চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর থানার কম্পাউন্ডে ছাত্রলীগরে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগের ৪জন আহত হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পৌর ছাত্রলীগরে যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি ও সাইফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী ও নবীনগর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগরে সভাপতি প্রাথী রোম্মান মিয়া ও ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন।
স্থানীয় সূত্র, দলীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে জরার্জীণ অবকাঠামো দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল নবীনগর থানায় যান। সেসময় ছাত্রলীগের কর্মী আল আমিনও থানায় যান। উপজেলা ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমনিকে থানা চত্বর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে চান। পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বের হবার আগেই উপজলো ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ও তার লোকজন থানা চত্বরে ভেতরে ছাত্রলীগের কর্মী ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগরে সভাপতি প্রাথী রোম্মানকে এলোপাথারি মারধর করেন। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে পৌর ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি ও সাইফুল ইসলাম এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করনে তারা।
পৌর ছাত্রলীগরে যুগ্ম আহবায়ক হিমেল পিয়াস রনি বলেন, উপজলো ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাঈদ ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিনকে ধাক্কা দিয়ে থানা থেকে বের করে দিতে চান। এনিয়ে ছাত্রলীগরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চারজন আহত হয়েছে।
নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগরে আহবায়ক আবু সাইদ বলনে, শুক্রবার ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন আমাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। সকালে থানার ভেতরে তাকে দেখতে পেয়ে গেইটের বাহিরে আসতে বলি। থানার ফটকের বাইরে আসার পরই উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
অতরিক্তি পুলশি সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলনে, জরার্জীণ অবকাঠামো দেখতে সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য থানায় এসছেলিনে। তিনি বের হয়ে যাবার সময় থানা চত্বরের ভেতরেই উপজেলা ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মোসলেম সরকার (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মোসলেম সরকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ধনাশী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নাফ সরকার এর ছেলে।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে ধনাশী এলাকায় নবীনগর টু রাধিকা সড়ক পারাপার হওয়ার সময় পিছন দিক থেকে আসা একটি সিএনজি মোসলেম সরকারকে ধাক্কা দিলে সে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
নবীনগর থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে চলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ‘র জায়গা দখলের মহোৎসব! আর এইসব দখল মহোৎসবের আড়ালে কোটি টাকার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল।
সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে গিয়ে এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেয়া ‘তরী বাংলাদেশ’ এর একটি ফেইসবুক পোস্ট নজরে আসলে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ঘটনাটি নবীনগর উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের মালাইবাংগরা বাজার এলাকায়।
কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত বাংগরা বাজার। বাজারটির পশ্চিম পাশে সওজ’র সড়ক। সড়কের পশ্চিম পাশে প্রসস্ত খাল। যা যুক্ত হয়েছে অদের খালের সাথে। এই সড়কের পাশে দোকানপাট নির্মাণের নামে সরকারী জায়গা হরিলুট চলছে দীর্ঘদিন ধরেই!
জানা যায়, সওজ’র একশ্রেণীর অসাধূ কর্চারীর যোগসাজসে এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় সরকারী জমি দখলের এই মহোৎসবের পাশপাশি চলে আসছে বিশাল অংকের আর্থিক বাণিজ্যও। যার পরিমাণ কোটি কোটি টাকা। রাস্তা ও খালের পাশে দখলের মহোৎসবের ফলে একদিকে যেমন সংকুচিত হয়ে খালটির অবস্থা হচ্ছে বেহলা, অন্যদিকে সড়কও হচ্ছে সংকুচিত। এতেকরে এখানে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে প্রকট আকারে। যানজট লেগে থাকার কারণে যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
