অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩ সালে ‘মুজিব’ সিনেমা দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন মাত্র এক টাকা। পরে জানা যায়, রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট পেয়েছেন আরিফিন শুভ। গত বছরের ২৭ নভেম্বর রাজউকের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এবার সেই প্লট হারাতে চলেছেন শুভ।
হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আরিফিন শুভর সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে।
আরিফিন শুভর প্লট বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার রাজউকের চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত যেগুলো রেজিস্ট্রেশন হয় নাই, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে; যা বোর্ড সভায় উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।’
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে শুভকে ১০ কাঠা আর প্রযোজক লিটন হায়দারকে ৩ কাঠা আয়তনের একটি প্লট গত বছরের ২৭ নভেম্বরে রাজউকের বোর্ড সভায় বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এ প্লটের বিপরীতে শুভ সরকার-নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে একটি চুক্তিপত্রও গ্রহণ করেন। কিন্তু সময় স্বল্পতায় তিনি এ প্লটের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নিতে পারেননি। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুভর প্লটসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরিফিন শুভ ও লিটন হায়দারের প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও কণ্ঠশিল্পী তাহসান খানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেকআপ আর্টিস্ট রোজা আহমেদের বিয়ের খবর এখনও টপ অব দ্যা কান্ট্রি। বিশেষ করে তাহসানের স্ত্রী রোজা কে নিয়ে এখনও অনুরাগীদের চর্চা তুঙ্গে। কিন্তু তাহসানের সাথে বিয়েতে বসার আগে এই রোজা আহমেদকে কতটা চিনতেন তার অনুরাগীরা? বলা বাহুল্য, তাহসানের সাথে পরিচয় হওয়ার আগে থেকেই নেটিজেনদের কাছে বেশ পরিচিত ছিলেন এই মেকআপ আর্টিস্ট।
সম্প্রতি রোজা আহমেদের একটি পুরোনো সাক্ষাৎকার ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে রোজা তার ক্যারিয়ার, পেশা নিয়ে বিস্তর আলাপ করেন। সেখানে তাকে বেশ কিছু প্রশ্ন ও নেটিজেনদের নানান অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত করা হয়। সে প্রসঙ্গেই আলোচনা করেন রোজা।
জানালেন, একটা সময় পর্দায় আসার ইচ্ছে ছিল তার। শুধু তাই নয়, জয়া আহসান কিংবা মৌ এর মতো অভিনেত্রীদের সাথেও কাজ করার ইচ্ছে ছিল তার। রোজা বলেন, ‘একসময় ইচ্ছে ছিল মডেল হব, অভিনেত্রী হব।’
সেই সাক্ষাৎকারে ভ্লগারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা ওঠে। যেমন, অনেক ক্ষেত্রে খারাপ ব্যবহার করেন ভ্লগাররা, ঠিকমতো ব্র্যান্ড প্রোমোশন করেন না- এ ধরণের অভিযোগ। সে প্রসঙ্গে রোজা বলেন, ‘এটা যে যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমি এত বড় কোনো ভ্লগার হয়ে যাইনি কিংবা কোনো ব্র্যান্ড প্রোমোটারও হইনি। আর এটা আমার মূল পেশাও না। তবে যারা এই পেশায় আছেন, তাদের আমি অনেক সম্মান করি, তারা অনেক ভালো করছেন। আমাদের অনেক সিনিয়র ভ্লগার যারা আছেন, যাদের নিয়ে এখন বিতর্ক হচ্ছে তারা অনেক কষ্টে এই জায়গাতে এসেছেন, আর আমরা তাদের থেকেই শিখেছি। যখন আমরা ভ্লগার বলতে কিছু বুঝতাম না, তখন তাদের হাত ধরে বাংলাদেশে ভ্লগ এসেছে।’
সেই সাক্ষাৎকারে এমনও অভিযোগ উঠেছে, অনেক ইনফ্লুয়েনসার কিংবা ব্র্যান্ড প্রোমোটাররা নাকি ফটোশ্যুটে করেই লাখের মতো পারিশ্রমিক নেন। এছাড়াও মেকআপ আর্টিস্টরাও প্রতি মিনিটে হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন বলেও অভিযোগ।
রোজা বলেন, ‘আপনারাই তো আমাদের ভ্যালুটা বাড়িয়েছেন। একজন নামী-দামী সেলিব্রেটির কাছে না গিয়ে আপনারা আমাদের কাছে আসছেন। তাদের থেকেও যদি আমরা বেশি চার্জ করি, তারাও আমাদের নিচ্ছেন- আমরা কেন নেব না। এটা একটা ব্যাবসা আফটার অল।’ রোজা এও বলেন, ‘সে এটা ডিজার্ভ করে, হয়তো সে জন্য এটা তিনি চার্জ করেছেন।’
