চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ৫ জন বালু মহলের ইজারাদার ও শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় শতাধিক গুলির আওয়াজে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত চারজনকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
অন্য ১জনকে উপজেলার সলিমগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন কবির মিয়া (৪৫), সফিদ মিয়া (৪০), খলিল মিয়া (৪২), ফারুক মিয়া ও আলকাছ মিয়া (৩৬)। তারা সবাই উপজেলার ধরাভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও বালুমহল ইজারাদার সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে সম্প্রতি প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলনের ইজারা পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুন্সি এন্টারপ্রাইজ।
ইজারা পাওয়ার পর থেকে মেঘনা নদীর জাফরাবাদ ও নতুন চর বালু মহালের বালু উত্তোলন শুরু করে। তবে মেঘনা নদীর ওপর প্রান্ত অবস্থিত নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার কিছু লোক এই এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করতে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে বারবার দাবি করে আসছিলেন। ইজারাদার থেকে চাঁদার টাকা না পেয়ে গত দুদিন থেকে অবৈধভাবে ৬টি ড্রেজার দিয়ে চুরি করে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছিল দুর্বৃত্তরা। তখন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে শরণাপন্ন হন ইজারাদার কর্তৃপক্ষ।
তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রবিবার সন্ধ্যায় ২/৩টি স্পিডবোটযোগে এসে বালু মহালের ক্যাশ কাউন্টারে হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিকদের ওপর অতর্কিতভাবে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে ৫ জনকে গুরুতর আহত করে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা শুনেছি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক প্রাথমিক শিক্ষা, এই শ্লোগানে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার নবীনগরে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদেরকে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।উক্ত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এটিএম রেজাউল করিম সবুজের সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল চৌধুরী, সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুুম, মোঃ মনসুর আলী, মতিউর রহমান, নবীনগর মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ আবু কাওছার, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন প্রাথমিক স্কুলের সদ্য নিযয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। আপনারা জাতি গড়ার কারিগর, আপনাদের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে গয়ে উঠবে। আপনাদের মেধা এবং শ্রম দিযয়ে এই উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে আপনারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সকল নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ভাড়ায় চালিত নৌকাসহ নিখোঁজের দুই দিন পর হিল্লাল মিয়ার (৩৭) নামে এক মাঝির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার মেঘনার তীরবর্তী চরলাপাং গ্রামে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করেন তার স্বজনরা। নিহত হিল্লাল মিয়া উপজেলার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের ডোপাকান্দা গ্রামের মৃত নয়াব আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, তিতাস, বুড়ি ও মেঘনা নদীতে ছিল নৌকাচালক হিল্লাল মিয়ার বিচরণ।
গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে দুর্গারামপুর যাওয়ার পথে নৌকা থেকে নিখোঁজ হন হিল্লাল মিয়া। পরবর্তী সময়ে দুর্গারামপুর নৌকা ঘাটে হিল্লাল মাঝির নৌকাটি পাওয়া গেলেও মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা নবীনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তখন নবীনগর থানা পুলিশসহ এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজি করে নিখোঁজের কোনো সন্ধান পাননি।
তবে আজ ৮ অক্টোবর নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনা নদীতে হিল্লাল মাঝির ভাসমান লাশ উদ্ধার করে নিহতের স্বজনরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) হোমায়ন কবির বলেন, হিল্লাল মাঝির নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছিলাম, তবে মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রামবাংলায় গ্রীষ্মকালে যে বনফুলটি বেশি চোখে পড়ে, সেটি হল- বরুণ গাছের ফুল। গাছ ভরা অফুরন্ত প্রস্ফুটিত এ ফুল প্রকৃতিতে এক অনাবিল উচ্ছ্বাস এনে দেয়। বরুণকে নবীনগরের আঞ্চলিক ভাষায় বলে বন্না ফুল। গ্রামের শিশুরা বরুণ ফুল ও ফল খেলার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। এখন বরুণ ফুল ফোটার সময়, এ সময় গ্রামে গেলে নয়নাভিরাম বরুণ ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে বিমোহিত না হয়ে উপায় নাই। বরুণের বৈজ্ঞানিক নাম-Crateva religiosa. ইংরেজি-sacred garlic pear এবং temple plant . এটি Crateva গণের একটি ফুল। এদের অন্য নাম হল- বালাই লামক, অবিয়ুচ, বন্না, এবং বিদাসি। এটি জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং কতিপয় প্রজাতি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় গাছ। বাংলাদেশের মানুষ অতীতকালে ফল পাকাতে এই গাছের পাতা ব্যবহার করতেন। বর্তমানে ফল পাকাতে ক্ষতিকারক ক্যালসিয়াম কার্বাইডের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই গাছের কদর এখন নেই। বর্ষায় বরুণের ফল ঝুলে থাকতে দেখা যায়, ফল দেখতে কদবেলের মত। গাছ মাঝারি ধরনের এবং প্রচুর ডালপালা যুক্ত। বাকল ছাই রঙের মধ্যে সাদা সাদা ফোঁটা যুক্ত। পাতা যৌগিক, তিনটি পত্রক একক বোঁটায় জন্মে। ফুল চৈত্র-বৈশাখ মাসে ফুটে। ফুলের পাপড়ি ঘিয়ে রঙের, পুংকেশর দেখতে অনেকটা বিড়ালের গোঁফের মতো। মাঘ ফাগুনে পাতা ঝরে যায়, পূর্ণ প্রস্ফুটিত বরুণ গাছ বড়ই দৃষ্টিনন্দন। হাজারো ফুলের মাঝে নিচু জলাভূমিতে বসন্তে স্নিগ্ধতা ছড়ায় বরুণ ফুল। বরুণ ভাটি এলাকায় বেশি জন্মায়, নবীনগরের যে গ্রাম গুলো পানিতে তলিয়ে যায় সে গ্রাম গুলিতে অনেকটা অনাদর অবহেলায় আজ ও টিকে আছে বরুণ গাছ।
