চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, গুজব, মাদক, মানব পাচার, অপপ্রচার, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কসবা উপজেলা বিআরডিবি সম্মেলন কক্ষে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপপরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: শরীফুর রহমান ও কসবা উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: রাসেল। নৈতিকতার উপর জোর দিয়ে বক্তরা বলেন, সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে হবে। দেশ গঠনে ছাত্র ও যুব সমাজের অংশগ্রহণ করতে হবে। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার নির্মূল করে একটি স্বচ্ছ সমাজ গড়তে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে তাহলেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে। বক্তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ব্যতিত এদেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নে নারী পুরুষকে সমান অবদান রাখতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় উঠানে ধান শুকানোকে কেন্দ্র করে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে সুজন কবির (৩২) নিহত হয়েছে। আজ ১ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন ফকির (৩২) উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামের খোকন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, সকালে জাজিয়া গ্রামের নিহত সুজন ফকিরের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই শাওন ফকিরের বাড়ির উঠানে কে আগে ধান শুকাবে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে শাওন ঘরে থাকা ছুরি এনে সুজন ফকিরকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সুজন মারা যায়। ঘাতক শাওন ফকিরকে আটক করতে অভিযান চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের। এমরান উদ্দিন জুয়েল পৌরসভার তালতলা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। পট পরিবর্তনের পর জেলায় ও কসবা থানায় রুজুকৃত দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে তাকে।
জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর গ্রেফতার হয় অনেক মন্ত্রী, এমপি। গ্রেফতার আতংকে আত্মগোপনে চলে যায় সারা দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার হন কসবা-আখাউড়ার সাবেক সাংসদ ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সারাদেশের ন্যায় কসবা উপজেলার নেতা-কর্মীরাও আত্মগোপনে চলে। এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী পাড়ি দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অনেক দেশে। কেউ কেউ আবার আত্মগোপনে ছিলেন দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আত্মগোপনে থাকা তাদেরই একজন সাবেক মেয়র ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল। ডেভিল হান্টে কসবায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল সহ ১০ জন। এছাড়াও কসবা থানায় রুজুকৃত মামলায় দেশের অন্যন্য থানায় গ্রেফতার হয়েছে আরো ৬ জন। গত ৪ আগষ্ট কসবায় ছাত্র-জনতার সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলার অভিযোগে ১৭ নভেম্বর কুটি ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ইমু বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ২৩ নং আসামী। তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় হওয়া একটি মামলার আসামীও তিনি।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, বুধবার রাতে তাকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব-৪। তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা রয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তার তথ্য হাতে এসে পৌঁছেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া হওয়াটা জনগণের চাহিদা। এজন্যই জনগণের সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।’