মেকআপ আর্ট প্রসঙ্গেও বেশ আলাপ করেন রোজা। বলেন, ‘চাই আমার কাজকে সবাই জানবে। আর আমি বেছে কাজ করি; যেহেতু আমি একজন প্রোফেশনাল মেকআপ আর্টিস্ট। তো দেখা যায় আমার ওই কাজটা আগে। ওইটার ওপরে, ওই ক্যাজুয়ালের ওপরে ডিপেন্ড করে ওই ব্রান্ডকে কাজটা দেওয়া হয়। ওরা যখন চায় তখনই করতে হবে, নইলে আমার ওই কাজটা করা হয় না; কাজ হারিয়ে যায়। কিন্তু দিনশেষে এটা নিয়ে আমার আফসোস হয় না; কারণ কাজগুলো আমি শখের বসে করছি।’
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় বেড়ে ওঠা রোজা আহমেদ বর্তমানে ক্যারিয়ার গড়েছেন মার্কিন মুলুকে। পড়াশোনা করেছেন নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর। পড়াশোনা শেষ করে কসমেটোলজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার প্রতিষ্ঠাতা করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসারও।
অনলাইন ডেস্ক :
পরাজয়ে শুরু, পরাজয়েই আইপিএল ১৬তম আসর শেষ দিল্লি ক্যাপিটালসের। লখনৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আইপিএল এবারের আসর শুরু করে দিল্লি।
আজ ২০ মে শনিবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেইডয়ামে গ্রুপর্বে নিজেদের শেষ এবং নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও জয় পায়নি দিল্লি। ২২৪ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন দলটি।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ঋতুরাজ গায়কোয়াদ ও ডেভন কনওয়ের জোড়া ফিফটি ভর করে ৩ উইকেটে ২২৩ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস।
দলের হয়ে ৫০ বল মোকাবেলা করে ৩টি চার আর ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৭৯ রানে ফেরেন ঋতুরাজ। ৫২ বলে ১১টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে খেলেন ৮৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ডেভন কনওয়ে।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। ইনিংসের শুরু থেকে ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার।
৫৮ বল মোকাবেলা করে ৭টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রান করেন ওয়ার্নার। তার একার লড়াইয়ের পরও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে ইনিংস গুটায় দিল্লি। ৭৭ রানের বড় জয় পায় চেন্নাই।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরে এসে সিরিজ হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ওই সিরিজই বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি হাইপ তুলেছে। হাইপ ওঠা ওই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পানসে বানিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের বড় জয়ে দুই পয়েন্টের সঙ্গে ১.৪৮ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৭ রানের জুটি দেন। সাবলীল শুরু করা ওই জুটি ভাঙতে সপ্তাম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। দলকে দরকারী ব্রেক থ্রু দেন।। তরুণ ওপেনার ইব্রাহিমকে ২২ রানে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর রহমত শাহকেও (১৮) তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হন গুরবাজ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদী। চারে নামা শাহেদী ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। দলের রান তখন ১১২। সেখান থেকে ১৪ রান হতেই আরও তিন উইকেট হারায় আফগানরা। ফিরে যান ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় ৪৭ রান করা ওপেনার গুরবাজ। ব্যর্থ হন পাঁচে নামা নাজিবউল্লাহ (৫) ও ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবী (৬)।
