চলারপথে রিপোর্ট :
কসবার গ্যাস কসবায় চাই, শ্লোগানে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। আজ ২৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে কসবার তারাপুর গ্যাসকুপ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে পৌরশহরে ষ্টেশন রোডে এসে মানববন্ধন করেন।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সাথে এলাকাবাসী এবং গ্যাস ক্ষেত্র তৈরিতে অধিগ্রহনে ন্যায্য মুল্য না পাওয়া জমির মালিকরাও অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পক্ষে তানভীর ইসলাম শাহীন, ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে এই গ্যাসকুপটি খনন করা হয়। শতশত কোটি টাকা খরচ কুপটি খনন করা হলেও গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি আজও। এলাকার সাবেক সাংসদ আইনমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন এখানে গ্যাস উত্তোলন করা হলে কসবাবাসী আগে গ্যাস পাবে। তারপর জাতীয় গ্রীডে যাবে বাকি গ্যাস। এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তানভীর ইসলাম শাহীন বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার নেতৃবৃন্দের হাতে থাকা তথ্যমতে এবং বাপেক্স থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী তারাপুর গ্যাসকুপে সম্ভাবনাময় গ্যাস থাকা সত্ত্বেও অনিয়ম ও রহস্যজনক কারনে বন্ধ রাখা হয় বলে দাবি করেন। এখানে বিপুল পরিমানে গ্যাস মজুদ রয়েছে যা দেশের ঘাটতি পুরনে সহায়ক হবে। দ্রুত এটি উত্তোলনের দাবি তাদের।
এসময় তারা দাবি করেন, ভারতের সাথে আতাঁত করে এই সাত বছর ধরে গ্যাস উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ রাখে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এই গ্যাসকুপ খনন থেকে শুরু এই পর্যন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিকট তাদের দাবি এই গ্যাস কুপ খননে সকল অনিয়ম এবং উত্তোলন বন্ধ রাখার কারণ জনতার সামনে তুলে ধরে পুনরায় গ্যাসকুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করে কসবাবাসীর দাবি যেন পুরণ করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পক্ষে জসিম উদ্দিন বলেন, কুপ খনন কার্যক্রম শুরুতে তিনি সহ অন্যান্য কৃষকের নিকট গ্রহনকৃত জমির টাকার জন্য বাপেক্স’র সংশ্লিষ্টদের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুফল পাচ্ছেনা। তাদের দাবি হয় জমিগুলো অধিগ্রহন করে সকল টাকা বুঝিয়ে দেয়া হোক নয়তো কৃষকের জমি কৃষককে ফেরত দেয়া হোক।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে (৫১) শ্যুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের তাকে উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরীফুল উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হকের ছেলে। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানান, আগামী ০৬ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনসহ উপজেলা বিএনপির নেতা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দারোগাবাড়ী এলাকায় স্বপনের শরীর তল্লাশি করে একটি লোডেড শ্যুটার গান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এবং আগের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ০৬ মে কসবায় উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় গ্রেফতার হওয়া শরীফুল হক স্বপনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক জিয়া বিল আবারো হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গতকাল মঙ্গলবার সকালেই বিলটির ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনি এলাকার নেতা কবির আহমেদ ভূঁইয়া।
ঐতিহাসিক এই বিলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের কৃষি ও ঐতিহ্যের দীর্ঘ ইতিহাস। স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে মান্দারপুরে খাল খনন করেছিলেন। খালের পানি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজে ধান কেটে এই বিলের উদ্বোধন করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপ শুধু একটি খাল খননের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি কৃষকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার স্মরণে স্থানীয় জনগণ খালটির নামকরণ করেন ‘জিয়া খাল’ এবং বিলটির নাম হয় ‘জিয়া বিল’।
তবে কালের বিবর্তনে এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালটির একটি বড় অংশ ভরাট হয়ে যায়, যা সেচ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ঐতিহাসিক স্থানের পুনরুজ্জীবন এবং কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্যম জাগানোর জন্য ধান কাটার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
আজকের ধান কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মো. আইয়ুম খান এবং উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন, বাদৈর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোপীনাথপুর এলাকা থেকে ৫০ কেজি গাঁজা ১টি পিকআপ ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯, সিপিসি-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৫০.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. জাহাংগীর আলম (৩৮) আখাউড়া উপজেলার আখাউড়া মসজিদ পাড়া গ্রামের মৃত মো. সানা মিয়ার ছেলে। এ সময় তার সাথে থাকা ১টি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় হাজারো জনসাধারণের অংশগ্রহণে বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভূঁইয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপনের নির্দেশনায় এই বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৪ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক চৌমুহনী থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বায়েক ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়েক গ্যাস পাম্পের সামনে এসে প্রতিবাদী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশটি বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম ভূঁইয়া।
বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, মো. কামাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “আমরা অতীতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, কারাবরণ করেছি। আজ আমাদের ওপর ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।