চলারপথে রিপোর্ট :
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির অধ্যাপক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম (মিথিল)।
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ পরিকল্পনা শাখা-১ সহকারি সচিব মুহাম্মদ আমিন শরীফ স্বাক্ষরিত পত্রে রাষ্ট্রপতি আদেশ ক্রমে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য হিসাবে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
সদ্য নিয়োগ পাওয়া পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) পরিচালনা পর্ষদ ও সাধারণ পর্ষদে সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম এর জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় রামরাইল ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে শহরের প্রাণকেন্দ্র ফুলবাড়িয়ায়। স্কুল জীবন শুরু হয় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে জাপান সরকারের বৃত্তি নিয়ে পাড়ি জামান জাপানে। সেখানে পিএইচডি শেষ করে আমেরিকাতে, তারপর শিক্ষকতা শুরু করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (অওটই) তে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। পি কে এস এফ পরিচালনা পর্ষদ এর সদস্য পদে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাইকে সবার স্থান থেকে কাজ করতে হবে। আমি একটি কাজের দায়িত্ব পেয়েছি। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, নীপিড়ন ও অন্যায়ের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হয়েছে। তবে বিগত সময়ে প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সাধারণ মানুষের যেমন বক্তব্য ছিলো, এখনো মানুষের কণ্ঠে একই বক্তব্য। তাই প্রশাসনকে এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যার দুর্নাম বিএনপি বা ফ্যাসিস্ট সরকার উৎখাতে যারা ভূমিকা রেখেছে তাদের উপরে আসে। এছাড়াও জনবিচ্ছিন্ন হতে হবে এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সকল নেতাকর্মীকে জনসেবায় কাজ করতে হবে।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার সকালে যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শামীম মোল্লার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: নোমান মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সহ সভাপতি এডঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, জেলা ড্যাবের সভাপতি ডাক্তার মকবুল হোসেন, ড্যাব নেতা আক্তার হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, সহ-সভাপতি রাশেদ কবির আকন্দ, যুবদল নেতা সৈয়দ তৈমুর, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জিয়াউল হক, তানভীর রুবেল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এডভোকেট আরিফুল হক মাসুদ, সদস্য সচিব এডভোকেট ইয়াছিন মিয়া প্রমুখ।
পরে রক্তদান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।
মেডিকেল ক্যাম্পে হৃদরোগ, গাইনীসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা ও ফ্রি ওষুধ সেবা প্রদান করছেন।
চিকিৎসা সেবা নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা গ্রহীতারা ভীড় করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে জড়ো হয়েছেন মৎস্য শিকারিরা। শেরপুর মীর শাহাবুদ্দীন (রঃ) দারুল উলূম ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার মাজার শরীফ সংলগ্ন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। তাঁদের কারও হাতে বড়শি, আবার কারও হাতে মাছের খাবার। কেউ কেউ আবার মোড়া ও মাছ রাখার জাল নিয়ে এসেছেন।
৬ জুলাই শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ঐতিহ্যবাহী পুকুরের চার পাড়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় মেতে ও উঠেন মৎস্যশিকারিরা। সন্ধ্যা ৬’টা পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চলে মাছ শিকার। এই মাছ ধরার প্রতিযোগিতা বড়শিতে ধরা পড়ে রুই, কাতল, ব্রিগেড, মৃগেল, শোল, বড় তেলাপিয়সহ দেশি বিভিন্ন প্রজাতির কার্প জাতীয় মাছ রয়েছে। পুকুরে মাছ ধরা প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে যেন এক মিলনমেলা হয়। ৬হাজার ৩শত টাকার টিকেট মূল্যে ১৬জন মৎস্য শিকারিএতে অংশ নেন। প্রত্যেকেই তিনটি বড়শি দিয়ে মাছ ধরার এই প্রতিযোগিতায় জড়োহন। শৌখিন মৎস্য শিকারি শাহেদ মিয়া বলেন ছোটবেলা থেকেই বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে খুব মজা লাগে। মাছ ধরা আমার পেশ নয়, এটি শুধু শখ। বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে খুব আনন্দ লাগে এজন্যই এই ঐতিহ্যেবাহী পুকুরে মাছ ধরতে এসেছি।