চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আতিকুল ইসলাম নামে এক বিএনপি কর্মী গুমের অভিযোগে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ১০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ মামলা হয়।
মামলাটি করেন ওই বিএনপি কর্মীর স্ত্রী নাছিমা ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আবু মুছা আনসারী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, চিনাইর গ্রামের হামদু মিয়া, শহরের কাজিপাড়ার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া ও জসিম মিয়া, আতাউর রহমান ভূঁইয়া শাহীন, নবীনগরের নান্দুরার আবুল কাশেম, জিলানী ও শহরের মেড্ডা এলাকার জাকির মিয়া।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১১ সালের শেষ দিকে কাজিপাড়ার সেলিম মিয়ার সঙ্গে আতিকুল ইসলামের জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে সেলিম সে সময়ের এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে আতিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আতিকুল ইসলামকে গুম করে প্রাণে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেন তারা। ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর দুটি মাইক্রোবাস যোগে আতিককে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। তুলে নেওয়ার সময় তারা বলেছিলেন- র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাহেব আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আপনাকে আমাদের সঙ্গে উনার বাড়ি যেতে হবে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তখন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে মোকতাদির চৌধুরীর হস্তক্ষেপে গ্রহণ করেনি। ১২ বছর যাবত আতিককে সন্ধান না পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত একমাসে ৩টি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
একসাথে তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রসূতি মা। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মা বেদেনা আক্তার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেশিয়া) ডা. খোকন দেবনাথ সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া নবজাতকেরা ও মা সুস্থ আছে।
প্রসূতি মরিয়ম আক্তার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার প্রীয়ম গ্রামের প্রবাসী নূর উদ্দিনের স্ত্রী।
গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল জানান, প্রথম দিকে স্থানীয় হাসপাতালে মরিয়ম চিকিৎসা নিতো। গত একমাস আগে প্রসূতি আমার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। তখন আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে তিনটি শিশু রয়েছে জানা যায়। পরে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার পর পেটে শিশুগুলোর নড়াচড়া কম ছিল ও পানি ভেঙে গিয়েছিল। তার শরীরে রক্তের পরিমাণও কম ছিল। তাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে দ্রুত তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে ২টি ফুটফুটে মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, শিশু তিনটি যথাক্রমে ছেলে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ও মেয়ে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ও ২ কেজি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। ভূমিষ্ঠ তিনটি শিশু ও মা ভালো আছেন। ওই দম্পতির ঘরে আগে আরো ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৩জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত (৩৩), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৪০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৫), সহ-সভাপতি মহসিন মোল্লা (৩০), সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান বাবু (৩০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা জুই (৩০), জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন (২৭), সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা (৩৫), সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মওলা ফারানী-(৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সভাপতি জুবায়ের আহমেদ খান (৩২), জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মিয়া (৪০), শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন (৩৫), শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারী রিমো (৩৫ ) ও জুম্মান সরকার (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া (৩০) ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে হানি ওরফে সেতু (৩৭)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরতলীর বিরাসার মোড় থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিছিলটি বিরাসার চৌরাস্তায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইট-পাটকেল, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। সে সময় তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর অতর্কিতভাবে ককটেল ও পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন সাধারণ জনতা ও ছাত্র আহত হয়। পরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেক মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদানসহ সম্পদের ক্ষতি সাধণ করায় বিস্ফোরক আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এক এসআই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৫৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান থেকে দিয়াশলাই আনতে গিয়ে ফাতেমা (৫) ও মঈন উদ্দিন (৩) নামে দুই ভাই-বোন নিখোঁজ হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ৭টার দিকে পৌর শহরের মধ্যপাড়া শান্তিবাগ এলাকার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ফাতেমা ও মঈন উদ্দিন ভাই-বোন। তাদের বাবার নাম কাউসার মিয়া।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউসার মিয়া স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় হাজী মোহাম্মদ আলী ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। কাউসারের স্ত্রী অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। সোমবার সকালে ফাতেমা ও মঈন উদ্দিনকে দিয়াশলাই আনার জন্য পার্শ্ববর্তী মুদি মালের দোকানে পাঠালে তারা নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, সকালে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ছেলে-মেয়েদের খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফরিন ফাতেমা জুঁই (ফুটবল প্রতীক)।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান ও এ বিধি মেনে চলার বিষয়ে মুচলেকা দেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য আফরিন জুঁইকে দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আপনি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও এবং স্থিরচিত্র ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন, যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৮ (৫) এর পরিপন্থী। যার সুনির্দিষ্ট তথ্যচিত্র প্রমাণাদি রয়েছে।
এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩২ অনুযায়ি কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না ও বিধি ৩৩ অনুযায়ি কেন প্রার্থীতা বাতিলের সুপারিশ করা হবে না তা আগামী ৩০ মে (বুধবার) দুপুর ১২টার মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ওই প্রার্থী লিখিত জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়া এ ধরণের কাজ আর করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছেন। এ কারণে ওনাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শোকজের জবাব নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ফের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ১০ জুন শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে পৌর শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮ জুন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার বিক্ষোভ এবং কৃষকদলের আহ্বায়ক ভিপি শামীম ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির আহ্বায়ক শাহীনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলায় চালায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এ সময় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ফের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে দুই দিন ধরে শহরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা হামলা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৮ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার সকালে শাহীন, সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভীন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় গেলে সেখানে হামলা করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।