চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে সাইমা মম নামের ৯ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাপটি কোবরা জাতের সাপ ছিলো বলে নিশ্চিত করেন পারিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
২ সেপ্টেম্বর সোমবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমা মারা যায়।
সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কান্দি-রেজতপুর গ্রামের নাসিরুদ্দিন স্বপনের মেয়ে।
সাইমার বড় ভাই ইমন শাহরিয়ার জানান, নিজ বসতঘরে সাইমা রাতের খাবার খেয়ে পানি খাওয়ার জন্য পাশের রুমে গেলে সেখানে থাকা একটি সাপ তার পায়ে কামড়ে দেয়। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করলে আমরা ছুটে আসি। সেখান থেকে সাপে কেটেছে বুঝতে পেরে তাকে নবীনগর উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে সাপের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় চিকিৎসকরা তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুমিল্লা নেওয়ার পর চিকিৎসারত অবস্থায় ভোর সাড়ে ৪টায় সাইমার মৃত্যু হয়।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাসমিত করিম বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে আসা হয়। আমাদের এখানে সাপে কামড়ের ভ্যাকসিন এন্টিভেনম না থাকায় এ সময় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর সদরে ১৯৬৮ সালে সাবরেজিস্ট্রি জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সময় হতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান করণিক মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাক মসজিদের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে মৃত্যুবরণের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে মসজিদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন বিধায় ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদের অরিজিনাল দলিলপত্রাদি সংরক্ষণে রাখেন।
মরহুম হাজী আব্দুর রাজ্জাকের তৃতীয় পুত্র নারায়ণপুর ডি.এস কামিল (এম.এ) মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক, সাংবাদিক এ. কে. এম. হাবিবুর রহমান হেলাল ১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ে সাব রেজিস্টার ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ তফাজ্জল হোসেনের নিকট ওই মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্নের অরিজিনাল দলিল পত্রাদি হস্তান্তর করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক মাহাবুব আলম লিটন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, কাওসার আলম ভূঁইয়া অপু, আবু হাসান আপন, দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জারু মিয়া ও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে নবীনগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থানা গেইটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মুফতি বেলায়েতুল্লাহ কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম নবীনগর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল কাঈয়্যুম ফারুকী, নবীনগর দাওয়াতুল হক পরিষদের সেক্রেটারী হাফেজ মাওলানা মাকবুল হোসাইন, মাওলানা ফোরকান উদ্দিন নবীপুরী, হাফেজ মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা মুমিনুল হক ভূইয়া, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা মোকতার হোসাইন আমিনী, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন ফরিদী, মাওলানা আব্দুর রউফ, হাফেজ সাদ-উল্লাহ, মুফতি আবু সুফিয়ান, মাওলানা মোফাজ্জল, হাফেজ রাকিবুল ইসলাম তাজ, মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মোঃ নিয়ামুল হুদা, মাওলানা কাউছার, হাফেজ কামরুল ইসলাম, মাওলানা রবিউল্লাহ, মাওলানা খালিদ সায়ফুল্লাহ প্রমুখ।
বক্তারা আল্লামা মামুনুল হক সহ মাজলুম কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির দাবি সহ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে পথচারী হাফেজ রেজাউল করিমকে নির্মমভাবে পিঠিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান, অভিলম্বে অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রতিবাদের সুরে মাদক থাকবে দূরে, এখনই সময় শপথ নেওয়ার, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নবীনগরে মাদকমুক্ত নবীনগর চাই সংগঠনের নাটঘর উচ্চ বিদ্যালয় শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৩ মার্চ সোমবার বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ-র সভাপতিত্বে ও মাদক মুক্ত নবীনগর চাই নাটঘর ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক রুবেলের সঞ্চালণায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-মাদকমুক্ত নবীনগর চাই কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু কাউছার, অত্র বিদ্যালয়ের হেড মাওঃ দেলোয়ার হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদক মুক্ত নবীনগর চাই নাটঘর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল ইসলাম।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন,জরু মিয়া সর্দার, হাজী জমির আলী সর্দার, ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. হুমায়ুন কবির, অত্র বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাবু কেশবচন্দ্র আচার্য্য, সিনিয়র শিক্ষিকা সাজেদা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা শেষে ঐশী রানী আচার্য্যকে সভাপতি ও পারভেজ আহমেদ কে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
আগামী এক মাসের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরামর্শে ক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪টি ড্রেজার জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৯ অক্টোবর সোমবার বিকেলে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও বাজারের পাশ থেকে বালু উত্তোলনের সময় ড্রেজারগুলো জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।
তিনি জানান, নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও বাজারের পাশে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে একটি চক্র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছিল। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ড্রেজারে থাকা সবাই পালিয়ে যায়। তথ্যের সত্যতা পাওয়ায় ৪টি ড্রেজার জব্দ করে নবীনগর সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এগুলোর কোনো মালিক বা তাদের কোনো প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, এর আগেও নবীনগরের এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে ৫টি ড্রেজার জব্দ করেছিলেন। পরে তারা মুচলেকা দিয়ে ড্রেজারগুলো নিয়ে যায়। আজ জব্দ করা ড্রেজারগুলোর মধ্যে আগে মুচলেকা দেওয়া ড্রেজারও রয়েছে। যেহেতু তারা মুচলেকা দেওয়ার পরও আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে, এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ঘুস না দেওয়ায় আদালতে মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলমের প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৩ আগস্ট বুধবার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের কালঘরা বাজারে লহরি-কালঘরা সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, জেলে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এসআই বাছির আলম ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি করেন। এনিয়ে আসামিপক্ষের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যানের সামনে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। পরে আরও টাকা দাবি করলে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় আদালতে তদন্ত বিহীন প্রতিবেদন দাখিল করে।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা হবি মিয়া, রুবেল মিয়া, খলিল মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম খান, ফয়সাল চৌধুরী,শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির জানান, আমার সামনে কোনো ধরনের ঘুষ লেনদেন হয়নি।
বিষয়টি অস্বীকার করে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম বলেন, অভিযোগ নেওয়ার দায়িত্ব ওসি সাহেবের। আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
গত ৩০ জুলাই কালঘড়া হাফিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক সুমন আহমেদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে স্থানীয় ফয়সাল চৌধুরীসহ তিন শতাধিক অভিভাবক-শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে ফয়সাল চৌধুরীসহ কয়েকজন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে শিক্ষক সুমনের প্রত্যাহারের দাবিতে লিখিত অভিযোগ করতে যান। সেখানে শিক্ষক সুমন আহমেদ অভিযোগ দিতে যাওয়া ফয়সাল চৌধুরীসহ সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। এর জের ধরে ফয়সাল চৌধুরী ও শিক্ষক সুমন আহমেদ নবীনগর থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। অভিযোগগুলোর তদন্তের দায়িত্ব পান নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছির আলম। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) বাছির আলম কোনো ধরনের তদন্ত না করে ২০ আগস্ট সুমন আহমেদের অভিযোগটির প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করেন। কিন্তু তিনি ফয়সাল চৌধুরীর অভিযোগটির কোনো তদন্তই করেননি। তাই পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ফয়সাল চৌধুরী। এতে সুষ্ঠু তদন্ত করে এস আই বাছির আলমকে প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।