অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি পূর্ণশক্তির ছিল না। যেকোনো দিক বিচারেই এই সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য বেশি। সঙ্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে আছে ১০ উইকেটের জয়।
প্রস্তুত ছিল ইতিহাসের পট। যা বৃষ্টিতে ধুঁয়ে যেতে পারত। কিন্তু আবহাওয়া পূর্বাভাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে রাওয়ালপিন্ডির আকাশ। গল্পের শেষটা বাংলাদেশও টেনেছে তুলি দিয়ে। চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং চ্যালেঞ্জ উতরে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ‘বাংলাধোলাই’ করে ইতিহাস গড়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিলেন বাসিত আলি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বলেছিলেন,‘শুধু বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে। এছাড়া দুই দলের কোনো তুলনা চলে না। হোম কন্ডিশনের পুরো সুবিধা পাবে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে তাদের মাঠেই টেস্টে হারিয়েছে পাকিস্তান।’
তবে প্রথম টেস্ট শেষে ভিন্ন চিত্র দেখা দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আজ ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে সিরিজও জিতেছে।
অথচ, পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বাসিত বাংলাদেশের জন্য যারে আর্শীবাদ বলে জানিয়েছিলেন সেই বৃষ্টিও তার উত্তরসূরীদের বাঁচাতে পারল না। গতকাল অবশ্য নিজেই সুর পাল্টিয়েছেন বাসিত। তিনি জানান, ধবলধোলাই প্রাপ্য পাকিস্তানের।
বেরসিক বৃষ্টি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পুরো চার সেশন নষ্ট করে দিলেও ধবলধোলাইয়ের মুখ থেকে রক্ষা পায়নি পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথম কোনো দল হিসেবে তাদের মাঠে এমন তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিতে শেষ সেশন নষ্ট হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ অবশ্য গত দিনের সুরটা দীর্ঘ করতে পারেননি তারা। দলীয় খাতায় ১৬ রান যোগ করার পরেই ফিরতে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে মীর হামজার গুড লেন্থের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।
সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পাওয়ার পর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২৪ রান করে খুররম শেহজাদের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দ্বিতীয় সেশন শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। দারুণ শুরু করা মমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।
জয়ের বাকি কাজটুকু পরে সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।
ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেই যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে থেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন লিটন দাস। অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা লিটনের অবদান শুধু বললে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কথাও বলতে হবে। ৭ম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি না গড়লে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পাওয়াটা হয়তো হতো না। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭ম উইকেট জুটিতে যা বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।
মিরাজ-লিটনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করে। প্রথমবারের মতো টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করার পথে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বাকি ৫ উইকেটের ৪ টি নাহিদ রানা এবং অন্যটি তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন সাদমান ও মুশফিকুর রহিম।
স্পোর্টস ডেস্ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন, আফিফ ও শান্ত।
লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৯ রান।
হৃদয় আউট হওয়ার পর শামিম পাটোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৭ রান করেন শামিম।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২.৪ ওভারে ১৬ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
রাত সোয়া ৮টায় বৃষ্টি থেমে গেলে ফের খেলা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
নবি দুই দফা নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। প্রথমবার নবির ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার ফেলেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।
নবি আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান দ্রুত কিছু রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন। ১০ম ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও তাকে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৫ রান আদায় করে নেন ইব্রাহিম।
১১তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। ৫ রানে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৫ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান মোস্তাফিজ। আর ১৫ বলে ২০ রান করা করিম জানাতকে আউট করেন তাসকিন। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১১৬ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব-মোস্তাফিজ।