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে জাহানারা হক পাবলিক লাইব্রেরির নবনির্মিত ভবন ও কসবা পৌর সভার বাস্তবায়িত ২০টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার মুক্তার, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম,জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর দখল থেকে নিজের সম্পত্তি ফিরে পেতে ও তাদের অত্যাচার থেকে পরিবার-পরিজনসহ রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কসবা পৌর এলাকার খাড়পাড়ার বাসিন্দা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া। আজ ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া জানান, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ইলিয়াছ ও তার তার ভাই মোঃ জাহাঙ্গীরের ভূমি দখলসহ নানা অত্যাচারে তিনি ও তার পরিবার এক ধরণের মানসিক পীড়া নিয়ে বসবাস করছেন। তাদের অত্যাচারের নিষ্পোষিত হয়ে বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার এলাকাছাড়া। সংবাদ সম্মেলনে সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর আইন-শৃংখলা বাহিনীর নমনীয়তার সুযোগে গত ৭ আগস্ট থেকে মোঃ ইলিয়াছ ও তার ভাই জাহাঙ্গীর তার জায়গা জবর দখল শুরু করে।
তিনি বলেন, কসবা পৌর শহরের খাড়পাড়ার ওই জায়গাটি তার স্বামী মোঃ সামছুল আলম পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। ২০১৮ সালে মোঃ সামছুল আলম মৃত্যুবরণ করলে তিনি ১ মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন। গত ৭ আগস্ট জায়গা দখল শুরু হলে তিনি সেখানে গেলে ইলিয়াছ ও জাহাঙ্গীরের বাহিনী আমার উপর চড়াও হয় এমনকি হত্যার হুমকি দেয়। এরপর থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তিনি বলেন, আমার দাদা শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলমের দুইজন স্ত্রী ছিলেন। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরা বেগমকে সাথে নিয়ে কর্মস্থল পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান ও পরে তারা করাচীতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানেই রওশন আরার পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। মেয়ে নাছরিন আলম, ছেলে মনজুরুল আলম, মাসুদ আলম ও মহসনি আলম জন্মসূত্রেই পাকিস্তানে বসবাস করতে থাকেন।
ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আলম মৃত্যুর আগেই সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্টন করে দেন। এরই আলোকে দ্বিতীয় স্ত্রী রওশন আরাসহ তার সন্তানদের পাকিস্তানে একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ সকল সম্পত্তি দিয়ে দেন ও পান। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী ও তার তিন সন্তান মনিরুল ইসলাম, আনোয়ারুল ইসলাম ও মোর্শেদ আলমকে বাংলাদেশের সকল সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন। এরই সূত্র ধরে আমার শশুর আনোয়ারুল ইসলামের হিস্যা হিসেবে আমার স্বামী সামশুল আলম কাউছার কিছু সম্পত্তি পান। আমার শশুরের স্ত্রী অর্থাৎ শাশুরি, পাঁচ মেয়েও অনুরূপভাবে সম্পত্তি পেয়েছেন। এরই সূত্র ধরে ২০১৪ মালের একটি দলিল মূলে আমি ও আমার সন্তানেরা ৩.৮০ একর জমির মালিক হই। কিন্তু পাকিস্তানের নাগরিক প্রয়াত মনজুরুল আলমের ওয়ারিশদের কাছ থেকে কিছু সম্পত্তির “পাওয়ার” নিয়ে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে নেন জাহাঙ্গীর।
তিনি জানান, মনজুরুল আলম বাংলাদেশি নাগরিক নয়, মর্মে আদালত সন্দেহ পোষণ করে। তার নাগরিকত্ব প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত মামলাটি স্থগিত রাখে। তবে সম্প্রতি জায়গা নিয়ে আদালতে অভিযোগ দেয়ার পর স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করেন আদালত। সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া আরো বলেন, ওই সময়ে পৌর মেয়রের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইলিয়াছ এক প্রত্যায়নপত্রে মনজুরুল আলমসহ তাদের পরিবার যে বাংলাদেশে থাকেন না সেটি নিশ্চিত করেন। পরে অবশ্য মনজুরুল আলম বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বানায়।
সংবাদ সম্মলেন উপস্থিত মোঃ হারুন মিয়া নামে কসবার এক ব্যক্তি জানান, সাঈদা সুলতানার কাছ থেকে তিনি কিছু জায়গা কিনেছিলেন। ওই জায়গাটাও ইলিয়াছ ও তার ভাই দখল কওে নিয়েছে। তিনি জানতে চাইলে তারা বলেন, তারা নাকি জায়গার মালিক। এ ব্যাপারে কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াছের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি সাঈদা সুলতানার ৫ ননদ, শ্বাশুড়ির কাছ থেকে ১৫ বছর আগে জায়গা কিনেছেন ও জায়গাটি ভোগ দখল করে আসছেন।
এ ব্যাপারে মোঃ জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনিএসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যাদের কাছ থেকে জায়গা নিয়েছি তাদের বাড়ি আছে কুমিল্লায়। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। সাঈদা সুলতানা যেসব অভিযোগ করেছেন সবই মিথ্যা। ওনি এ নিয়ে মামলা করলেও আদালতের রায় আমার পক্ষে গেছে।