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কমিটির আহবায়ক আরমান হোসেন, মনির খান (মনা) মোতোর্জা কমল জানান, আমরা নিজস্ব অর্থয়েনে প্রতি বছর ন্যায় এবারও এ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি, আগামীতে ও তা চলবে। এছাড়া দর্শনাথীদের মধ্যে ভালো লাগার একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে আমরা মাছ ধরা প্রতিযোগিতা আয়োজন করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় ¯স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হোসেন সরকার জয় (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায় হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুইটি মামলা রয়েছে। মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হোসেন সরকার জয় জেলা শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ নেতা সুবেদার মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ফিরোজা বেগমের ছেলে। তিনি বর্তমানে শহরের ফুলবাড়িয়ায় বসবাস করেন।
হোসেন সরকার জয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, পৌর তাঁতী লীগ ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। তিনি নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে স্থানীয় তিতাস বার্তার নির্বাহী সম্পাদক, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কেন্দ্রীয় শীর্ষ খবর পত্রিকার সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক, দৈনিক সন্ধ্যা বানী, জাতীয় জনতা দলিলের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে সদর থানায় সহিংসতার ঘটনাসহ দুইটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) এলাকায় হোসেন সরকার অবস্থান করছেন বলে গোপন সূত্রের তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে শহরের এক নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, হোসেন সরকার জয়ের বিরুদ্ধে থানায় দুটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে। আজ ১ জুন রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামাই পিঠা, বউ পিঠা, মালপোয়া, হৃদয়হরণ, কলাপিঠা, লবঙ্গ লতিকা, জামদানি, জুড়ি, ঝিনুক, নারকেলের ভাজা পুলি, সেদ্ধপুলি, দুধপুলি, ছিটাপিঠা, ফুলঝুড়ি, পাকান পিঠা, মাসকলাই, দুধচিতই, পাটিসাপটা, মুখ চাহনি, পানতোয়া, সন্দেশ-নেভিকুলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রসমালাইসহ বাহারি জাতের শতাধিক পিঠা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজে জেলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে হাজির হন একাদশ-দ্বাদশ শিক্ষার্থীরা।
আজ ২০ জানুয়ারি সোমবার এই কলেজে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে নানা জাতের পিঠার মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কলেজ প্রাঙ্গণে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বেলা ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, পরিচালক ও প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক শাহাদৎ হোসেনসহ কলেজের সকল শিক্ষক।
কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক, ব্যবসা শাখা ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছয়টি স্টল বসান। এসব স্টলে তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাহারি জাতের পিঠা নিয়ে হাজির হন। এসব স্টলে শতাধিক প্রকারের পিঠা শোভা পেয়েছে। বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বর্ণিল সাজে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্টলে ছিল নানা ধরনের পিঠা। ব্যবসায় শাখা বিভাগের একটি স্টলে গিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু পিঠা চোখে পড়ে।
শিক্ষার্থীরা মালপোয়া, হৃদয়হরণ, কলাপিঠা, লবঙ্গ লতিকা, জামদানি, জুড়ি, ঝিনুক, নারকেলের ভাজা পুলি, সেদ্ধপুলি, দুধপুলি, ছিটাপিঠা, ফুলঝুড়ি, পাকান পিঠা, মাসকলাই, দুধচিতই, পাটিসাপটা, মুখ চাহনিসহ শতাধিক জাতের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন।
মানবিক বিভাগের একটি স্টলে জামাই পিঠা, বউ পিঠাসহ নানান জাতের পিঠা চোখে পড়ে। মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার ও জেরিন আক্তার বলেন, শিক্ষার্থীরা দিনটিকে উৎসবের রং দিয়েছে। তারা দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পিঠা তৈরি করেছেন। আমরা আজ সবাই মিলের বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ বলেন, একসময় বাংলার ঘরে ঘরে শীত এলে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যেত। কিন্তু এই ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামবাংলার এই চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর আমরা এই উৎসবের আয়োজন করে থাকি।
পিঠা উৎসবের স্টলগুলোতে পাপড়ি, ঝিনুক, পাকন, রেশমি, ত্রিভুজ, ঝিলমিল, ডিম সুন্দরী, হৃদয়হরণ, বেণি, চন্দ্রপুলি, চিংড়ি পিঠাও প্রদর্শন করা হয়। বেলা পৌনে ১টার দিকে কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।