালত গুলোতে যাবেন।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাধারণ সভা শেষে আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইনজীবী সমিতির ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সভায় বসেন আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে তাদের সভা।
দুপুরে সাধারণ সভা শেষে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা সাংবাদিকদের বলেন, “সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয় আমাদের যে অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর অনুরোধের প্রতি সবাই শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন এবং এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন সমগ্র বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের অভিভাবক। আমরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস স্থাপন করি। আমরা আগামীকাল (আজ) মঙ্গলবার আদালতে যোগদান করব। আমাদের বিষয়ে যা যা করার তাঁরা তা করবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বাদে সবগুলো আদালতে যাব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সবগুলো দাবির কোনো কোনোটা পূরণ হয়েছে এবং বাকিটা পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিষয়ে হয়তো দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সোমবার ব্যবস্থা নেয়া হলে আমরা কাল মঙ্গলবার থেকেই ওই আদালতে ফিরে যাব।
এর আগে গত রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্কিট হাউজে আইনজীবী নেতাদের সাথে আইনমন্ত্রীর অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আইনজীবীরা নেতারা আদালতে ফেরার করার কথা জানান।
বৈঠকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আল-আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান কানন, সাবেক সভাপতি শফিউল আলম লিটন, সাবেক সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বর্জনের বিষয়টি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। আইনজীবীরা আদালত বর্জন প্রত্যাহার করবেন। আইনজীবীরা কাল আদালতে যাবেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। রবিবার মাননীয় আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মধ্যস্থতায় বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।
এদিকে জজ আদালতের নাজির মুমিনুলকে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আন্তঃজেলা বদলি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে “প্রশাসনিক কারণ” দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ মুমিনুল ইসলাম চৌধুরীকে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে বদলি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মুমিনুল ইসলামের বদলিকে অভিহিত করা হয় “মিউচ্যুয়াল ট্রান্সফার” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির মোঃ ছানাউল্যা তালুকদার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এদিকে মাসাধিককাল ধরে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের ফলে শত শত বিচারপ্রত্যাশী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন এর সহ-সভাপতি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি আল আমীন শাহীনের পিতা রফিকুল ইসলাম খন্দকার (জানু মিয়া)’র আজ ৭ মার্চ ৩৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
১৯৮৭ সালের ৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশিস্ট ব্যবসায়ী লাখীবাজারস্থ শাহীন ফার্মেসীর সত্ত্বাধিকারী সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামের সন্তান মরহুম রফিকুল ইসলাম খন্দকার জানু মিয়ার সৌদি আরবের রিয়াদে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর পৈরতলাস্থ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মরহুম রফিকুল ইসলাম জানু মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করার জন্য সকলের প্রতি জানান হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত (৩৫) বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ ১২ নভেম্বর রবিবার দুপুরে মরদেহটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বি-বাড়িয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির (ইনচার্জ) এসআই মো. হাতেম আলী ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা দিকে ক্ষুদ্র বি-বাড়িয়া নামক এলাকার রেললাইনে অজ্ঞাত ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছে। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, ওই ব্যক্তির লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করবে বলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আজহার উদ্দিন জানিয়েছেন।