অনলাইন ডেস্ক :
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে আরেকটি ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আজ ২৮ আগস্ট বুধবার নেপালের কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে নেপালের বিপক্ষে প্রথম জয়, গ্রুপপর্বে হারের প্রতিশোধ এবং প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা, এ যেন ‘এক ঢিলে তিন পাখি মারলো’ বাংলার যুবারা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে গোল পায়নি স্বাগতিক নেপাল। বিপরীতে দারুণ এক ফ্রি কিক থেকে গোল নিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় আরও দুই গোল করে। শেষ দিকে এসে স্বাগতিকরা এক গোল শোধ দিলেও হার এড়াতে পারেনি। এরপর বাংলাদেশ আরও এক গোল পায়। তাতেই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মিরাজুল ইসলামের জোড়ায় বাংলাদেশ ৪-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উৎসব করেছে। মিরাজুল দুটি ছাড়াও রাব্বি হোসেনের গোলে করেছেন অ্যাসিস্ট। এছাড়া চতুর্থ গোলটি এসেছে পিয়াস আহমেদ নোভার লক্ষ্যভেদে। এ নিয়ে সাফের বয়সভিত্তিক আসরে বাংলাদেশের দুটি শিরোপা এলো। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ আসরে সিলেটে ট্রফি জিতেছিল সাদউদ্দিনরা। আর বুধবার কাঠমান্ডুতে রচিত হলো নতুন ইতিহাস। এছাড়া কাঠমান্ডুর মাঠ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত।
১৯৯৯ সাফ ফুটবল (এস এ গেমস), ২০২২ সালে মেয়েদের সাফের শিরোপা এসেছিল। মাঝে নারীদের বয়সভিত্তিক আসরের শিরোপা ঘরে ওঠে।
স্পোর্টস ডেস্ক
আইপিএলের ফাইনাল ম্যাচ এমন হবে, সেটি কল্পনাও করতে পারেননি অনেক ক্রিকেটভক্ত। বলা যায়, একেবারেই একপেশে লড়াই। যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এই মৌসুমের লিগপর্বে রান তুলেছিল ২৬৬, ২৭৭ এমনকি ২৮৭ করে, সেই দলই ফাইনালে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১১৩ রানে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ৩ পেসার- আন্দ্রে রাসেল, মিচেল স্টার্ক ও হার্শিত রানার তোপে পুরো ইনিংসও খেলতে পারেনি হায়দরাবাদ। অলআউট হয়ে গেছে ৯ বল আগেই। লক্ষ্য ছোট হওয়ায় আইপিএলের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে কোনো বেগই পেতে হয়নি কলকাতাকে। মাত্র ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে হায়দরাবাদের দেওয়া লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে কলকাতা। দলীয় ১১ রানে ওপেনার সুনিল নারিন (২ বলে ৬) আউট হয়ে গেলেও রান তোলায় গতি কমাননি ভেঙ্কটেশ আয়ার ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৮ ওভারেই ৯৩ রান তোলেন তারা।
৩২ বলে ৩৯ রান করে আউট হয়ে যান গুরবাজ। তবে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ভেঙ্কটেশ। ফিফটি হাঁকান তিনি। ২৬ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ভেঙ্কটেশ। তার সঙ্গে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক শ্রেয়ার আয়ার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ে হায়দরাবাদ। দলীয় ৬ রানে ২ উইকেট, ২১ রানে ৩ উইকেট হারায় প্যাট কামিন্সের দল।
ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেক শর্মাকে (৫ বলে ২) বোল্ড করে দেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ট্রাভিস হেডকে (১ বলে ০) রানের খাতাই খুলতে দেননি বৈভব অরোরা। রাহুল ত্রিপাতি ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ১৩ বল খেললেও ৯ রান করে স্টার্কের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি।
এরপর ধৈর্য ধরে হায়দরাবাদকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এইডেন মার্করাম ও নিতিশ কুমার রেডি। ১০ বলে ১৩ রান নিতেই নিতিশের উইকেট নেন হার্ষিত রানা। ফলে ভেঙে যায় কষ্টার্জিত ২৬ রানের ছোট জু্টি।
মার্করামও টিকে থাকতে পারেননি। ২৩ বলে ২০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হন তিনি। ৬২ রানে ৫ উইকেট হায়দরাবাদের। কিছুই করতে পারেননি শাহাবাজ। ৭ বলে করেন ৮ রান।
যাকে নিয়ে কলকাতার শঙ্কা ছিল, সেই হেনরিখ ক্লাসেনও ছিলেন একেবারে অনুজ্জ্বল। শেষ দিকে অন্তত তাকে নিয়ে কিছুটা হলেও আশা করছিল হায়দরাবাদ। সেটিও হলো না। ১৭ বলে ১৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন।
শেষ দিকে একাই লড়াই করে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন (১৯ বলে) অধিনায়ক কামিন্স। রাসেলের বলে স্টার্কের হাতে ক্যাচ হন তিনি।
কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল নেন ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার করেন হার্শিত রানা ও মিচেল স্টার্ক।
অনলাইন ডেস্ক :
মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট মানেই ভারতের আধিপত্য। টুর্ণামেন্টের ৮ আসরের ৭টিতেই চ্যাম্পিয়ন তারা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে এশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতীয় নারী দলের ধারেকাছে কেউ ছিল না।
আজ ২৮ জুলাই রোববার ডাম্বুলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালেও ফেবারিট ছিল ভারতই। কিন্তু এবার হলো উল্টোটা। গ্যালারি ভর্তি লঙ্কান দর্শকদের উৎসবে মাতিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।
স্মৃতি মান্ধানার ৬০ রানের সৌজন্যে ভারতের ৬ উইকেটে করা ১৬৫ রান ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় শ্রীলঙ্কা নারী দল। চামিরা আতাপাত্তুর ৬১ রানের পর হারশিতা সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে লঙ্কানদের মেয়েদের হাতে উঠেছে প্রথম এশিয়া কাপের শিরোপা।
মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মানেই চামিরা আতাপাত্তু। এবারের এশিয়া কাপে তিনি একাই টানছিলেন লঙ্কান ব্যাটিং। মহাগুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচের রান তাড়ায়ও জ্বলে উঠেছে তাঁর ব্যাট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভিশমি গুনারত্নে রান আউট, দলের রান তখন মাত্র ৭। এরপর তিনে নামা হারশিতা সামারাবিক্রমার সঙ্গে ৬৩ বলে ৮৭ রান যোগ করেন আতাপাত্তু। ১২তম ওভারে দিপ্তি শর্মার নিচু হয়ে আসা বলে লেগের দিকে খেলতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৬১ রান। ১৪১ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
এবারের এশিয়া কাপে এটি আতাপাত্তুর দ্বিতীয় ফিফটি। একটি শতকও আছে এই বাঁহাতির। বিস্ফোরক ইনিংসের সৌজন্যে এশিয়া কাপে আতাপাত্তুর রান তিন শ (৩০৪) ছাড়িয়ে গেছে।
বাকি কাজটা করেছেন সামারাবিক্রমা। মাঝের ওভারে ধরে খেলেছেন, সুযোগ বুঝে খুঁজে নেন বাউন্ডারিও। কাভিশা দিলহারির সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন সামারাবিক্রমা। নিজে করেছেন ৫১ বলে অপরাজিত ৬৯ রান। ১৩৫ স্ট্রাইক রেটের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে কাভিশা অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩০ রানে, ১টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৮৭ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। দুজনের ব্যাটে চড়ে ৮ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ব্যাটিংয়ে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি বর্মা। দুজন মিলে পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান যোগ করেন। মান্ধানা ছিলেন আক্রমণাত্মক, শেফালি খেলেছেন ধরে। কাভিশা দিলহারির করা পাওয়ার প্লের পরের ওভারে থামে শেফালির ১৯ বলে ১৬ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটির করে দেওয়া সুবিধাটা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি ভারতের পরের দুই ব্যাটার উমা ছেত্রি (৯) ও হারমানপ্রিত কৌর (১১)। তবে মান্ধানার সঙ্গে ২৬ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। ইনিংসের ১৭তম ওভারে জেমিমাহ ১৬ বলে ২৯ করে রান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।
কাভিশার করা পরের ওভারে থেমে যায় মান্ধানার ইনিংসও। ৪৭ বলে ১০ চারে ৬০ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ১৩৩। সেখান থেকে দলের রান দেড় শর ওপারে নিতে সাহায্য করেন রিচা ঘোষ। তাঁর ১৪ বলে ৩০ রান আসে ৪টি চার ও ১ ছক্কায়। ৪ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া কাভিশা ছিল শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত নারী দল: ২০ ওভারে ১৬৫/৬
(মান্ধানা ৬০, রিচা ৩০, জেমিমা ২৯; কাভিশা ২/৩৬, সাচিনি ১/২০ প্রাবোধানি ১/২৭, আতাপাত্তু ১/২৮)।
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/২ (হার্শিতা ৬৯*, আতাপাত্তু ৬১, কাভিশা ৩০*; রেদিপ্তি ১/৩০)
ফল: শ্রীলঙ্কা নারী দল ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: হার্শিতা সামারাবিক্রমা।
টুর্নামেন্টসেরা: চামারি আতাপাত্তু।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুব ও ক্রীড় মন্ত্রনালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার সদর উপজেলার সিও অফিস পুকুরে (অনুর্ধ্ব-১৪) বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার।
এসময় প্রশিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশ, নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহিম সাগর প্রমুখ।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আলীয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬জন বালক ও বালিকা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা টি২০ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আম্পায়ারিং করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দোলা ইবনে শহীদ সৈকত। ২ জুন ওই ম্যাচে রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন তিনি।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন সৈকত। আইসিসির দুটি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আম্পায়ার্স প্যানেলে ছিলেন তিনি।
জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার এক বছরে এমার্জিং আম্পায়ার থেকে এলিট প্যানেলে নাম লেখান। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের পারফরম্যান্স শীর্ষে নিয়ে গেছে তাঁকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাইম ব্যাংক ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট বিভাগীয় পর্যায়ে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ ১২৭ রানে রাঙ্গামাটি গভ: হাই স্কুলকে পরাজিত করেছে।
১ম ব্যাট করে আইডিয়াল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে আশিকুর রহমান শিমুল ৭৪ ও আনাছ ৩৭ রান করে। বিরতির পরে ব্যাট করতে নেমে রাঙ্গামাটি ১০.২ ওভারে ৬২ রানে অলআউট হয়। বাঁমহাতি স্পিনার ইয়াছিন আরাফাত ৫টি উইকেট ও ডানহাতি লেগ স্পিনার অধিনায়ক তপু দত্ত ৩ টি উইকেট পায়।
আগামী ২ মে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ মুখোমুখি হবে কুমিল্লা হাই স্কুল এর বিপক্ষে।
১৭ সদস্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া দল তপু, তারেক, শিমুল, আরাফাত, আনাছ, নওশাদ, নাইফ, সাদাত, হাসিবুল, আদিল, আব্দুর রহমান, মিনার, সাব্বির, শোয়াইব, অনন্দ, রাজীব রায় গেইম টিচার ও সিনিয়র শিক্ষক আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, জেলা ক্রিকেট কোচ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও কার্যনির্বাহী সদস্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।