চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় দীর্ঘ ৭ বছর পর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার মান নিয়ে জনগণের পক্ষ থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ হওয়ায় আইনমন্ত্রীর নির্দেশে সেবার মানোন্নয়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুপ পালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজিব সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান সায়েদুর রহমান মানিক, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি উপজেলার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আধুনিক চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে বিনামূল্যে দুটি অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে। বন্ধ থাকা এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিন, রক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র চালুর ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভ্যন্তরে দোকান-পাট চালুসহ পাবলিক অ্যাম্বুলেন্স পার্কিং করে মাঠ দখল করে পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসে সভা করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুস্থ পরিবেশ ও সেবার মান বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী গত বৃহস্পতিবার জুয়েল মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী রুমি আক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে রাতেই জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জুয়েল উপজেলার চারুয়া গ্রামের নুর জামালের ছেলে।
জানা যায়, ওই কিশোরী উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের একটি গ্রামে পড়াশোনা করত। জুয়েল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ওই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বাস করেন। দুই মাস আগে এক দিন কিশোরী জুয়েলের ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করে জুয়েল। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। এর পর থেকে প্রতিদিনই ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করত জুয়েল। বিষয়টি একসময় জুয়েলের স্ত্রীকেও জানায় কিশোরী। পরে মাকে জানায় সে।
কসবা থানা পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, জুয়েলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বরখাস্তের প্রতিবাদে ও ২ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আজ ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করে। ব্ল্যাক আউটের কারণে জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাথে অভিন্ন সার্ভিস কোড ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী নিয়মিত করণের ২ দফা দাবিতে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
তবে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কোন দাবি পূরণ না করে বরং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ মকবুল হোসেন ও নবীনগরের ডিজিএম আসাদুজ্জামানসহ সারা দেশের প্রায় ২০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
বরখাস্তকৃত অন্য কর্মকর্তারা হলেন এজিএম রাজন কুমার দাস, ডিজিএম দিপক কুমার সিংহ, এজিএম মনির হোসেন, জুনিয়র জেনারেল ম্যানাজার মো. জাকির হোসেন, জিএম মো. হুমায়ুন কবির, ওয়ারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদ, ডিজিএম মো. রাহাত, এজিএম আবদুল হাকিম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, জেনারেল ম্যানাজার মুশফিকুল ইসলাম, জিএম জুলফিকার, জিএম মো. আবুল হাসান, ডিজিএম মো. বেলাল হোসেন, ডিজিএম জাহিদুল ইসলাম, ডিজিএম আবদুল জলিল, এজিএম ইয়াসির আরাফাত ও ডিজিএম সামিউল কবির। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ব্ল্যাকআউটসহ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় স্থানীয় গ্রাহকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান ফটকে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নাসিরনগর আঞ্চালিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানাজার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ বিতরণ করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিদ্যুতায়ন বোর্ড পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে যাবতীয় মালামাল ক্রয় করে দেয়। এগুলির বেশীর ভাগই নিম্নমানের হয়। এতে তারা বিপুল পরিমান দুর্নীতি করে থাকে। পল্লীবিদ্যুৎ ও বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও চাকুরী বৈষম্য দুর করতে এ আন্দোলন। আগেও বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেই আন্দোলন করেছি। তারপরও আমাদের ২০জন কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুৎ করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানজার মো. মুকবুল হোসেনকে চাকুরীচ্যুৎ করায় অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন কসবা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মোস্তাফিকুর রহমানকে। তিনি বলেন, চাকুরীচ্যুতদের চাকুরীতে বহাল এবং দাবি আদায়ের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কমপ্লিট শাট দিয়েছে। বেলা ১১টা থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ আমদানী ও বিতরণ কার্যাক্রম বন্ধ করে রেখেছে।
উল্লেখ্য, পল্লী বিদ্যুতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা দুইটি, নাসিরনগর, নবীনগর, আখাউড়া উপজেলার ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের মরহুম পীরে কামেল আবু ছাঈদ আছগর আহমাদ আল কাদেরী (রহ.) এর ৮৫ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হযরত মাওলানা পীরজাদা এবিএম গোলাম কিবরিয়া সাঈদী সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার বাদ ফজর মাহফিলের সভাপতি পীরজাদা এ বি এম গোলাম কিবরিয়া সাঈদী দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।
মাহফিলে দরবার শরীফের গদ্দিনেশিন মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরি, মাওলানা লুৎফর রহমান, আবুল কামাল আজাদ বাশার, পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম খাবীর সাঈদী, মাওলানা এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকীসহ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মো. শফিকুল ইসলাম (৪৮) নামে এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল ১ মে বুধবার সন্ধ্যায় মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে বালিয়াহুরা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শফিকুল ইসলাম কসবা উপজেলার বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য শিক্ষক ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সৈয়দ আলীর ছেলে।
বিদ্যালয়ের পাশে পরিবার নিয়ে মিজান মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে বালিয়াহুরা নামক স্থানে রেললাইন পারাপার হচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তখন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে রেলওয়ে থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিম খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। আরো দুজন আহত হয়েছেন।
আজ ২৪ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কালিয়ারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কালিয়ারায় অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান ১ জন। আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন জাহিদ হাসান (২৫) ও অপু মিয়া (১৭)। আহতরা হলেন সিএনজি চালক সাইফুল ইসলাম (৪০) ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দইখলা গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী তসলিমা বেগম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ওসি আশিষ কুমার সান্যাল জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।