অনলাইন ডেস্ক :
শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৩ রানে ৩ উইকেট। জয় পেতে তখনও ৫৪ বলে ৫২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। এমন উইকেটে খুব একটা সহজ নয় এই কাজ। কেননা, খানিক আগেই শেষ ৩৬ বলে মোটে ২৪ রান তুলতে পেরেছিল লংকানরা। তাই শঙ্কা ছিলই। তবে সেই শঙ্কা দূর করার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিলেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১২তম ওভারে লংকান অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্কাকে টানা তিনটি ছক্কা হাঁকালেন পরপর। চতুর্থ বলেই একই কাজ করতে গিয়ে বল মিস করলেন হৃদয়। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরতে হলো তাকে। তবে ফেরার আগে ঠিকই ২০ বলে ৪০ রান করে দিয়ে গেছেন এমন উইকেটে। তাতেই জয়ের সুবাস পেয়ে যায় বাংলাদেশ।লিটন ও সাকিব দ্রুত ফিরলে খানিকটা শঙ্কাও জাগে হারের।
তবে সেই শঙ্কা আরও ঝেঁকে বসে মাহমুদউল্লাহকে রেখে পরপর রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে। মনে হচ্ছিল মাহমুদউল্লাহ সুযোগ পাবেন তো শেষ পর্যন্ত। অবশেষে সুযোগটা পান তিনি। দাসুন শানাকার ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকান ছক্কা। দূর হয় সব শঙ্কা। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৬ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে। তাতে জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় নাজমুল শান্তর দলের।
এদিন বাংলাদেশের জয়ের রাস্তাটা প্রশস্ত করে দিয়ে গিয়েছিল বোলাররাই। ১৪ ওভারে দলীয় শত রান করা লংকানদের শেষ ৬ ওভারে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২৪ রানে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৫ রানের। টি টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটেই যা অতি মামুলি। তবে সেই টার্গেটটাই কঠিন করে তুলেছিল বাংলাদেশে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লের আগেই ২৮ রানে খুইয়ে ফেলেছিল ৩ উইকেট। তাতে খানিকটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল হারের। তবে সেই শঙ্কা দায়িত্ব নিয়েই দূর করে গেছেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে জমা করেছেন ৬৩ রান।
এরপর অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে হাসারাঙ্গার বলে ২০ বলে ৪০ রান করে ফিরতে হয় হৃদয়কে। এরপর লিটন ফিরে যান ৩৮ বলে ৩৬ রান করে। খানকি পর ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিবও। তাতেই শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশের জয়। এরপর তুষারার পরপর দুই বলে রিশাদ ও তাসকিন ফিরলে সেই শঙ্কা আরও বাড়ে। তবে দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। খেলেছেন ১৩ বলে ১৬ রানের হার না মানা এক ইনিংস।
এর আগে, টসে জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন দলটির ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট পড়ছিল। এরপরও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে ফেলেছিল শ্রীলংকা। ১৪ ওভারেই ছুঁয়েছিল দলীয় শত রান।
তবে নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৪৭ রান করে ফিরলে বাকিরা হাঁটতে পারেনি তার দেখানো পথে। মাঝে উইকেটে ধনঞ্জয়া ও আসালাঙ্কা জমে উঠার চেষ্টা চালিয়েছেন মাত্র। তাতে অবশ্য খানিকটা ভয় ঝেঁকে বসেছিল বাংলাদেশের। তবে সেই ভয় দূর করেছেন রিশাদ। ১৬তম ওভারে এসে পরপর ফিরিয়েছেন আসালাঙ্কা ও হাসারাঙ্কাকে। তাতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্নটা শেষ শ্রীলংকার। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লংকানদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও রিশাদ। মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় তুলেছেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে ২২ রান খরচায় রিশাদের শিকার ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামে- বুড্ডা মৃধা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মিনি ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ আজ ৭ জুলাই রবিবার বিকেলে বুড্ডা মৃধাবাড়ি সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, এ এম টিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সময়ের মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনসুর আহমেদ।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আমজাদ মৃধা, মো: অলি আহাদ মৃধা মেম্বার, মো: সোহাগ মেম্বার, মো: মোহাম্মদ আলী, ব্যবসায়ী মো: বকুল মেম্বার, মো: আহাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: সাদেক মিয়া, মো: বিল্লাল মিয়া, মো: সাইকুল মিয়া, মো: আরমান মিয়া, মন্নাফ মৃধা প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, আনিছ মৃধা, ফরিদুল ইসলাম মৃধা, বিছু মিয়া, অলি মৃধা, আলী আজ্জম মৃধা, জাহার মৃধা, রুফন মৃধা, খালেক মৃধা, হামিদ মৃধা, শামিম মিয়া, স্বপন মৃধা, জাহার আলী মিয়া, লাল মিয়া, আলী রহমান, দ্বীন ইসলাম মৃধা, আল আমিন উল্লাহ প্রমুখ। পরিচালনায় ছিলেন জীবন মৃধা, রিপন মৃধা, জুম্মান মৃধা, রঙিণ চন্দ্র দাস, কানু চন্দ্র দাস, শহিদ মিয়া, আবু উল্লাহ, হারুনুর রশিদ মাষ্টার,তারা মিয়া, শিল্প চন্দ্র দাস, স্বপন চন্দ্র দাস, নান্টু চন্দ্র দাস, নারু চন্দ্র দাস, নুরু মিয়া প্রমুখ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো: হানিফ মিয়া।