এ ব্যাপারে ‘তরী বাংলাদেশ’ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, কিছুদিন যাবৎ তরী’র কাছে বিভিন্ন সূত্র থেকে এমন সংবাদ আসছিলো যে, ‘নবীনগরের সাবেক এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের সময়ে বাংগরা বাজারের পাশে দুইশ’টির মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওই উচ্ছেদের বছর পাড় না হতেই আবারও সেই জায়গায় দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা তৈরী করছে দখলদারার।’এমন সংবাদের সত্যতা যাচাই করতেই গত ২১ এপ্রিল রবিবার নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’ এর একটি প্রতিনিধিদল দখলকৃত স্থানটি পরিদর্শন করে। আহবায়ক শামীম আহমেদ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটি সদস্য, খালেদা মুন্নী ও সোহেল রানা ভূঁইয়া প্রমূখ। তরী বাংলাদেশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পেয়ে গত ২৩ এপ্রিল তরী’র পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আবেদন করা হয়।
শামীম আহমেদ আরো বলেন, আমরা সরজমিন গিয়ে যা দেখলাম তা রীতিমতো বিস্মিত হওয়ার মতো! বাজারের উত্তর পাশে নেমে পায়ে হেটে বাজারের দক্ষিণ মাথায় অদের খালের উপর অবস্থিত ব্রিজটির কাছে যাই। সেখানে ব্রিজের নীচের অবস্থা দেখে আরও বিস্মত হই! পরে আমরা অদের খালটির রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে অবাক হই। এখানে একটি অবৈধ ব্রিজও দেখতে পাই যার ফলে নৌরুট বন্ধেরও অভিযোগ আছে! এ বিষয়টি নিয়েও আমরা কাজ করছি।
শামীম আহমেদ বলেন, এখানে যেভাবে দখলের হরিলুট চলছে তা দেখে মনে হবেনা দেশে আইন বলতে কিছু আছে! তিনি বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন কালে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে সরকারী জায়গায় গড়েতোলা এসব দোকানের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
নাম প্রকাশ না করা সর্তে বেশ কয়েকজন অবৈধ দখলদার জানান, প্রতিটি দোকনের পজিশন ফিরে পেতে মাথাপিছু এক থেকে দেড় লাখ টাকা গুনতে হচ্ছে তাদের!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারজুড়ে চলা এই দখলের প্রতিযোগিতায় যাত্রীছাউনি হয়েছে সেলুন! ব্রিজের ওপরে বসেছে চায়ের দোকান। অদের খালের পাশ নদী দখল করে বসানো হয়েছে মুরগীর দোকান! যার মালিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বাংগরা বাজার কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. রবিউল আলম রবি বলেন, সবাই নিজ নিজ দায়িত্বেই সড়কের পাশে দোকানঘর নির্মাণ করছে। এখানে কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন করা হয়নি। তিনি বলেন, তারা আগে থেকেই এখানে ব্যবসা করে আসছিল। সড়কের গাইডওয়াল নির্মাণকাজের প্রয়োজনে সাবেক এমপির অনুরোধে তারা দোকান সরিয়ে নিয়েছিল।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত আছি। উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পেলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান চালাব।’
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় তরী’র একটি পোস্ট আমার নজরে আসে। এ বিষয়ে জেলাপ্রশাসক স্যারের সাথেও কথা বলেছি। আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, অবৈধ দখলকৃত জায়গাগুলো সওজ’র। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যদি উচ্ছেদে সহযোগিতা চায় তাহলে আমরা সহযোগিতা করব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর প্রেসক্লাবের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ৩৯ তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপি আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্র ও শনিবার প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ও মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপি এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এমএ মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)আবু মুছা, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রধান আলোচক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবু কামাল খন্দকার।
প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রাসেল, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজু, পৌর বিএনপি সভাপতি ওবায়দুল হক লিটন, পৌর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম বাশার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি জহিরুল হক বুলবুল প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্বে শনিবার মহিলা কলেজ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠার ৩৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে নবীনগর প্রেসক্লাব পরিবারের মিলনমেলা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, স্মৃতি প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, শেষে স্মৃতিচারণ আলোচনা সভা ও ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিনী প্রিয়াঙ্কা সরকার, অফিসার ইনচার্জ আবদুর রাজ্জাক, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)শুক্লা রানী ভট্টাচার্য, প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য জাকির হোসেন রাসেল, এম কে কিবরিয়া রিপন, তৌহিদুল ইসলাম, জাকারিয়া সরকার তসলিম, মোঃ মলাই মিয়া, মোঃ আতাউর রহমান। সভাপতিত্ব করেন শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূইয়া মিনাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পূর্বাঞ্চলে নবীনগর টু রাধিকা সড়ক ও বিটঘর টু রসুলপুর মহেশ রোডে সিএনজি ভাড়া অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
