চলারপথে রিপোর্ট :
ভর্তুকি মূল্যে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিক্রয় শুরু হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি করে মশুর ডাল, ১০০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল দেয়া হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভায় ৪৯৫২ জন সহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
রোববার পৌর এলাকার সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট-আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পরে পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।
টিসিবির পণ্য নিয়ে কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পক্ষ থেকে এই ফুলের শুভেচ্ছা দেওয়া হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি আশরাফ স্বাস্থ্য, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান সমাজসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার চক্রবর্তী, শিক্ষা বিভাগের মণির হোসেন, নজরুল ইসলাম সড়ক জনপথ, আবু নাছের যুব উন্নয়ন, শামীম মাদকদ্রব্য নি:অধিদপ্তর লোমান শিক্ষা, দিদার হেলথ, শেখ মণির সমাজসেবা অধিদপ্তর, আসিফা সমাজসেবা অধিদপ্তর, মণির হোসেন স্বাস্থ্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী ও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী আব্দুল মতিন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত অফিস সহকারী হিরণ খান, আব্দুল্লা জনস্বাস্থ্য, ইয়াসির আরাফাত বরকত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জাকির হোসেন চৌধুরী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মো: ইসমাইল মিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, উত্তম কুমার দাস সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রমুখ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
সাধারণ মানুষ ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২.৩.৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি নাজির উদ্দিন আহাম্মেদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। সঞ্চালনায় ছিলেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, মানুষকে নিয়ে আগামীদিনে আমাদের ভোটের রাজনীতি করতে হবে। মানুষদের সাথে এমন কোন আচরণ করা যাবেনা বিএনপির ইমেজ নষ্ট হয়।
তিনি বলেন, আজকের ইফতার মাহফিলে সব নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়েছি বলছি আমরা যেন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খোকন মিয়া নামে দুই বছরের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ মার্চ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বড়ভাই পুলিশকে তথ্য দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে তার ছোটভাইকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর কিশোর জাহিদুল হত্যার দায়ও শিকার করেছেন তারা।
আজ ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোছাইন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জাগৎসার গ্রামের এলাছ মিয়ার চার ছেলের মধ্যে জাহিদুলসহ তিন ছেলে চট্টগ্রামে বেকারিতে কাজ করতেন। ১৭ রমজান ছুটিতে বাড়িতে আসে জাহিদুল। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাড়ি বের হয়ে আর ফেরেনি। পরদিন সকালে সুলতানপুরে একটি পুকুরে জাহিদুলের বীভৎস মরদেহ পাওয়া যায়। জাহিদুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ভূরি বের করে ফেলা হয়। দুই হাতের কব্জির রগ ও বিশেষঅঙ্গও কেটে ফেলা হয়। দুই কানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত কাটা পাওয়া যায়।
ইকবাল হোছাইন আরো জানান, ঘটনা তদন্তে নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোহাম্মদ হোসেনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার তথ্যে একই গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৪) ও সিয়াম (১৫) নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।
পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন, জাহিদুলের পরিবারের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল মোহাম্মদ হোসেনের। দীর্ঘদিন আগে একটি নারী নির্যাতন আইনের মামলায় মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাকে পুলিশ খুঁজছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে তাকে ধরতে জাহিদুলের বড় ভাই সানাউল পুলিশকে সহায়তা করেছিলেন। এ থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় কিশোর মো. সিয়ামকে দিয়ে কৌশলে সানাউলের ছোটভাই জাহিদুলকে ডেকে আনেন মোহাম্মদ হোসেন। তাকে সুলতানপুরের একটি পুকুরের পাড়ে নিয়ে মোহাম্মদ হোসেন ও তার বন্ধু নজরুল ইসলামসহ আরও দুজন মিলে কিশোর জাহিদুল ইসলামকে হত্যার পর পানিতে ফেলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) থেকে সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহনে এক শোক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে স্থাপিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন পুষ্পস্তক অর্পন করেন। পরে জাতির জনকের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদর্শন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর পর পর্যায়ক্রমে জেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পৌর সভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের প্রধানগন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌর শহরের সকল ওয়ার্ডে কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।