ফুটবল খেলায় বুড্ডা একাদশ বনাম শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব অংশগ্রহন করে। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে শাহবাজপুর টাইগার বয়েস ক্লাব জয়লাভ করেন। খেলা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে বিজয়ী দল ও অন্যান্য খেলোয়ারদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের যুবসমাজকে সুস্থ রাখতে হলে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যারা সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজে আছি, আমাদের উচিৎ খেলাধুলায় পৃষ্ঠপোষকতা করা। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি অত্র এলাকায় শিক্ষা ও খেলাধুলার প্রসারে তাঁর সকল প্রকার সহযোগিতার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা আমাদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়। যুবসমাজকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলার পরিমাণ বাড়াতে হবে। বৃষ্টিস্নাত বিকেলে হাজার হাজার দর্শক এই ফুটবল খেলাটি উপভোগ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে ফেলেছে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সৌদি প্রো লিগ কর্তৃপক্ষ তাকে রেকর্ড ৪০০ মিলিয়ন ডলার বেতন দেবে।
সংবাদ মাধ্যম এএফপি এমনটিই জানিয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, দুই পক্ষ চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। আগামী মৌসুমে লিও সৌদি লিগে খেলবেন।
আগামী জুনে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে মেসির। বেতন বাড়ালে মেসি প্যারিসের দলটির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুই পক্ষ ওই বিষয়ে সমঝোতায় আসতে পারেনি বলে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল।
মৌসুমে শেষে ফ্রি এজেন্টে কাতার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি ক্যাম্প ন্যুতে ফিরবেন বলে গুঞ্জন ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ারও গুঞ্জন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সৌদি প্রো লিগেই মেসি খেলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এএফপির দেওয়া তথ্য শেষ পর্যন্ত সঠিক হলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসির মধ্যে আবার লড়াই জমবে। গত জানুয়ারির দলবদলের মৌসুমে পর্তুগিজ তারকা রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু ভালো-খারাপ সময় পার করেছেন তিনি। মেসি আসলে আবার তিতি তেঁতে উঠতে পারেন।
স্পোটর্স ডেস্ক
প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর বসেছে। ২ জুন প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আইসিসির দুই সহযোগী সদস্য স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। ডালাসে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের ব্যাপক শাসন করে কানাডা স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে অ্যারন জোন্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৪ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ ২ জুন রবিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ৩০ মিনিটে দুই প্রতিবেশী দল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন শুরু করেন কানাডার দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ডালিওয়াল। এইি উদ্বোধনী জুটি করে ৪৩ রান। দলীয় ৪৩ রানের মাথায় অ্যারন জনসনের বিদায়ে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার।
এরপর দলীয় ৬৬ রানে পারগাত সিংয়ের বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৭ বলে ৫ রান করেন এই ব্যাটার। এরপর নবনীতকে নিয়ে দারুন জুটি গড়েন নিকোলাস কির্তন। দলীয় ১২৮ রানের মাথায় নবনীতের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। ৪৪ বলে ৬১ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর নিকোলাসের ব্যাটে ভর করে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করায় কানাডা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ওপেনার স্টিভেন টেলরকে হারায় যুক্তরাষ্ট্র। বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ১৬ বলে সমানসংখ্যক রান করেন তিনি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। অ্যারন জোন্স ও অ্যান্ড্রেস গুসের ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। জোন্সই বেশি মারমুখী ছিলেন। মাত্র ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটির দেখা পান গুসও। মাত্র ৫৮ বলে ১৩১ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৬ বলে সাতটি চার ও তিন ছক্কায় ৬৫ রান করেন গুস। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন জোন্স। তিনি অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৪০ বলে চারটি চার ও ১০ ছক্কায় ৯৪ রান করে। আর এতে ১৪ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল স্বাগতিকরা।