জানা যায়, মহেশ রোড ও রাধিকা সড়ক পূর্বে বেহাল দশা ছিল, তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতো যাত্রীদের কাছ থেকে। বর্তমানে রাধিকা সড়ক ও মহেশ রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে, যার ফলে অল্প সময়ে জেলা সদরে ও নবীনগর সদরে যাতায়েত করা যায়।বর্তমানে এই নতুন সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অনিচ্ছুক যাত্রীরা। ভাড়া নিয়ে ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্কবিতর্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ড্রাইভার আর যাত্রীদের মধ্যে তর্ক বিতর্কই থেমে যায় না, হাতাহাতি— মারামারির ঘটনাও অনেক সময় হয়ে থাকে এই অতিরিক্ত ভাড়া কে কেন্দ্র করে। তাই অতিবিলম্ব এই রাধিকা সড়কে ও মহেশ রোডের যাতায়াতের জন্য বিটঘর, শিবপুর, ব্রাহ্মণহাতা, কুড়িঘর স্টেশনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করিয়া দিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
বিটঘর ইউনিয়নের গুড়িগ্রামের মোশারফ হোসেন বলেন, আমি বিটঘর পুকুরপাড় সিএনজি স্টেশন থেকে ৪৫ বা ৫০ মিনিটে নতুন রাধিকা সড়কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যায় কিন্তু ভাড়া দিতে হয়েছে সেই চারগাছ—তিললাখপীর সড়ক হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ঘন্টা সময় লাগার ১৩০ টাকা ভাড়া। ৪৫/৫০ মিনিটে আসা ভাড়া কিভাবে ১৩০ টাকা নিল, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মেনে নিতে পারছি না, তবুও ১৩০ টাকা ভাড়া দিলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা যাত্রী বলেন, আগে বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতাম,তখন রাস্তা খারাপ হওয়ায় ভাড়া নিয়েছে ১৩০ টাকা। এখন মহেশ রোড ও রাধিকা রোড এর রাস্তার কাজ হয়েছে। এখন বিটঘর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে সময় লাগে ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট কিন্তু ভাড়া কমানো হয়নি পূর্বের যে বাড়া নির্ধারন ছিল, সেই ভাড়া নিচ্ছে তারা। কখনো কখনো অতিরিক্ত টাকাও দিতে হচ্ছে তাদের। এই লাগামহীন ভাড়া আদায়ের, যেন দেখার কেউ নাই। এই রোডে সঠিক তদারকির অভাব বলে দাবি করছি আমরা। তাই এই রোডের সিএনজি ভাড়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর এবিষয়ে বলেন, এই অতিরিক্ত ভাড়া কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়, এখানের মত এত বেশি ভাড়া বাংলাদেশে কোথাও নাই আমার জানা মতে। এই রোড পরিচালনায় দায়িত্বরত সকলকে নিয়ে ও শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ কামাল হোসেন ভাইকে সাথে নিয়ে বসব, সকলের পরামর্শক্রমে অচিরেই নতুন করে ভাড়া নির্ধারণের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শুরু হয়েছে শিবপুর রাধিকা সড়কর নবীনগর অংশের কাজ দ্রুতই সমাপ্ত নবীনগর- রাধিকা সড়কের কনিকাড়া গ্রামের ভিতরের অংশের কাজ ও নবীনগর – সীতারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন- মোহাম্মদ এবাদুল করিম এম.পি। জাতীয় সংসদ সদস্যকে দেওয়া ঠিকাদারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ ২৪ জুন শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ি ঘর সরানো সহ গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে।
অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের টাকা পাওয়া সহ ঠিকাদারের কাজের সিডিউল অনুযায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে কাজটা সম্পন্ন করতে দেরী হয়ে যায়। নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য দফায় দফায় ঠিকাদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে মিটিং করে শিবপুর রাধিকা অংশের নবীনগর – সীতারামপুর ব্রিজ সংলগ্ন সড়কের উন্নয়ন কাজ চলমান ঈদের পরেই ব্রিজ দিয়ে গাড়ী চলাচল করতে পারবে। নবীনগর অংশের কনিকাড়ার সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে সমপূর্ন করার নির্দেশ দেন। জাতীয় সংসদ সদস্য স্বাস্থ্য, শিক্ষার পর যিনি উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন। শিবপুর রাধিকা অংশের কাজ এবং নবীনগর টু শিবপুর অংশের কাজ এক যুগে শুরু হওয়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ সর্বস্তরের জনগণ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়য়েছেন।
উক্ত পরিদর্শনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেব, জেলা পরিষদ সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, সাবেক ত্রাণ সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, কার্যকরী সদস্য মো. সাইফুর রহমান সোহেল, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামাপ্রশাদ চত্রবতী, মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবু কাওসার, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজসহ প্রেস ও ইলকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।