চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়েছেন।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা এস.আই. সারোয়ার হোসেন জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ (গোগদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুজু মিয়া। সে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের সাহেদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী অজ্ঞাত একটি প্রাইভেটকার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ ব্রিজের উপর ওভারটেক করতে গিয়ে সজোরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা ৩ যাত্রী ছিটকে পরে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুজু মিয়া নামে একজন মারা যায়। দুর্ঘটনার পর পর প্রাইভেটকারটি পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জে কাভার্ড ভ্যান চাপায় ও সরাইল উপজেলায় বাস চাপায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৩ জন।
জানা যায়, সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। নিহতরা হলো জেলার সরাইল উপজেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের ফরিদা মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোঃ সোহেল মিয়া (২৭), একই গ্রামের নাজমুল মিয়ার ছেলে মোঃ জিলানী (৮), পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের আছকর মিয়া (৬০) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মির্জাপুর গ্রামের মোঃ রশিদ মিয়ার ছেলে উজ্জল (৩৫)। এ ঘটনায় আরো ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, নিহত জিলানীর ছোট বোন দেড় বছর বয়সী তাইরিন, বাবা নাজমুল মিয়া ও মা শাহানা বেগম। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, সোমবার দুপুরে একই মহাসড়কে জেলার সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকায় বাস চাপায় সিএনজি অটোরিক্সার যাত্রী আবু হানিফ (৬০) নিহত হয়েছে। তিনি আখাউড়া উপজেলার আব্দুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় আরো দুই যাত্রী আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকাগামী বাসটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটিকে চাপা দিলে অটোরিক্সার ৩ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, দুপুরে আশুগঞ্জে থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্স বিশ্বরোড আসার পথে মহাসড়কের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকামুখী একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ম-২৭-৮২৩৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ওই সিএনজি চালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন পুরুষসহ এক শিশু মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে আহত একজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায়। এছাড়া সরাইলেও সড়ক দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সব ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কৃষকদের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান চাল সংগ্রহের নিমিত্তে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ধান-চাল সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও কমিটির সভাপতি মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া। সভায় অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা আবেদনকারী কৃষকদের মাঝে অনলাইন লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. এমরানুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. নুর আলী, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গুদাম) ওসি এলএসডি মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি মো. তাসলিম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফসির, শাহজাদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. আছমা আক্তার, কালিকচ্ছ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সায়েদ মিয়াও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভা সূত্রে জানা যায়, অনলাইনে নিবন্ধিত কৃষকের মধ্যে ২৩ শত ৯ জন কৃষক ধান বিক্রির জন্য আবেদন করে। আবেদনকৃত কৃষকদের মধ্যে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৪৮০ জন কৃষক নির্বাচিত হয়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান- চাল সংগ্রহ চলবে। সরাইল উপজেলা চলতি মৌসুমে সরাইল উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৪’শ ৮২ মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে ৬ হাজার ৯’শ ৩২ মেট্রিক টন, আতব চাল ৪৪ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১’শ ৯ মেট্রিক টন ও ধান ৩২ টাকা দরে ১ হাজার ৪ শ’৪১ মেট্রিক টন ক্রয় করবে খাদ্য বিভাগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পূরন হলোনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নিজাম উদ্দিন সরকারের। গত সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশনের আউটার পয়েন্টে মর্মান্তিক এক ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। নিজাম উদ্দিন সরকার (৬৫) সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামে। ট্রেন দুর্ঘটনার সময় নিজাম উদ্দিন সরকারের সাথে তার পুত্রবধূ ফাতেমা বেগম (২৩) নাতনি তানহা বেগম (৪) এবং ১০ মাস বয়সী নাতি মুয়াস উদ্দিন ছিলো। তারা তিনজন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ জোহর বরইছাড়া ঈদগাহ মাঠে নিজাম উদ্দিন সরকারের নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
গ্রামবাসী ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওমরা হজ্ব করার ইচ্ছে পোষন করেছিলেন নিজাম উদ্দিন সরকার। ওমরার কাগজপত্র জমা দেয়া ও পুত্রবধূ ফাতেমাকে চিকিৎসা করানোর জন্য সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বেলা ১১টার সময় কালনী ট্রেনে করে তার ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু স্টেশনে যেতে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি মিস করেন তিনি। পরে দুপুর তিনটার সময় পুত্রবধূ ফাতেমা ও দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে তিনি এগারো সিন্ধুর ট্রেনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তিনি ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এদিকে রাতে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে সৌদি আরব থেকে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি এসে পৌছান বড় ছেলে কাঞ্চন সরকার। নিজাম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে আনিস সরকার সাংবাদিকদের জানান, তার বাবা ওমরা হজ্ব করার নিয়ত করেছিলেন। ওমরা করার জন্য কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য তিনি সোমবার সকাল ৯ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যায় শুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন। তিনি বলেন, বাবার আর ওমরা করা হলো না। মহান আল্লাহতায়ালা যেন বাবার ওমরা কবুল করেন।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছেন। আজ ১৭ নভেম্বর রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শান্তিনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জমির আশী (৬০) সদর উপজেরার মজলিশপুর ইউপির জাফরগঞ্জ গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছেন।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মো. মারগুব তৌহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকালে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শান্তিনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিলেটগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিসৎক জমির আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হার্ট অ্যাটাকে সরাইল সার্কেল অফিসে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল (ড্রাইভার) মো. জাহেদুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ আগস্ট সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
জাহেদুল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পূর্ববড়িয়া গ্রামের আলী আহমেদের ছেলে। ৬ বছর আগে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তার সাড়ে চার বছর ও আড়াই বছরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন জাহেদুল আলম। এরপর তাকে দ্রুত ঘাটুরা মেডিকেলে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে বিকেলে জাহেদুলের মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পাঠানো হয়েছে।