ওই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। অলআউট হয় ৩৭.২ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন (১৩) ও তানজিদ তামিম (৫)। তিনে নামা মিরাজ ও চারে নামা শান্ত ৯৭ রানের জুটি দিয়ে ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। মিরাজ ৭৩ বলে পাঁচটি চারের শটে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ১৪ রান করে ফিরে যান। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। সঙ্গে ফিফটি করে মিরাজ ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুই উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের হয়ে তিন পেসার ফারুকি, নাভিন উল ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উরকে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কাছে বিশেষ আবদার জানিয়েছিলেন টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। যথারীতি কিছু দিনের মধ্যেই মিমির প্রিয় জিনিস পাঠানো হলো তার কাছে। কিন্তু কী এমন চেয়েছিলেন তিনি? এ নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে ব্যাপক চর্চা চলছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন সূত্র জানায়, মিমি নিজের নাম লেখা কেকেআরের জার্সি চেয়েছিলেন। টুইট করেছিলেন তিনি। তবে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হলো না তাকে।
নিজের নাম লেখা জার্সি হাতে পেতেই উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী। কলকাতার জার্সি বলে কথা। যথারীতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেন সেই সুখবর।
কেকেআরের তরফে সেই ছবি পোস্ট করে তারা জানিয়েছেন। মিমি দারুণ লাগছে। আমাদের দলের হয়ে চিয়ার করছেন আপনি। ধন্যবাদ। হাসিমুখে জার্সি হাতে পোজ দিয়েছেন মিমি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই বলছেন, আপনার আবদার পূরণ করলেন কিং খান।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু দিন ধরে মিমি রাজনীতির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। তবে সামনেই সিনেমার কাজে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডেস্ক :
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। সেই জয় যে অঘটন ছিল না, বাংলাদেশের মেয়েরা সেটি দেখিয়ে দিলো পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে।
বেনোনিতে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শ্রীলঙ্কাকে ৯ রানে হারিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপের সুপার সিক্স প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
ম্যাচে টসভাগ্য সহায় ছিল না বাংলাদেশের মেয়েদের। প্রথমে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে টস হারলেও ব্যাটিংটা দারুণ করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২ উইকেটেই গড়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
মিষ্টি সাহাকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলেন আফিয়া প্রত্যাশা। ৪৩ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় তিনি দুর্দান্ত এক হাফসেঞ্চুরি তুলে ১২তম ওভারে আউট হন ৫৩ করে।
মিস্টি অবশ্য তার মতো খেলতে পারেননি। ২৪ বলে ১৪ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। কিছুটা চাপে পড়ে দল।
সেখানে দাঁড়িয়ে দিলারা আক্তার আর স্বর্ণা আক্তারের ঝোড়ো ব্যাটিং। উইকেটরক্ষক দিলারা আক্তার ২৭ বলে করেন অপরাজিত ৩৬ রান। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন স্বর্ণা। ২৮ বলে তার ৫০ রানের মারকুটে ইনিংসে ছিল ৩ চার আর ২ ছক্কার মার।
রান তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কার ২৪ রানেই ২ উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ সামাল দেন অধিনায়ক বিশ্বি গুনারত্নে আর দেওমি ভিহাঙ্গা। একটা সময় মনে হচ্ছিল, তারা হয়তো বাংলাদেশকে হারিয়েই দেবেন।
১৭তম ওভারে দেওমিকে (৪৪ বলে ৫৫) এলবিডব্লিউ করেন মারুফা আক্তার। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন অধিনায়ক বিশ্বি। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ৫৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন লঙ্কান অধিনায়ক। ৪ উইকেটে ১৫৫ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস।
মারুফা আক্তার ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ২টি উইকেট। দিশা বিশ্বাস এক উইকেটে ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৪ রান।