বরুণের ভেষজ গুণ :- অর্শরোগীরা রোগে খুব কষ্ট পেলে তিলের তেলে মাখানো বরুণ পাতা জলে সিদ্ধ করে ওই জলে গোসল করলে অর্শ রোগের ব্যথা-বেদনা দূর হয়। এর পাতা চর্মরোগ, ব্যথা, বাত নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। শিকড়ের বাকলের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক রোগে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা ফল রান্না করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। শ্রীলঙ্কায় বাতের রোগে বরুণ পাতা ব্যবহৃত হয়। খাওয়ার আগে বরুণের মুকুল একটু লবণের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা বাড়ে। পিত্তপাথরের রোগে ১০ গ্রাম বরুণের বাকল কেটে ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে অর্ধেক অবস্থায় নামিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করতেও বরুণ বেশ উপকারী। এ ক্ষেত্রে বরুণ বাকল ছাগলের দুধে মিশিয়ে দৈনিক একবার করে মুখের কাল দাগে লাগালে দাগ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। যাদের শরীরের গাঁটে গাঁটে বাতের ব্যথা, এমনকি পায়ের তলাতেও ব্যথা ও ফোলা, তারা শুষ্ক বরুণ পাতা (৫-৭ গ্রাম) ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে আনুমানিক ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে পানিটা আধা গ্রাম শুষ্ক আদাচূর্ণের সঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে খেলে ব্যথা ও ফোলা দুটোই কমে যায়।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর উপজেলার শিবপুর রাধিকা সড়কের অধিগ্রহণকৃত ভূমির ১৯ জন মালিকদের মধ্যে ৬ কোটি ২২লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৫৮ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সাহারপুর গ্রামে এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম, কুমিল্লা সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুহেনা মোহাম্মদ তারেক। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ শিউলি আক্তার ও তার স্বামী কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ২৫ মে বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মো. নাজমুস্ সাদাৎ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মো. হাবিবুর রহমান উপজেলার চরলাপাংয়ের চিত্রী গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, মো. হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তার একে অপরের সহযোগিতায় এক কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাবিবুর রহমান ১৯৮৮ সালে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে স্টোরকিপার পদে ও ২০১৫ সালে স্টোর অফিসার পদে পদোন্নতি লাভ করে বর্তমানে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। হাবিবুর রহমানের নামে ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৬ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩২ লাখ ৮০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করার তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া তার আয়কর নথিতে প্রদর্শিত পারিবারিক ব্যয় ১৫ লাখ ৬ হাজার ৫০৮ টাকা। পারিবারিক ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭৪ টাকা। উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ২০১৭-১৮ কর বর্ষে আয়কর নথি খোলার সময় পূর্বের বছরগুলোতে চাকরির বেতন-ভাতা হতে সঞ্চয় এবং আয়কর নথি খোলার পরের বেতন-ভাতাসহ আয় পাওয়া যায় ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫০৮ টাকা। অনুসন্ধানকালে তার নামে অর্জিত সম্পদের চেয়ে আয়ের উৎস ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৬ টাকা কম পাওয়া যায়।
অপরদিকে তার স্ত্রী নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি আক্তারের আয়-ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ২০১৪-১৫ কর বর্ষ হতে ২০২১-২২ কর বর্ষ পর্যন্ত খাত ভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসাব বিবরণী দাখিল করে আসছেন। তিনি তার দুই ছেলের নিকট থেকে হেবা ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পদ ব্যতীত তার নামে এক কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৪৯ লাখ ৩২হাজার ৫১৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজের নামে এক কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। তার পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩৩ টাকা। পারিবারিক ব্যয়সহ তার সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪৭ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ২০১৪-১৫ কর বর্ষে আয়কর নথি খোলার পূর্বের বছরগুলোতে বিভিন্ন আয় এবং আয়কর নথি খোলার পরের ব্যবসা, বাড়িভাড়া ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রাপ্ত ভাতাসহ তার এক কোটি ১২ লাখ ১১ হাজার ৩৪৯ টাকার আয়ের উৎস পাওয়া যায়। তার নামে অর্জিত সম্পদের চেয়ে ৭৯ লাখ ২৫ হাজার ৯৮ টাকার আয়ের উৎস কম পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকালে মো. হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রীর এক কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।